নেত্রকোনায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম (৪৮) হত্যায় সাতজন অংশ নেন। এর মধ্যে একজন তাঁকে চিনিয়ে দেন। একজন কোপানোর নির্দেশ দেন। দুজন রাস্তার দুই পাশে অবস্থান নেন। আর তিনজন শরিফুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন।

ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই আসামি সাজিবুল ইসলাম ওরফে অপূর্ব (২৮) ও বাকী বিল্লাহ (৩০) গতকাল রোববার সন্ধ্যায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে এসব তথ্য জানিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নেত্রকোনা কার্যালয়ের পরিদর্শক ইমদাদুল বাশার।

জবানবন্দীর বরাত দিয়ে ইমদাদুল বাশার বলেন, আসামিরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পূর্বশত্রুতার জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। তবে কেন, কী কারণে, কারা হত্যা করেন, তা তদন্তের স্বার্থে এখনই বলতে রাজি হননি তিনি। তিনি জানান, এই হত্যার সঙ্গে একজন কুখ্যাত আসামি জড়িত। তাঁর নির্দেশেই এসআই শফিকুল ইসলামকে খুন করা হয়েছে। আর আদালতে জবানবন্দি দেওয়া দুর্গাপুর পৌর শহরের উকিলপাড়া এলাকার বাসিন্দা শমশের আলী খাঁর ছেলে টিভি মেরামতকারী সাজিবুল ইসলাম এবং ধানশিরা এলাকার বাসিন্দা আবদুর রহমানের ছেলে মোটর মেরামতকারী বাকী বিল্লাহ একজন খুনিকে মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে শফিকুলকে চিনিয়ে দেন। বাকী বিল্লাহ তাঁর মোটরসাইকেলটি নিজেই চালিয়ে নিয়ে যান। ওই খুনিকে নামিয়ে দিয়ে দুজন রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে পাহারা দেন।

আরও পড়ুননেত্রকোনায় এসআই শফিকুলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২১১ জানুয়ারি ২০২৫

এদিকে শফিকুল হত্যায় দায়ের হওয়া মামলাটি দুর্গাপুর থানা থেকে গতকাল দুপুরে পিবিআই নেত্রকোনা কার্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ। তিনি বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযানও অব্যাহত আছে।

নিহত শফিকুল ইসলাম দুর্গাপুরের চণ্ডীগড় ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি জামালপুর পুলিশ লাইনসের বেতার বিভাগে এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

আরও পড়ুন‘আমার স্বামী পুলিশের লোক হইয়াও যদি সঠিক বিচার না পায়, কী হইব আমরার’১১ জানুয়ারি ২০২৫

শফিকুল ইসলাম ছুটি নিয়ে গত বুধবার বাড়িতে আসেন। পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি দুর্গাপুর পৌর শহরের বাগিচাপাড়া এলাকার বাসা থেকে বের হন। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার পর পানমহাল রোড এলাকা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় শফিকুল ইসলামের বাবা গত শুক্রবার সকালে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। গত শনিবার বিকেলে সাজিবুল ইসলাম ও বাকী বিল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে জড়িত সব আসামিকেই আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। তদন্তের স্বার্থে এখনই নাম প্রকাশ করছি না। তবে আশা করছি, অন্য আসামিদেরও দ্রুততম সময়ের মধ্যেই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভোলায় চুরির অভিযোগে একজনের দুই চোখে গুরুতর জখম, কাটা হলো দুই আঙুল

ছবি: সংগৃহীত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বগুড়ায় নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে পুরুষ আসামির সাক্ষাৎ
  • শাহজাদপুরে আগুনে নিহত চারজনের মরদেহ ঢামেকে
  • অনিয়মের খোঁজ নেওয়ায় সাংবাদিকের চাকরি খাওয়ার হুমকি বেরোবি কর্মকর্তা
  • ইসরায়েলে ছুরি হামলায় নিহত ১, আহত ৩
  • ভোলায় চুরির অভিযোগে একজনের দুই চোখে গুরুতর জখম, কাটা হলো দুই আঙুল
  • পুলিশ দেখে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
  • মব তৈরি করে এসআইকে হেনস্থা, গ্রেপ্তার আরও ১০
  • পতেঙ্গা সৈকতে পুলিশের এস আইয়ের উপর হামলা, গ্রেপ্তার ১০ 
  • চট্টগ্রামে এসআইর ওপর হামলা, দুই ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
  • ‘ভুয়া পুলিশ’ বলে এসআইকে মারধর, ওয়াকিটকি ছিনতাই