শফিউল ইসলামের লেন্থ বল স্ট্রেইট ড্রাইভে চার লিটন দাসের ব্যাট থেকে। ডানহাতি এই পেসারের শর্ট বল স্কয়ার কাট করে তানজিদ হাসান তামিমের চার। পৃথক দুই ওভারে দুই চার। দুই বাউন্ডারিতে লিটন ও তানজিদ আষ্টেপৃষ্ঠে নিজেদের জড়িয়ে নিলেন রেকর্ড বুকে। 

বাংলাদেশে এর আগে স্বীকৃত কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুই ওপেনার একই ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি পাননি। রোববার বিপিএলের ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসের দুই ওপেনার লিটন ও তানজিদ যথাক্রমে করেন ১২৫ ও ১০৮ রান। দুজন উদ্বোধনী জুটিতে ২৪১ রান জমা করেন। যা বিপিএলে যেকোনো উইকেটে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ। তাদের ব্যাটে ভর করে ঢাকা ১ উইকেটে ২৫৪ রান করে। এটাও বিপিএলে সর্বোচ্চ দলীয় রান। পরবর্তীতে ১৪৯ রানে তারা হারায় দুর্বার রাজশাহীকে। এটাও বিপিএলে সর্বোচ্চ রান ব্যবধানে জয়।

লিটন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন। তানজিদ দ্বিতীয়। লিটন অফফর্ম কাটিয়ে উঠে রানে ফিরেছেন। তানজিদ রান পাচ্ছিলেন। কিন্তু বড় ইনিংস আসছিল না। দুজন এই ম্যাচে প্রাপ্তির স্রোতে ভেসেছেন। চার-ছক্কা পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন তারা। তানজিদ ৬৪ বলে ৬ চার ও ৮ ছক্কায় ১০৮ রানের ইনিংসটি সাজান। লিটন ৫৫ বলে ১০ চার ও ৯ ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ১২৫ রানের ইনিংসটি খেলেন। 

দিনের শেষে লিটনের মুখে হাসি ফুটলেও সারাদিন যা হয়েছে তাতে বিষন্ন হলেও হতে পারেন। অফফর্মের কারণে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তাকে রাখা হয়নি। তার সতীর্থ তানজিদ অবশ্য জায়গা করে নিয়েছেন। দুবাই ও পাকিস্তানে উড়াল দেওয়ার আগে বাঁহাতি ওপেনারের এমন ইনিংস বেশ আত্মবিশ্বাস জোগাবে বলেই বিশ্বাস করেন লিটন। 
সতীর্থর কাছে দাবিও করে রেখেছেন। সেটা কী? সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন সেই কথা, ‘‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তামিম দলে সুযোগ পেয়েছেন। এজন্য তাকে অভিনন্দন।  চাইবো যেন এই পারফরম্যান্সটা ওখানেও শো করে। শুধু তামিম নয়, যেহেতু আমি বাংলাদেশ দলে খেলি, আমার সতীর্থ যারা আছে। চাইবো বাংলাদেশ যেন ভালো ফল করে।’’ 

নিজেদের গতকালের ব্যাটিং নিয়ে লিটন বলেছেন, ‘‘দেখেন ওর ইনিংস…… যখনই একটা মানুষ সেঞ্চুরি করে, বড় ইনিংস খেলে তার সাথে সতীর্থর ভূমিকাটা গুরুত্বপূর্ণ। কিছু ওভার দেখবেন আমি অ্যাটাক করেছি, কিছু ওভার দেখবেন ও অ্যাক্ট করেছে। যে কারণে মাঝের ওভারে বাড়তি চাপ আসেনি। সহজে কয়েকটা ওভার সিঙ্গেল খেলতে পেরেছি। আমার মনে হয় দুইজনই আমরা ভালো ব্যাটিং করেছি, দুইজনই ডোমিনেটিং ইনিংস খেলেছি।’’

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ