৪ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
Published: 13th, January 2025 GMT
প্রায় ৪ ঘণ্টা পর সারা দেশের সঙ্গে রাজশাহীর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার পর লাইনচ্যুত হওয়া তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিটি সরিয়ে নেওয়া হলে রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এর ফলে, রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
রাজশাহী রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক ময়েন উদ্দিন বলেন, ‘‘রাজশাহী-চিলাহাটি রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজশাহী থেকে ছেড়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই বেলপুকুরে ট্রেনের একটি বগির দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়।’’
আরো পড়ুন:
হিলি ট্রেন ট্র্যাজেডি দিবস আজ
বাগেরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ অপারেটিং অফিসার আহসান উল্লাহ বলেন, ‘‘তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লাইন থেকে বগিটি সরিয়ে ফেলা হয়। পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।’’
ঢাকা/কেয়া/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’