২০২৪ সালে কত আয় করেছেন অ্যাপল সিইও টিম কুক
Published: 13th, January 2025 GMT
অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের পর ২০১১ সাল থেকে অ্যাপলকে বেশ ভালোভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অ্যাপলের বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক। তাঁর নেতৃত্বেই অ্যাপল একের পর এক হালনাগাদ প্রযুক্তি ও পণ্য উদ্ভাবন করছে। আর তাই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে টিম কুক এক বছরে কত টাকা আয় করেছেন, তা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে অনেকেরই।
অ্যাপলের তথ্যমতে, প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে টিম কুক ২০২৪ সালে মোট ৭ কোটি ৪৬ লাখ মার্কিন ডলার পারিশ্রমিক পেয়েছেন, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি। গত বছর টিম কুকের মূল বেতন ৩০ লাখ ডলার থাকলেও ৫ কোটি ৮০ লাখ ডলারের শেয়ারসহ ১ কোটি ২০ লাখ ডলার বোনাস পেয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ব্যক্তিগত বিমান ভ্রমণের খরচ, অবসরকালীন সঞ্চয়, জীবনবিমার প্রিমিয়াম এবং ছুটি নগদায়নের জন্য আরও ১৫ লাখ ডলার পেয়েছেন তিনি। গত শুক্রবার অ্যাপলের প্রকাশিত প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক প্রক্সি স্টেটমেন্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২০২৪ সালে টিম কুকের পারিশ্রমিক ৫ কোটি ৯০ লাখ ডলারের মধ্যে সীমিত রাখার পরিকল্পনা ছিল অ্যাপলের। তবে কর্মক্ষমতাভিত্তিক প্রণোদনার কারণে সেই সীমা ছাড়িয়ে গেছে। অবশ্য তারপরও ২০২৪ সালে টিম কুকের মোট আয়ের পরিমাণ ২০২২ সালের তুলনায় প্রায় ১০ কোটি ডলার কম হয়েছে। ২০২২ সালে বিপুল আয়ের কারণে কর্মী ও শেয়ারহোল্ডারদের সমালোচনার মুখে অ্যাপলের পরিচালনা পর্ষদ টিম কুকের পারিশ্রমিক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
অ্যাপলের তথ্যমতে, ২০২৫ সালের জন্য কুকের পারিশ্রমিক কাঠামো অপরিবর্তিত থাকবে। তার নেতৃত্বে কোম্পানির ধারাবাহিক সফলতা ও কর্মদক্ষতার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পরিচালনা পর্ষদ জানিয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত সব ভ্রমণের জন্য ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহার করবেন তিনি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পুরস্কার তালিকা থেকে বাদ পড়ায় বাংলা একাডেমিকে ধন্যবাদ লেখকের
বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কারের সংশোধিত তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ায় বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন লেখক-গবেষক ড. মোহাম্মদ হাননান। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতির মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
গত ২৩ জানুয়ারি ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ ঘোষণা করা হয়। পরে ২৫ জানুয়ারি তালিকাটি স্থগিত করা করে বুধবার সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তিনজনের নাম বাদ পড়েছে। পূর্বের তালিকায় মোহাম্মদ হাননানকে মুক্তিযুদ্ধ, কথাসাহিত্যিক সেলিম মোরশেদকে কথাসাহিত্য এবং ফারুক নওয়াজকে শিশুসাহিত্যে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। এরমধ্যে সেলিম মোরশেদ পুরস্কারে মনোনীতদের তালিকা স্থগিতের পর পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিবৃতিতে ড. হাননান বলেন, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ প্রাপ্তির তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দেওয়ায় আমি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
কারো প্রতি অভিযোগ নেই উল্লেখ করে লেখক আরও উল্লেখ করেন, ‘দীর্ঘসময় ধরে লিখলেও রাষ্ট্রীয় কোনো পুরস্কারের জন্য মনোনীত হইনি, গত ১৬ বছরেও না। এ বছর আমার জন্য ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার’ ঘোষণার পর আমার নাম বাদ দেওয়ায় আমি যে দলহীন, গোত্রহীন একজন লেখক তা প্রমাণিত হয়েছে। আমি এজন্য স্বস্তি অনুভব করছি। আমার নাম বাদ দেওয়ায় কোনো খেদ নেই, অভিযোগ নেই। তবু সবাই শান্ত থাকুক।’
তিনি বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে লেখালেখি করছি। ‘বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস’ নামক গ্রন্থের ১৪টি খণ্ডসহ আমার মোট গবেষণা গ্রন্থের সংখ্যা ৫৮টি, শিশু-কিশোর সাহিত্য ২০টিসহ সম্পাদিত ও অন্যান্য গ্রন্থ মিলে আমার প্রকাশনা সংখ্যা এখন ১৩৪টি।
তিনি আরো লিখেছেন, ১৯৯১ সালে আমার লেখা ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আরও কাজ করি। ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয় ‘বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক গ্রন্থ। তথ্যগুলো দিলাম এ জন্য যে, আমার সম্পর্কে মানুষ খুব কমই জানে।