Risingbd:
2025-03-03@20:16:49 GMT

চুরি ঠেকাতে রসের হাঁড়িতে তালা

Published: 13th, January 2025 GMT

চুরি ঠেকাতে রসের হাঁড়িতে তালা

চোরের হাত থেকে সম্পদ রক্ষায় তালা ব্যবহারের রীতি অনেক পুরনো। কিন্তু, সেই তালা ব্যবহার যদি হয় মাটির হাঁড়িতে; তাহলে বিষয়টি কেমন হবে? শুনতে অবাক লাগলেও এমন ঘটনা ঘটেছে শরীয়তপুরের গোসাইহাটে। চোরের হাত থেকে রস ও হাঁড়ি রক্ষায় অভিনব এমন কৌশল বেছে নিয়েছেন এক গাছি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোসাইরহাট পৌরসভার মহিষকান্দি এলাকার হারুন সরদার (৫০)। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে শীত মৌসুমে খেজুর গাছ কেটে রস সংগ্রহ করে তা দিয়ে গুড় তৈরি করেন। পরে সেই গুড় বাজারে বিক্রি করে যা আয় হয়, তা দিয়েই চলে সংসার। এ বছর ২৩০টি খেজুর গাছ কেটেছেন তিনি।

গাছি হারুন সর্দার জানান, গাছ থেকে রস সংগ্রহে প্রয়োজন হয় মাটির হাঁড়ির। যার একেকটির মূল্য ১২০ টাকা। প্রতিবছর গাছ থেকে হাঁড়িসহ রস চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। চোরের হাত থেকে রস ও হাঁড়ি বাঁচাতে গাছের গোঁড়ায় কাটা দিয়ে রাখা, রাত জেগে পাহাড়া দেওয়ার পরেও সুরাহা না হওয়ায় সিদ্ধান্ত নেন শিকল দিয়ে তালা লাগানোর।

তিনি বলেন, ‘‘আমি রস বিক্রি করে সংসার চালাই। কিন্তু, প্রতিবছর চোরের দল হাঁড়িসহ রস চুরি করে নিয়ে যায়। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলাম। গাছের গোঁড়ায় কাটা দিয়ে রাখাসহ রাত জেগে পাহাড়া দিয়েও লাভ হচ্ছিল না। পরে বাধ্য হয়ে চুরি ঠেকাতে বাজার থেকে শিকল আর তালা কিনে হাঁড়িতে দিয়ে রাখি।’’

নাহিদ হাসান সৌরভ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘শীতের মধ্যে খুব পরিশ্রম করে হারুন ভাই গাছ কেটে রস সংগ্রহ করে থাকেন। এই আয় দিয়েই তার সংসার চলে। তবে, প্রতিবছরই চোরের দল রস চুরি করার পাশাপাশি হাঁড়িও ভেঙে ফেলে। তাই তিনি বাধ্য হয়ে চুরি ঠেকাতে রসের হাঁড়িতে তালা দিয়েছেন। এখন আর চোরেরা রস ও হাঁড়ি নিয়ে যেতে পারবে না।’’

ঢাকা/আকাশ/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ