বড় কুম্বের পথে পথে ছড়ানো রোমাঞ্চ আর বিস্ময়
Published: 13th, January 2025 GMT
এক পাশে কালো পাথরের দেয়াল অন্য পাশে ঘন ঝোপ। পাথরের ফাঁকে ফাঁকে বয়ে যাচ্ছে ঝরনা থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ পানির স্রোত। বর্ষার খরস্রোতা পাহাড়ি ঝরনার পানির আঘাতে পাথরের বুকে তৈরি হয়েছে গভীর গর্ত। সেখানে পানি জমে তৈরি হয়েছে স্বচ্ছ জলাধার। নাম তার বড় কুম্ব। খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার বড় ত্রিপুরাপাড়া থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে এই বড় কুম্বের অবস্থান।
বড় ত্রিপুরাপাড়ার বাসিন্দা শেফালিকা ত্রিপুরার মতে, বড় কুম্বের পানি কখনো শুকায় না। আর এর গভীরতাও কেউ কখনো জানতে পারেননি। এলাকার সবাই মিলে একবার ১০টি মেশিনের মাধ্যমে পানি সেচ দেওয়ার পরও এই বড় কুম্বের পানি শেষ করতে পারেননি বলে জানান। বড় কুম্বের পাশে রয়েছে একটা প্রাচীন শিবমন্দির। জুমচাষিরা এখানে পূজা দিয়ে জুম চাষ শুরু করেন। অনেকে জুমের ফসল ঘরে তোলার পর পূজা দিতে আসেন। তাঁদের বিশ্বাস, এতে মঙ্গল হয়। আর বৈসু উপলক্ষে এখানে পূজা হয়। তখন অনেক লোকের সমাগম হয়।
বড় কুম্বে যাওয়ার পথটা দুর্গম হলেও পথে পথে পড়বে ঝরনা, গ্রাম, গাছ–গাছালি। সব দেখতে দেখতে দূর হয়ে যাবে হাঁটার ক্লান্তি। সম্প্রতি খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার বড় ত্রিপুরাপাড়া এলাকায়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দুই উইকেট নিয়ে সবার উপরে রিশাদ
মুলতান সুলতানের বিপক্ষে রিশাদ হোসেন মূল্যবান দুটি উইকেট পেলেও দিয়েছেন ৪৫ রান। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) এই ম্যাচে লাহোর কালান্দার্স অধিনায়ক শাহিন আফ্রিদি ব্যবহার করেছেন ৭ বোলার। একমাত্র আব্বাস আফ্রিদি ছাড়া বাকি সবারই রানরেট ছিল ৭ এর ওপরে। তাই রিশাদের ৪৫ রান খরচকে খুব একটা দৃষ্টিকুটু লাগছে না। তবে এরপরও টাইগার লেগ স্পিনারের হাতাশার বড় কারণ আছে। তার দল লাহোর যে হেরেছে ৩৩ রানে।
ঘরের মাঠ মুলতান স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিধান্ত নেন সুলতানের অধিনায়ক মুহাম্মদ রিজওয়ান। ইয়াসির খানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ২২৮ রানের পাহাড় গড়েছিল মুলতান। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ৪৪ বলে ৮৭ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি করে চার ও ছক্কায়।
জবাবে লাহোর ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রানে থামে। ৩৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে লাহোরকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছেন উবাইদ শাহ। এই ১৯ বছর বয়সী ক্রিকেটার পাকিস্তান জাতীয় দলের পেসার নাসিম শাহর ছোট ভাই।
রিশাদ এই ম্যাচে প্রথম বল করতে আসেন সপ্তম ওভারে। তার আগে মুলতান পাওয়ারপ্লেতে এই আসরের সর্বোচ্চ ৭৯ রান তুলে বিনা উইকেটে। প্রথম ওভারে রিশাদ বিলিয়েছেন ১০ রান। ১২তম ওভারে দিয়েছেন ১২ রান। নিজের শেষ দুই ওভারে ২ আরও ২৩ রান দিলেও তুলে নেন উসমান খান আর অ্যাস্টন টার্নারের উইকেট।
খরুচে বোলিং করলেও এদিন পিএসএলে বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী বোলার হয়ে গিয়েছেন রিশাদ। এই লেগি ছুঁয়ে ফেলেছেন সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের গড়া কীর্তি। পিএসএলে সাকিব ও রিয়াদ পেয়েছেন সমান ৮টি করে উইকেট, যা এখন আছে রিশাদেরও। তবে এই ২২ বছর বয়সী স্পিনারে ৮ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৩ ম্যাচে, যেখানে বাকি দুজনের লেগেছিল অন্তত দুই আসর।
২০১৬-১৭ মৌসুমে রিয়াদ খেলেছিলেন কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের জার্সিতে। সেই আসরে পেয়েছিলেন ৭ উইকেট। রিশাদ ইতিমধ্যেই সেটা অতিক্রম করেছে। তবে চলতি আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় আপাতত আছেন তিনে। জেসন হোল্ডারের ১১, হাসান আলীর ১০ উইকেটের পরেই আছেন রিশাদ।
ঢাকা/নাভিদ