‘আমরা ফুটবল খেলিনি’, বার্সার কাছে বিধ্বস্ত হয়ে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি
Published: 13th, January 2025 GMT
মরুর বুকে বছরের প্রথম এল ক্লাসিকো, তাও আবার শিরোপা লড়াই। স্প্যানিশ সুপার কাপের এই ম্যাচ জিতলে ট্রফি জেতার পাশাপাশি লা লিগায় হারের শোধও নেওয়া হতো রিয়াল মাদ্রিদের। এমন ম্যাচে বার্সেলোনার বিপক্ষে শুরুতে এগিয়েও গিয়েছিল কার্লো আনচেলত্তির দল। কিন্তু ম্যাচে রিয়ালের সাফল্য বলতে অতটুকুই। পুরো ৯০ মিনিট ধরে রিয়ালের ওপর রীতিমতো ছড়ি ঘুরিয়েছে বার্সেলোনা।
এ দিন বার্সার গতিময় ও আক্রমণাত্মক ফুটবলকে থামানোর কোনো উপায়ই যেন জানা ছিল না রিয়ালের। যে কারণে প্রতিশোধ দূরে থাক, কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি কার্লো আনচেলত্তির দল। বিধ্বস্ত হয়েছে ৫-২ গোলে।
আরও পড়ুনগোলবন্যা, পেনাল্টি, লাল কার্ডের ক্লাসিকো শেষে সুপার কাপ বার্সেলোনার ৫ ঘণ্টা আগেম্যাচ শেষে দলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন রিয়াল কোচ। বিশেষ করে প্রথমার্ধে তার দল ফুটবলই খেলতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন এই ইতালিয়ান।
জেদ্দায় বার্সার আক্রমণের সামনে তাসের ঘরের মতো ধসে পড়েছে রিয়ালের রক্ষণ। শুধু রক্ষণই অবশ্য নয়, মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগেও রিয়ালের পারফরম্যান্স ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র-জুড বেলিংহামদের যেন খুঁজেই পাওয়া যায়নি।
শিষ্যদের এমন প্রদর্শনীতে ‘ভীষণ হতাশ’ আনচেলত্তি বলেছেন, ‘এটা বাজে একটি রাত। আমরা আমাদের সব সমর্থকদের মতোই হতাশ। আমাদের এটা আড়াল করা উচিত হবে না, এটাই ফুটবল। কখনো আমরা জিতব আবার কখনো হার থেকে আমাদের শিখতে হবে। আমাদের সামনে তাকাতে হবে।’
এমবাপ্পেকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন কোচ আনচেলত্তি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিপিএল প্লে-অফে রংপুর-বরিশালের সঙ্গী হচ্ছে কারা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম পর্ব শেষের পথে, প্লে-অফের লড়াই জমে উঠেছে। রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশাল ইতোমধ্যে শেষ চার নিশ্চিত করলেও, বাকি দুটি দল এখনো নির্ধারিত হয়নি। দুর্বার রাজশাহী শেষ মুহূর্তে দারুণ ফর্ম দেখিয়ে সমীকরণ জটিল করে তুলেছে, বিপাকে পড়েছে খুলনা টাইগার্স ও চিটাগং কিংস।
প্রথম পর্বের বাকি ছয় ম্যাচের পারফরম্যান্সই ঠিক করবে প্লে-অফে কারা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সিলেট স্ট্রাইকার্স ছিটকে গেলেও, বাকি চার দল এখনো দৌড়ে টিকে আছে।
প্লে-অফ নিশ্চিত হলেও শীর্ষ দুইয়ে থাকতে চাইবে রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশাল। কারণ কোয়ালিফায়ার খেলতে পারলে আরও একটি সুযোগ পাবে তারা। এক্ষেত্রে চিটাগং কিংস অন্তত একটি ম্যাচ হারলেই শীর্ষ দুই নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের।
দুর্বার রাজশাহীর সব ম্যাচ শেষ। খুলনা টাইগার্স দুটি ম্যাচের একটি হারলে রাজশাহী নিশ্চিতভাবেই প্লে-অফে যাবে। যদি খুলনা দুটি ম্যাচ জিতে, তাহলে নেট রান রেটের হিসাব চলে আসবে। এছাড়া চিটাগং কিংস তাদের তিন ম্যাচ হারলে প্লে-অফ নিশ্চিত হবে রাজশাহীর। তবে যদি চিটাগং একটি ও খুলনা দুটি ম্যাচ জেতে, তাহলে তিন দলের মধ্যে নেট রান রেটের হিসাব আসবে।
চিটাগং কিংসের বাকি খেলাগুলো হবে রংপুর রাইডার্স, সিলেট স্ট্রাইকার্স, ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে। তিন ম্যাচের সবকটি জিতলে সরাসরি প্লে-অফ নিশ্চিত হবে। দুই ম্যাচ জিতলে তৃতীয় হয়ে শেষ চারে যাবে। একটি জয় পেলেও প্লে-অফে যাওয়ার সুযোগ থাকতে পারে, তবে রাজশাহী ও খুলনার সঙ্গে নেট রান রেটের লড়াইয়ে পড়তে হবে। তিন ম্যাচ হারলেও খুলনা টাইগার্সের পারফরম্যান্সের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচ খেলবে খুলনা টাইগার্স। দুই ম্যাচের একটিতে জয় পেলেও প্লে-অফের সম্ভাবনা থাকবে, তবে চিটাগং কিংসের ফলাফলের ওপর নির্ভর করতে হবে। চিটাগং তিন ম্যাচ হারলে এক জয়েও খুলনা প্লে-অফে যেতে পারে, তবে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকতে হবে। দুই ম্যাচ জিতলেও রাজশাহীর সঙ্গে নেট রান রেটের সমীকরণে যেতে হবে।
প্লে-অফে খেলতে সবচেয়ে কঠিন সমীকরণ মেলাতে হবে ঢাকা ক্যাপিটালসকে। তারা এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে। তাদের শেষ দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল ও খুলনা টাইগার্স। এই দুই ম্যাচ জিতলেও তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের দিকে। চিটাগং আর একটি কিংবা খুলনা দুটি ম্যাচ জিতলেই বাদ ঢাকা।
শেষ মুহূর্তের লড়াইয়ে কোন দুই দল জায়গা পাবে প্লে-অফে, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে শেষ ছয় ম্যাচের ফলাফলের জন্য।