ওয়ালটনে ‘কল সেন্টার এক্সিকিউটিভ’ পদে চাকরি
Published: 13th, January 2025 GMT
চাকরিবিষয়ক ওয়েবসাইট বিডিজবস ডটকমের মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটি ‘কল সেন্টার এক্সিকিউটিভ’ পদে লোকবল নেবে। এ পদে পুরুষ-নারী উভয় প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
পদের নাম: কল সেন্টার এক্সিকিউটিভ।
পদ সংখ্যা: ১৩টি।
আরো পড়ুন:
দেশসেরা ব্র্যান্ড ওয়ালটনের এসি রপ্তানি হচ্ছে ক্যামেরুনে
ওয়ালটনের ডুয়াল ব্যান্ড রাউটার উদ্বোধন করলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান
চাকরির বিবরণ/দায়িত্ব: ইনকামিং এবং আউটগোয়িং উভয় ধরনের ফোন কলে অংশ নিতে হবে। ফোনের মাধ্যমে গ্রাহকসেবা দিতে হবে। গ্রাহকদের অভিযোগ শুনে তা সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানাতে হবে। গ্রাহকদেরকে পণ্যের তথ্য প্রদান করতে হবে। গ্রাহকদের অভিযোগ শুনে ও বুঝে উপযুক্ত সমাধানের ব্যাপারে জানাতে হবে। বিক্রয় পরবর্তী সেবাসংক্রান্ত ই-মেইল ফলোআপ করা লাগবে এবং গ্রাহকদের ই-মেইলের উত্তর দিতে হবে।
চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক।
অভিজ্ঞতা: কাস্টমার সাপোর্ট/ক্লায়েন্ট সার্ভিসে ১-৩ বছরের অভিজ্ঞতা। তবে অভিজ্ঞতা না থাকলেও এ পদে আবেদন করা যাবে।
অন্যান্য যোগ্যতা: মাইক্রোসফট অফিস অ্যাপ্লিকেশনে (মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, আউটলুক প্রভৃতি) দক্ষতা থাকতে হবে। বাংলা এবং ইংরেজিতে সাবলিলভাবে যোগাযোগের দক্ষতা থাকতে হবে। ধৈর্যশীল ও ঠান্ডা মেজাজের অধিকারী হতে হবে।
বয়সসীমা: বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
কর্মস্থল: ঢাকা (মিরপুর)।
বেতন: ১৭,০০০-২০,০০০ টাকা। সঙ্গে মুঠোফোন বিল, পারফরমেন্স বোনাস, লভ্যাংশ শেয়ার, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাসসহ প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে।
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে বিডি জবসের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সরস্বতি পূজা উপলক্ষে গোপালগঞ্জে জমজমাট প্রতিমার হাট
আগামী ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা। এ উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্নস্থানে বসেছে প্রতিমার হাট। এখন চলছে প্রতিমার বেচাকেনা। এবার প্রতিমার দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রীয়া থাকলেও কারিগররা বলছেন, জিনিস পত্রের দাম বাড়ায় প্রতিমার দামও কিছুটা বাড়তি।
পঞ্জিকা মতে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে আশীর্বাদ লাভের আশায় বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা করে থাকেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। শুধু বাড়িতেই নয় বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। দেবীর পায়ে অঞ্জলী দিয়ে অনেক শিশুর শিক্ষাজীবন শুরু হবে।
এ পূজার প্রধান অনুসঙ্গ হলো প্রতিমা। ফলে জেলা শহরের গোহাট সার্বজনীন কালীবাড়ী, সদর উপজেলার সাতপাড়, বৌলতলী, কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ, ভাঙ্গারহাট, ঘাঘর বাজারসহ অনেক স্থানে বসেছে প্রতিমার হাট। এসব হাটে আনা এক একটি প্রতিমা প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে।
আরো পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে রাসপূর্ণিমা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু
পুটিয়ার কৃষ্ণপুরে চলছে কাত্যায়নী পূজা
এ বছর ক্রেতাদের মধ্যে প্রতিমার দাম নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ক্রেতাদের অনেকেই বলছেন, দাম সাধ্যের মধ্যে আবার কেউবা বলছেন দাম আগের চেয়ে বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে, এর মধ্যেও বিভিন্ন বয়সের মানুষ এসব হাট থেকে কিনে নিচ্ছেন পছন্দমতো প্রতিমা। হাটে শুধু প্রতিমাই নয় বিক্রি হচ্ছে ফুল, মালা, মিষ্টিসহ পূজার অন্যান্য উপকরণও।
রীতি অনুযায়ী বিদ্যার দেবী সরস্বতি পূজার পাশাপশি বসন্ত পঞ্চমীতে গণেশ, লক্ষ্মী, নবগ্রহ, বই, খাতা, কলম ও বাদ্যযন্ত্রের পূজা করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শীত ঋতুর অবসান হয়ে বসন্ত ঋতুর আগমন বার্তা ঘটবে।
প্রতিমা কিনতে আসা উত্তম সাহা বলেন, “শহরের গোহাট সার্বজনীন কালীবাড়ীতে সরস্বতী প্রতিমার হাট বসেছে। এবার বাড়িতে পূজা করাব। ছেলেকে নিয়ে হাটে প্রতিমা কিনতে এসেছি। ঘুরে ফিরে পছন্দমত প্রতিমা কিনেছি। আমি মনে করি, পূজা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হবে।”
অপর ক্রেতা নারু গোপাল বলেন, “প্রতিবছর এখানে প্রতিমার হাট বসে। এবে এবার প্রতিমার আমদানি একটু কম। তারপরেও দেখে বুঝে দরদাম করে একটি প্রতিমা কিনেছি। এবার আমাদের বাড়িতে সরস্বতী পূজা হবে।”
অপর ক্রেতা পরিমল চন্দ্র ঢালী বলেন, “এক একটি প্রতিমা ২০০ তেকে ১০ হাজার টাকা পযর্ন্ত বিক্রি হচ্ছে। হাটে এসে প্রতিমা দেখছি। পছন্দ হলে কিনে নিয়ে যাব। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিমার দাম একটু বেশি।”
গোপালগঞ্জ শহরের গোহাট সার্বজনীন কালীবাড়ীর হাটে প্রতিমা বিক্রি করতে আসা উত্তম পাল বলেন, “এবার ২০টি প্রতিমা নিয়ে এসেছি। ইতোমধ্যে ১০টি বিক্রি করা হয়েছে। তবে এবার ক্রেতার সংখ্যা একটু কম। আশা করি, বাকি দুই দিনও বেচাকেনা হবে।”
কার্ত্তিক পাল বলেন, “কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ গ্রাম থেকে ৩০টি প্রতিমা নিয়ে এসেছি বিক্রির জন্য। চার থেকে পাঁচটি প্রতিমা বিক্রি করেছি। ক্রেতারা যে দাম বলছেন, তাতে প্রতিমা বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ প্রতিমা তৈরির অনুসঙ্গের যে দাম তাতে খরচও উঠছে না।”
স্বপন পাল নামে এক বিক্রেতা বলেন, “প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহৃত ছোন, রংসহ বিভিন্ন সরঞ্জামের দাম প্রতিবছর বেড়েই চলছে। ক্রেতারা যে দাম বলছেন, সেই দামে বিক্রি করলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে। তারপরেও বাব-দাদার পেশা আমরা ধরে রেখেছি।”
ঢাকা/বাদল/মাসুদ