Prothomalo:
2025-04-02@19:19:44 GMT

সড়কে বন্যার ক্ষত, ভোগান্তি

Published: 13th, January 2025 GMT

নোয়াখালীর সেনবাগ-সোনাইমুড়ী সড়কের সেনবাগ রাস্তার মাথা এলাকা থেকে সোনাইমুড়ী পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কে ছোট–বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় উঠে গেছে পিচঢালাই। একই অবস্থা জেলার সোনাপুর-কোম্পানীগঞ্জ-জোরালগঞ্জ সড়কেরও। সোনাপুর থেকে কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক এলাকা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকার পুরো অংশে খানাখন্দ।

নোয়াখালীতে গত বছরের বন্যায় জেলার বিধ্বস্ত সড়কগুলো একরকম চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সংস্কারে ধীরগতির কারণে খানাখন্দে ভরা সড়কে যানবাহন ও যাত্রীদের ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ বলছে, সড়ক সংস্কারে যে পরিমাণ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে, তা পাওয়া যায়নি। তবু প্রাপ্ত বরাদ্দ দিয়ে যতটুকু সম্ভব সড়ক সংস্কার করা হয়েছে।

সেনবাগ উপজেলার উত্তর সাহাপুর খালেকের দোকান এলাকার বাসিন্দা সহিদুল ইসলাম বলেন, গত বন্যায় সেনবাগ রাস্তার মাথা থেকে সোনাইমুড়ী পর্যন্ত এই সড়কটি দুই ফুট পানির নিচে তলিয়ে ছিল প্রায় দুই সপ্তাহ। শুরুর দিকে বন্যার পানির তোড়ে সড়কজুড়ে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়, যা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। গর্তের ওপর দিয়ে হালকা ও ভারী যানবাহন ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের কারণে সড়কের অবস্থা দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে।

পণ্যবাহী ট্রাকের চালক মো.

জসিম বলেন, বন্যার পানি নামার পরপর যদি সড়কের সংস্কার করা হতো, তাহলে এত খারাপ অবস্থা হতো না। সংস্কারে বিলম্বের কারণে বর্তমানে সড়কের সেনবাগ উপজেলার মহিদীপুর থেকে ডাকবাংলো এলাকা ও ছাতারপাইয়া এলাকা বেশি খারাপ হয়ে গেছে। গর্তে গাড়ি চালাতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিনই গাড়ি মেরামত করতে হয়। যানবাহন চলে ধীরগতিতে হেলেদুলে।

গত বছরের জুলাই-আগস্টের বন্যায় নোয়াখালীতে সওজের প্রায় ২০০ কিলোমিটার সড়কের ক্ষতি হয়েছে বলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নোয়াখালী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয় ২০ কোটি টাকা। বরাদ্দ পাওয়া গেছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। বরাদ্দ করা অর্থে এরই মধ্যে কিছু সড়কের সংস্কার করা হয়েছে। কিছু সড়কের সংস্কারে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আর কিছু সড়ক সংস্কারে দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী পুরো অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সব সড়কের সংস্কার শেষ করা সম্ভব হবে বলে জানানো হয়।

সোনাপুর-কোম্পানীগঞ্জ-জোরালগঞ্জ সড়কে চলাচলকারী কোহিনুর আক্তার বলেন, তিনি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন অটোরিকশাযোগে যাতায়াত করেন। খানাখন্দের কারণে গাড়ির ঝাঁকুনিতে অবস্থা কাহিল হয়ে যায়। তবুও বাধ্য হয়ে চলতে হয়। দিন যত যাচ্ছে, সড়কের অবস্থাও তত খারাপ হচ্ছে।

সড়কের সংস্কারে ধীরগতির বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নোয়াখালী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সৌম্য তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর মধ্যে সেনবাগ-চন্দেরহাট সড়কসহ কয়েকটি সড়কের সংস্কারকাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এ ছাড়া সেনবাগ-সোনাইমুড়ী সড়কের সংস্কারে এরই মধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। অন্যান্য সড়কের সংস্কারে দরপত্র আহ্বানসহ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইলন মাস্ক শিগগির দায়িত্ব ছাড়ছেন, বলেছেন ট্রাম্প

ইলন মাস্ক আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছেন বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের জানিয়েছেন।

টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ককে নবগঠিত সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটা সরকারের সরাসরি কোনো অংশ নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় ও কর্মীবহর কমানো ছিল এই বিভাগের কাজ।

ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর পর মাস্কের পরামর্শে অনেকগুলো বড় বড় সিদ্ধান্ত নেন। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএইডি বন্ধ করা এবং লাখ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে অবসরে পাঠানোর মতো সিদ্ধান্ত দেশটিতে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিল।

ইলন মাস্কের সরে যাওয়া নিয়ে প্রেসিডেন্টের ওই বক্তব্য সম্পর্কে অবগত তিনটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইলন মাস্ক এখন তাঁর ব্যবসায়িক কাজে ফিরে যাবেন। পাশাপাশি তিনি সরকারকে সহায়তার একটি ভূমিকা পালন করবেন।

মাস্ক ও তাঁর বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন ট্রাম্প। তবে সম্প্রতি দুজনেই এই বিষয়ে একমত হন যে, মাস্কের সরে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে।

ডিওজিইর দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে মাস্ক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। কিন্তু চঞ্চল মনোভাবের কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরের লোকজন এবং প্রশাসনের বাইরের অনেক মিত্র মাস্ককে অপছন্দ করা শুরু করেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাল্লা ভারী হতে থাকে। অন্যদিকে বিশ্বের শীর্ষ এই ধনীকে সম্পদের পরিবর্তে রাজনৈতিক দায় হিসেবে দেখতে শুরু করেন ট্রাম্পের দলের রাজনীতিবিদরা।

ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেও মাস্ক সম্ভবত প্রেসিডেন্টের অনানুষ্ঠানিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন। মাঝে–মধ্যে তাঁকে হয়তো হোয়াইট হাউসে দেখা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ