আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরের অস্ট্রেলিয়া দলে নেই প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজলউড। কামিন্স এই মুহূর্তে পিতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকলেও গোড়ালির চোটের কারণে স্ক্যান করানোর কথা। আর মাসলের সমস্যায় ভোগা হ্যাজলউডকেও রাখা হয়েছে বিশ্রামে। তবে কামিন্স, হ্যাজলউড—দুজনকে নিয়েই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়া তাদের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

অস্ট্রেলিয়ার ১৫ সদস্যের দলে ডাক পাওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রথমবার কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট খেলবেন ম্যাট শর্ট ও অ্যারন হার্ডি। প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি খেলোয়াড় বাছাই নিয়ে বলেন, ‘সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, গত বছরের সফল ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে সাম্প্রতিক হোম সিরিজের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মূল খেলোয়াড়দের নিয়ে অভিজ্ঞ ও সামাঞ্জস্যপূর্ণ একটি স্কোয়াড গড়া হয়েছে। পাকিস্তানের কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ বিবেচনায় নিয়ে একাদশ সাজানোর জন্য বৈচিত্র্যময় সুযোগ পাবে টিম ম্যানেজমেন্ট।’

অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ