আমির বললেন, আমি খুব রোমান্টিক, আমার দুই সাবেক স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করতে পারেন
Published: 13th, January 2025 GMT
বড় পর্দায় পা রাখতে চলেছেন জুনাইদ খান। আমির খান-পুত্রের এই ছবির নায়িকা আরেক তারকা-কন্যা খুশি কাপুর। নতুন এই জুটিকে অদ্ভেত চন্দন পরিচালিত লাভইয়াপা ছবিতে দেখা যাবে। জুনাইদ আর খুশি আগেই অভিনয়জগতে পা রেখেছেন। নেটফ্লিক্সের ‘মহারাজ’ ছবিতে জুনাইদকে দেখা গিয়েছিল। আর নেটফ্লিক্সের ‘দ্য আর্চিজ’ সিরিজে অভিনয় করেছেন শ্রীদেবী-বনি কাপুরের কন্যা খুশি। তবে বড় পর্দায় এই প্রথম তাঁদের সিনেমা মুক্তি পেতে চলেছে। গত শুক্রবার মুম্বাইয়ের এক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে রোমান্টিক-কমেডি ছবিটির ট্রেলার। আসরে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং আমির খান। এদিন একদম বিন্দাস মেজাজে ছিলেন আমির। সবার সঙ্গে অকপটে ভাগ করে নিয়েছিলেন নিজের জীবনের নানা কথা।
আমার কাছে প্রেমের অর্থ হলো এমন এক আত্মার সাথিকে খুঁজে পাওয়া, যার সঙ্গে আপনি সুখী থাকবেন। আর মনে হবে আপনি আপনার গন্তব্যে পৌঁছে গেছেন। আমি যখন এমন একজন মানুষকে খুঁজে পাব, তখন নিজের সঙ্গে নিজেকে সংযোগ করতে পারব।আমির খান
ছবির নাম ‘লাভইয়াপা’, হয়তো এ কারণে ঘুরেফিরে আসে প্রেম-ভালোবাসার প্রসঙ্গ। ব্যক্তিগত জীবনে আমির কতটা রোমান্টিক?
অকপটে জবাব, ‘কসম, আমি খুব রোমান্টিক মানুষ। শুনে হয়তো খুব মজার লাগছে। আমার দুই সাবেক স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। তাই আমার সব প্রিয় ছবি রোমান্টিক। রোমান্টিক ছবিতে আমি হারিয়ে যাই। প্রকৃত ভালোবাসার প্রতি আমার আস্থা আছে। আমরা যেমন জীবনের পথে আরও এগিয়ে যাই, ভালোবাসাকে ঘিরে আমাদের বোধবুদ্ধি এভাবেই এগিয়ে যায়। আমি যত এগোচ্ছি, আমার মধ্যে কী কী খামতি এবং ত্রুটি আছে, তা খুঁজে পাচ্ছি। সেসব ভুলত্রুটি সংশোধন করার চেষ্টা করছি।’
খুশি কাপুর, আমির খান ও জুনাইদ খান। এএনআই.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’