অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের পর ২০১১ সাল থেকে অ্যাপলকে বেশ ভালোভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অ্যাপলের বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক। তাঁর নেতৃত্বেই অ্যাপল একের পর এক হালনাগাদ প্রযুক্তি ও পণ্য উদ্ভাবন করছে। আর তাই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে টিম কুক এক বছরে কত টাকা আয় করেছেন, তা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে অনেকেরই।

অ্যাপলের তথ্যমতে, প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে টিম কুক ২০২৪ সালে মোট ৭ কোটি ৪৬ লাখ মার্কিন ডলার পারিশ্রমিক পেয়েছেন, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি। গত বছর টিম কুকের মূল বেতন ৩০ লাখ ডলার থাকলেও ৫ কোটি ৮০ লাখ ডলারের শেয়ারসহ ১ কোটি ২০ লাখ ডলার বোনাস পেয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ব্যক্তিগত বিমান ভ্রমণের খরচ, অবসরকালীন সঞ্চয়, জীবনবিমার প্রিমিয়াম এবং ছুটি নগদায়নের জন্য আরও ১৫ লাখ ডলার পেয়েছেন তিনি। গত শুক্রবার অ্যাপলের প্রকাশিত প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক প্রক্সি স্টেটমেন্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

২০২৪ সালে টিম কুকের পারিশ্রমিক ৫ কোটি ৯০ লাখ ডলারের মধ্যে সীমিত রাখার পরিকল্পনা ছিল অ্যাপলের। তবে কর্মক্ষমতাভিত্তিক প্রণোদনার কারণে সেই সীমা ছাড়িয়ে গেছে। অবশ্য তারপরও ২০২৪ সালে টিম কুকের মোট আয়ের পরিমাণ ২০২২ সালের তুলনায় প্রায় ১০ কোটি ডলার কম হয়েছে। ২০২২ সালে বিপুল আয়ের কারণে কর্মী ও শেয়ারহোল্ডারদের সমালোচনার মুখে অ্যাপলের পরিচালনা পর্ষদ টিম কুকের পারিশ্রমিক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

অ্যাপলের তথ্যমতে, ২০২৫ সালের জন্য কুকের পারিশ্রমিক কাঠামো অপরিবর্তিত থাকবে। তার নেতৃত্বে কোম্পানির ধারাবাহিক সফলতা ও কর্মদক্ষতার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পরিচালনা পর্ষদ জানিয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত সব ভ্রমণের জন্য ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহার করবেন তিনি।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কোটা নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র অধিকার পরিষদ

জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহত পরিবারের সন্তানদের সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে আজ সোমবার জরুরি সংবাদ সম্মেলন করছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বনি আমিন মোল্লা। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত বা আহতদের পরিবারের সদস্যদেরকেও কোটাব্যবস্থায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এই কোটা বৈষম্যকে বিলোপ করার জন্য যেই ২০১৮ সালে আন্দোলন করেছিলাম। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন হয়। কিন্তু আমরা ৭ মাস পার না হতেই দেখছি, যে বৈষম্যবিরোধী চেতনা তার বিরুদ্ধে গিয়ে সরকার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

তিনি বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে বলছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে এ ধরনের কোটা থাকতে পারে না।

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে যে কোটা সংস্কার আন্দোলন হয়েছে সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্র, তরুণ, জনতারা। যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদেরকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, শুধুমাত্র আমরাই এই দেশের মালিক নয়। এর মালিক এ দেশের সবাই। আমরা মনে করি, একটা বৈষম্যমূলক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেভাবে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেভাবেই ২০২৪-এ গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। মূলত একটা বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠান জন্য এই লড়াই।

বনি আমিন মোল্লা বলেন, রেলে কোটা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনও কোটা আছে। কিন্তু সেখানকার কোটা নিয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে স্কুলে ভর্তিতে কোটাব্যবস্থায় দৃষ্টি দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রদের বৈষম্য রোধ করতেই আমরা আন্দোলন করেছি। এই ছাত্রঅধিকার পরিষদের জন্ম হয়েছে। আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করেছি। ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ প্রযক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছি। সেই জায়গা থেকে আমরা আবার বলছি, কোটাব্যবস্থা চালু রয়েছে, এর বিলুপ সাধন করতে হবে। যদি না করা হয়, ছাত্রঅধিকার পরিষদ তীব্র থেকে তীব্রতর আন্দোলন শুরু করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পাচ্ছেন গবি শিক্ষার্থী আলীনুর
  • নকল করায় নোবিপ্রবির ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
  • ভর্তিতে নতুন কোটা বাতিলের দাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সক্রিপ্ট বিতরণ শুরু ৪ মার্চ
  • সাবেক মেয়র সূচনার ফ্ল্যাট ও ব্যাংক হিসাব জব্দ
  • জাপানে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছেন ওয়ারেন বাফেট
  • কোটা নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র অধিকার পরিষদ
  • আবার বন্ধ ১২ দেশে সুতা রপ্তানি করা সেই কারখানা
  • খুশিতে বগল বাজাচ্ছেন পুতিন
  • রাগবি, অ্যাথলেটিকস, বক্সিং, ফুটবলের পর ক্রিকেট—কোন খেলায় নেই তিনি