সকালে এই ৭ অভ্যাস গড়ুন আর খারাপ কোলেস্টেরলকে বলুন বিদায়
Published: 13th, January 2025 GMT
কোলেস্টেরল নিয়ে দুশ্চিন্তাহীন দিন শুরু করতে আপনাকে সকালের ছোটখাটো কিছু অভ্যাসে আনতে হবে হালকা পরিবর্তন। এর মধ্যে আছে খালি পেটে কুসুম গরম লেবুপানি খাওয়া থেকে দ্রুত হাঁটা। আপনার হৃদ্স্বাস্থ্য দিনজুড়ে দারুণ রাখতে এমন চেষ্টা করতেই পারেন।
রক্তের কোলেস্টেরল উপাদানটি কোষ গঠনের জন্য খুব দরকারি। তবে রক্তে এর ঘনত্ব বা মাত্রা বেশি হলে তৈরি হয় সমস্যা। মাত্রার ওপর ভিত্তি করে কোলেস্টেরলকে মোটাদাগে দুই ভাগে ভাগ করা যায়, কম ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল), যাকে বলে খারাপ কোলেস্টেরল ও উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল), যা ভালো কোলেস্টেরল নামে পরিচিত।
এলডিএল ধমনিতে চর্বি জমিয়ে হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি করে। অন্যদিকে এইচডিএল রক্তের চর্বিকে যকৃতে পাঠিয়ে দিয়ে ঝুঁকি কমায়। এখন দেখা যাক, সকাল সকাল কোন অভ্যাসগুলো রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমায়।
আরও পড়ুন‘খারাপ’ কোলেস্টেরল কী কী করতে পারে০৯ জুন ২০২৩১.কুসুম গরম লেবুপানি
সকালে খালি পেটে কুসুম গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খান। এটি পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার করে চর্বি পরিপাকে সাহায্য করে। লেবুতে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এসব উপাদান খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ধমনিতে প্লাক জমতে বাধা দেয়। এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্যকর দিন শুরুর এটাই সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর তরিকা।
আরও পড়ুনকুসুম গরম লেবু–পানি খেয়ে শীতের সকাল শুরু করলে পাবেন এই ৭ উপকারিতা১৬ ডিসেম্বর ২০২৪২. আঁশসমৃদ্ধ নাশতাদিন শুরু করুন দ্রবণীয় আঁশযুক্ত নাশতা দিয়ে। সকালের নাশতায় ওটস বা চিয়াসিডের মতো খাবার অথবা ফলমূল, যেমন আপেল বা কলা থাকতে পারে। দ্রবণীয় আঁশ অতিরিক্ত কোলেস্টেরলকে এক অর্থে বেঁধে রাখে, যাতে তা রক্তপ্রবাহের সঙ্গে মিশতে না পারে। সকালের নাশতায় এই অভ্যাস শুধু খারাপ কোলেস্টেরল কমাতেই সাহায্য করবে না, দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকার অনুভূতিও দেবে।
আরও পড়ুনমাত্র ১ সপ্তাহ চিয়া সিড খেলে শরীরে যে পরিবর্তনগুলো লক্ষ করবেন০১ আগস্ট ২০২৪৩. একমুঠো বাদামসকালের নাশতায় একমুঠো বাদাম রাখতে পারেন। সেটা হতে পারে কাঠবাদাম বা আখরোট। আবার তিসি, তুলসীবীজ বা অন্য কোনো বাদামও হতে পারে। এসব খাবার ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও অসম্পৃক্ত চর্বিসমৃদ্ধ। এসব খাবার ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। মনে রাখবেন, একমুঠো বাদাম মানে একমুঠোই, এর বেশি নয়। কারণ, বাদামে কিন্তু ক্যালরি অনেক বেশি!
আরও পড়ুনদিনে কখন ও কয়টি কাঠবাদাম খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার২৩ ডিসেম্বর ২০২৪৪. দ্রুত হাঁটুনসকালে ২০ থেকে ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটুন। এটা কোলেস্টেরল কমানোর ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলে। হাঁটার মতো নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড জমানো কমিয়ে দেয়। ট্রাইগ্লিসারাইড একধরনের চর্বি, যা শরীরে শক্তি সঞ্চয়ের প্রধান উৎস। কিন্তু অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো রোগের ঝুঁকি তৈরি করে। সকালের হাঁটা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা পুরো দিন চলার জন্য শরীরে ছন্দ এনে দেয়।
আরও পড়ুনকোন বয়সে প্রতিদিন কত মিনিট হাঁটবেন২৫ নভেম্বর ২০২৪৫. যোগব্যায়ামসকালে সাধারণ কিছু যোগব্যায়াম ও পেশির সংকোচন-প্রসারণ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এসব ব্যায়াম কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। ‘সর্প’ ও ‘সেতু’র মতো সাধারণ যোগাসন রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এসব আসন কার্ডিওভাসকুলার রোগ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। অর্থাৎ সকালে মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটের যোগব্যায়ামই আপনার দুশ্চিন্তা লাঘবে বড় ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুনরোগ প্রতিরোধী যোগব্যায়াম২৭ অক্টোবর ২০২১৬. কফির বদলে গ্রিন টিআপনি কফিপ্রেমী হলে কষ্ট করে সকালে কফিকে ‘না’ বলুন। এর বদলে বন্ধু পাতান গ্রিন টির সঙ্গে। প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ঠাসা গ্রিন টি খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। সকালে এক কাপ গ্রিন টি আপনাকে যেমন ঝরঝরে করে তুলবে, তেমনি আপনার হৃৎপিণ্ডকে রোগের হাত থেকে রক্ষাও করবে।
আরও পড়ুনগ্রিন টি কি সত্যিই ওজন কমায়? ০৯ জুলাই ২০২৪৭. সকালে চিনিযুক্ত খাবারকে ‘না’সকালের নাশতায় চিনিযুক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারকে ‘না’ বলুন। অতিরিক্ত চিনি ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ বাড়ায় এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। সকালে যদি আপনার রসনা চিনিযুক্ত খাবার ছাড়া তৃপ্ত না-ই হতে চায়, তাহলে মধু বা তাজা ফল খেতে পারেন।
এভাবে রোজ সকালে ছোটখাটো কিন্তু ধারাবাহিক পরিবর্তন আনলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারবেন। তাই আজই এসব অভ্যাস শুরু করুন আর খারাপ কোলেস্টেরলকে বলুন বিদায়।
সূত্র: হেলথ লাইন
আরও পড়ুন১৪ দিন চিনি না খেলে যেসব আশ্চর্য উপকার আপনি পাবেন ২৯ জুলাই ২০২৪উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বইমেলা উপলক্ষে ঢাবিতে যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা শিথিল
অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বহিরাগত যানবাহন প্রবেশের ক্ষেত্রে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাবির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অমর একুশে বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। সারা দেশ থেকে বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ এ বইমেলায় আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে তাদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে প্রবেশপথগুলোতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে যে বিধি-নিষেধ থাকে, তা অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে শিথিল করা হলো। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো ব্যারিকেড রাখবে না।
তবে, ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এ প্রবেশপথগুলোতে সুশৃঙ্খলভাবে যানবাহন প্রবেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যানবাহনগুলো সুশৃঙ্খলভাবে পার্কিং করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবক দল এবং প্রক্টরিয়াল মোবাইল সিকিউরিটি টিমের সদস্যরা ট্রাফিক বিভাগকে এ ব্যাপারে সার্বিক সহায়তা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
ঢাকা/সৌরভ/রফিক