Samakal:
2025-03-10@08:28:51 GMT

বেড়েই চলেছে দাবানলের তীব্রতা

Published: 13th, January 2025 GMT

বেড়েই চলেছে দাবানলের তীব্রতা

দাবানলে এখনও দাউ দাউ করে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস। সবচেয়ে বড় প্যালিসেডস দাবানলটি নেভাতে বিমান থেকে ফেলা হচ্ছে পানি ও অগ্নিনির্বাপক। এ ছাড়া স্থলে থাকা দমকলকর্মীরাও বাড়িয়েছেন কাজের গতি। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সেখানে ১১০ কিলোমিটার গতিতে ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। এতে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় প্যালিসেডস দাবানলটি আরও ১ হাজার একর জায়গাজুড়ে ছড়িয়েছে। এতে নতুন করে পুড়েছে আরও বাড়িঘর। তীব্রতা বাড়ার আগে প্যালিসেডস এবং ইটন দাবানলের বেশ কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণে এনেছিলেন দমকলকর্মীরা। কিন্তু ঝোড়ো বাতাসের কারণে হঠাৎ করে আগুন আবারও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে।

গত মঙ্গলবার থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসের বিভিন্ন জায়গায় ছয়টি আলাদা দাবানল জ্বলে ওঠে। এখন পর্যন্ত সেখানে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ১২ হাজারের বেশি অবকাঠামো। এ ছাড়া ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। দাবানল পুরোপুরি নিভে গেলে উদ্ধারকারীরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে খোঁজ চালাবেন। ওই সময় আরও অনেকের মরদেহ পাওয়া যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা টড হপকিন্স এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, প্যালিসেডস দাবানলের ১১ শতাংশ তারা আটকাতে পেরেছেন। এই দাবানলে পুড়েছে ২২ হাজার একর জায়গা। তবে ভয়ের বিষয় হলো, দাবানলটি ৪০৫ ফ্রি ওয়ে নামের একটি মহাসড়কের কাছে পৌঁছে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ সর্বশেষ বার্তায় জানায়, স্থানীয় সময় শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত লস অ্যাঞ্জেলেস এবং ভেনচুরা কাউন্টিতে শক্তিশালী বাতাস বইতে পারে। এর পর সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত একই পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে। ওই সময় থেকে ৫০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, যা আগুনকে উস্কে দিয়ে পরিস্থিতি খারাপ করতে পারে।

দাবানলের কারণে লস অ্যাঞ্জেলেসের ১ লাখ ৫৩ হাজার বাসিন্দাকে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ৫৭ হাজার অবকাঠামো ধ্বংস হতে পারে বলে সতর্কতা দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি ১ লাখ ৬৬ হাজার বাসিন্দাকে আগাম সতর্কতা দিয়ে বলা হয়েছে, যে কোনো সময় সরে যাওয়ার নির্দেশনা আসতে পারে। 

এমন বিপর্যয়ের মধ্যেই সাধারণ মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করতে সমর্থ হয়েছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া এডিসন। প্রতিষ্ঠানটির সিইও স্টেভেন পাওয়েল গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, এখন মাত্র ৫০ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। গত কয়েক দিন আগেও যা প্রায় ৫ লাখ ছিল। অভিযোগ উঠেছে হার্স্ট দাবানলটি সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার যন্ত্রপাতি থেকে লেগেছে। তবে স্টেভেন পাওয়েল জানিয়েছেন, তারা এ ধরনের কোনো প্রমাণ পাননি, যদিও অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত আছে।

দাবানলের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সেখানকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিপর্যয় ঘোষণা করেন তিনি। এতে করে সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তা পাওয়ার পথ সুগম হয়। যারা দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সহায়তা পাবেন বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।

লস অ্যাঞ্জেলেসের পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৪০টি উদ্ধারকারী দল ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে তল্লাশি চালানো শুরু করেছে। তাদের সঙ্গে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কুকুরও রয়েছে। উদ্ধারকারী দলের সদস্য ও কুকুর মরদেহের খোঁজ করবে। খবর রয়টার্সের।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরার সেই শিশুটির অবস্থা অপরিবর্তিত

মাগুরায় ‘ধর্ষণের’ শিকার আট বছর বয়সী শিশুর অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। শিশুটির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসকের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর মামাতো ভাই।

সোমবার (১০ মার্চ) এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘‘চিকিৎসক জানিয়েছেন, অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত। লাইফ সাপোর্টেই আছে।’’

এর আগে, গত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শিশুটির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন পোস্টে বলা হয়, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় শিশুটির লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়েছে। তবে, এ তথ্যের সত্যতা নেই বলে নিশ্চিত করেছেন ওই স্বজন।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার মাগুরা শহরতলির নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। শিশুটি বর্তমানে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় গত শনিবার শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন।

মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। রবিবার মামলার প্রধান আসামির ৭ দিন এবং বাকিদের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকা/শাহীন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ