সাতকানিয়ার সাবেক এমপি নদভী ৫ মামলায় গ্রেপ্তার
Published: 13th, January 2025 GMT
চট্টগ্রাম-১৫ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নদভীকে পাঁচ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। রোববার (১২ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুমিনুন্নিসা খানম পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আইনজীবীর আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আসামিকে কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন ও চিকিৎসা সুবিধা দিতে জেল সুপারকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন আদালত।
চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমান বলেন, লোহাগাড়া থানার তিন মামলায় এবং সাতকানিয়া থানার দুই মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য নদভীকে গ্রেপ্তার দেখাতে পুলিশ আবেদন করলে, তা মঞ্জুর করেন আদালত। নদভীর ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রোববার সকাল ৯টার দিকে নদভীকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আবার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাকে চট্টগ্রাম কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়। লোহাগাড়া থানার তিনটি মামলার মধ্যে দুটি বিস্ফোরক আইন এবং একটি হত্যা মামলা। আর সাতকানিয়া থানার দুটি মামলা বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা হয়েছে। এই পাঁচ মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য নদভী এজাহার নামীয় আসামি।
গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সাবেক এই সংসদ সদস্যকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর লালবাগ থানায় দায়ের করা ঢাকা আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।