চ্যাম্পিয়নস ট্রফি: কামিন্স-হ্যাজলউডকে নিয়েই অস্ট্রেলিয়া দল
Published: 13th, January 2025 GMT
আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরের অস্ট্রেলিয়া দলে নেই প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজলউড। কামিন্স এই মুহূর্তে পিতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকলেও গোড়ালির চোটের কারণে স্ক্যান করানোর কথা। আর মাসলের সমস্যায় ভোগা হ্যাজলউডকেও রাখা হয়েছে বিশ্রামে। তবে কামিন্স, হ্যাজলউড—দুজনকে নিয়েই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়া তাদের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
অস্ট্রেলিয়ার ১৫ সদস্যের দলে ডাক পাওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রথমবার কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট খেলবেন ম্যাট শর্ট ও অ্যারন হার্ডি। প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি খেলোয়াড় বাছাই নিয়ে বলেন, ‘সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, গত বছরের সফল ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে সাম্প্রতিক হোম সিরিজের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মূল খেলোয়াড়দের নিয়ে অভিজ্ঞ ও সামাঞ্জস্যপূর্ণ একটি স্কোয়াড গড়া হয়েছে। পাকিস্তানের কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ বিবেচনায় নিয়ে একাদশ সাজানোর জন্য বৈচিত্র্যময় সুযোগ পাবে টিম ম্যানেজমেন্ট।’
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনে একক প্রার্থী দেবে ৫টি ইসলামি দল
আগামী জাতীয় নির্বাচনে সমঝোতার মাধ্যমে আসনভিত্তিক একক প্রার্থী দেবে কওমি সমর্থিত পাঁচটি ইসলামি দল। দলগুলো হলো— চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন, মাওলানা মামুনুল হকের খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিস অপর অংশ ও মুফতি ইজহারের নেজামে ইসলাম পার্টি।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অফিসে ৫টি ইসলামী দলের এক যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
সভায় অন্য চার দলের নেতৃত্ব দেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি হজরত মাওলানা আব্দুল রব ইউসুফী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারি।
সভায় সমকালীন রাজনীতি নিয়ে বিস্তারিত আলাপ শেষে নির্বাচনসহ ৫টি বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়—
১. নির্বাচনে ইসলামপন্থিদের আসনভিত্তিক একক প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে কৌশলগত আলোচনা এগিয়ে নেওয়া।
২. আধিপত্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদমুক্ত একটি ইসলামি কল্যাণরাষ্ট্র তৈরির ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হওয়া, যাতে নতুন করে কোনো ফ্যাসিবাদ কোনোভাবেই প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে।
৩. ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও গণহত্যার সাথে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করা।
৪. প্রয়োজনীয় ও মৌলিক সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান।
৫. নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল করা।
সভায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের পক্ষে মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষে মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন এবং মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন, খেলাফত মজলিস অপর অংশের পক্ষে নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হুসাইন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুল জলিল, যুগ্মমহাসচিব অ্যাড. জাহাঙ্গীর হুসেন এবং উলামা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আলী হাসান উসামা এবং নেজামে ইসলাম পার্টির পক্ষে মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী,অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, হাফেজ মাওলানা ফজলে বারী মাসউদ এবং জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীম আবরার।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ