এফ এ কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে আর্সেনাল। তৃতীয় রাউন্ডের খেলায় রোববার রাতে এমিরেটস স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তাদেরকে হারিয়েছে। 

তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ম্যাচ নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ গোলে অমীমাংসতি ছিল। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৫-৩ গোলে জিতে পরবর্তী রাউন্ডে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ম্যানইউর জয়ের নায়ক গোল রক্ষক আলতায় বানিনদির। নির্ধারিত সময়ে আর্সেনালের একটি স্পটকিক আটকে দেন। পরবর্তীতে টাইব্রেকারেও শট আটকে দেন। 

ম্যাচের প্রথমার্ধ অনেকটা নিরুত্তাপ কেটেছে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে এগিয়েছে ম্যাচ। দুয়েকটি সুযোগ দুই দলই তৈরি করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। 

ম্যাচের মূল উত্তেজনা ছড়ায় দ্বিতীয়ার্ধে। যেখানে দুই দল গোল করেন, মারামারিতে জড়ায়, লাল কার্ড পাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। 

৫২ মিনিটে চমৎকার গোলে ব্রুনো ফার্নান্দেজ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে এগিয়ে নেন। বক্সের ডান দিক থেকে গার্নাচোর বাড়ানো পাস থেকে জোরাল শটে গোল করেন পর্তুগিজ তারকা।  

কিন্তু ৭২ মিনিটে ইউনাইটেডের মাথায় চিন্তার ভাঁজ। আর্সেনাল পেনাল্টি পায়। কিন্তু প্রহরী হয়ে থাকা বানিয়াদি, মার্টিন ওডেগার্ডের নেওয়া শট বাঁয়ে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন। 

পেনাল্টি বক্সে ফাউলের শিকার হয়েছিলেন কাই হাভার্টজ। রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিলে দুই দলের ফুটবলাররা অতীত ঐতিহ্য ধরে রেখে মারামারিতে জড়ায়। অবশ্য পেনাল্টির আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ১০ দলের দলে পরিণত হয়। ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখায় মাঠ ছাড়তে হয় দালোতকে। 

তার উঠে যাওয়ার পরপরই ৬৩ মিনিটে আর্সেনাল সমতায় ফেরেন। গ্যাব্রিয়েলে মার্তিনেল্লির ক্রসে ভলি করে গোল করেন আরেক গ্যাব্রিয়েল। এই ১-১ গোলের সমতাতেই নির্ধারিত সময়ের ম্যাচ শেষ হয়। পরবর্তীতে অতিরিক্ত মিনিটেও দশ জনের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জালে বল পাঠাতে পারেনি আর্সেনাল। 

টাইব্রেকারে আর্সেনালের কাই হাভার্টাজের নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন বানিয়দি। অন্যদিকে ইউনাইটেড পাঁচ শটের পাঁচটিই জালে পাঠায়। তাতে আর্সেনালের শেষ শটটা নেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি

টিউশন শেষে বাসায় ফেরার পথে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের তৎপরতায় চার ঘণ্টার মধ্যে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।

উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থীর নাম শাকিল আহমেদ। তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সহ-সভাপতি।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কুমিল্লা শহর থেকে ফেরার পথে কয়েকজন অপহরণকারী তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এরপর তার পরিবার ও বন্ধুদের কাছে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা পুলিশের সহযোগিতায় প্রায় চার ঘণ্টা পর কুমিল্লার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে শাকিলকে উদ্ধার করেন। এসময় এক অপহরণকারীকে আটক করা হয়।

এবিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মুহসিন জামিল বলেন, রাত ১২টা ৫৮ মিনিটে আমরা জানতে পারি সবুজকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা আটকে রেখে টাকা দাবি করছে। গ্যাংয়ের সদস্যরা সবুজের মাধ্যমে ফোন দিচ্ছে। তারপর আমরা ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সাঈদ ভাইকে জানালে ওনারা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে। এরপর থেকেই পুলিশ সবুজের লোকেশন ট্রেস করতেছিল। পরবর্তীতে পুলিশ ও আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৪ ঘণ্টা পর একটা পরিত্যক্ত বিল্ডিং থেকে সবুজকে উদ্ধার করি।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের সদস্য সচিব মুহাম্মাদ রাশেদুল হাসান বলেন, সবুজের বিষয়টি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাঈদ আমাকে অবগত করে। সাথে সাথে ওসি কোতোয়ালিকে ফোন দিয়ে তা জানানো হয়। আমাদের মহানগর কমিটির একটি টিম কান্দিরপাড় অঞ্চলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সবুজের লোকেশন শনাক্ত করা হয়। পুলিশ, বিভাগীয় চেয়ারম্যান মোরশেদ কাজেম স্যার, বৈবিছা-র সদস্যবৃন্দ, সবুজের সিনিয়র-জুনিয়র-ব্যাচমেট সবার তৎপরতায় আনুমানিক রাত ৩টায় সবুজকে উদ্ধার করতে আমরা সমর্থ হই।

এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তিন থেকে পাঁচজনের একটি চক্র শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে। পরে রাত আড়াইটার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে, বাকি অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি
  • দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফার খবরে দরবৃদ্ধির শীর্ষে এনার্জিপ্যাক
  • কেউ বললেই যেন আমরা বিদেশে দৌড় না দেই : শামীম আজাদ
  • ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকতে পারে কালও