কুয়াকাটায় সাংবাদিক ও তার বাবার ওপর হামলা
Published: 13th, January 2025 GMT
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় সাংবাদিক কে. এম বাচ্চু ও তাঁর বাবা মো. ইউনুচ খলিফাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাত সাড়ে ৮টায় কুয়াকাটা পৌর শহরের চৌরাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত সাংবাদিক ও তাঁর বাবাকে প্রথমে কুয়াকাটা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি মো.
স্থানীয়রা জানান, সাংবাদিক কে. এম বাচ্চুর বাবা ইউনুচ খলিফা রাত ৮টায় চৌরাস্তায় বসে আলাপচারিতা করছিলেন। এ সময় ওই এলাকার এক বাদাম বিক্রেতার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলী খন্দকার। ওই বাদাম বিক্রেতাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন তিনি। পরে ইউনুচ খলিফা প্রতিবাদ করলে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায় আলী খন্দকার। বাবাকে মারধরের কথা শুনে কিছুক্ষন পর সাংবাদিক বাচ্চু সেখানে পৌঁছলে পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা ও আলী খন্দকারের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন লাঠিসোটা নিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেন। এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে স্থানীয়রা ওই সাংবাদিক ও তার বাবাকে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. রাসেল জানান, বাচ্চুকে ৩/৪ জন মিলে মারধর করছে এমন অবস্থায় আমি তাঁকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও মারধর করা হয়। তবে আমি না গেলে ওরে মেরে ফেলত শ্রমিক দল ও কৃষক দলের কর্মীরা।
এ ব্যাপারে কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা বলেন, আমি ওখানে গিয়ে দেখি বাচ্চু খলিফাকে মারধর করা হচ্ছে। পরে আমি মারধর থামাতে গেলে বাচ্চু নিজেই আমার ওপর হামলা চালায়। আমি বর্তমানে কুয়াকাটা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি।
তবে, কুয়াকাটা পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলী খন্দকারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, কুয়াকাটা এখন শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাবরকে ছাড়িয়ে গেলেন কোহলি
এই মৌসুমটা দারুণ কাটছিল রইয়্যাল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরুর। তবে একটাই খুঁত ছিল, ঘরের মাঠে জিততে পারছিল না বিরাট কোহলিরা। নিজেদের ডেরায় টানা তিন ম্যাচ হারে দলটি। হতাশাজনক ব্যাটিং পারফরম্যান্সের পর অবশেষে বেঙ্গালুরু চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দুইশর বেশি রান করতে সক্ষম হয় এবং এক রোমাঞ্চকর জয় পায় রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটের বিনিময়ে পায় ২০৫ রানের পুঁজি। সেই রান তাড়া করতে নেমে সুবিধাজনক জায়গা থেকেও ১১ রানে ম্যাচ হারে রাজস্থান। ম্যাচে ৭০ রানের ইনিংস খেলা কোহলি এই রাতে ছাড়িয়ে গেলেন বাবর আজমের একটি রেকর্ড।
বিরাট কোহলি খেলেন ৪২ বলে ৭০ রানের ইনিংস। ৩২তম বলে ফিফটি ছুঁয়ে কোহলি গড়েন নতুন রেকর্ড। আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগসহ সব ধরনের স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে সবচেয়ে বেশি ৬২টি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলেছেন কোহলি। এতদিন ৬১টি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলে এই রেকর্ড ছিল বাবরের।
আরো পড়ুন:
বেঙ্গালুরুর জন্য ঘরের মাঠ বিভীষিকা
‘ভাবিনি ১৫ বছর একসাথে খেলব’
ম্যাচ শেষে কোহলি, “আমরা ঘরের মাঠে তিনটি গড়পড়তা ম্যাচ খেলেছি এবং ব্যাটিং ইউনিটে কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি যে, আমাদের কী কী ঠিক করতে হবে। আজ আমরা বোর্ডে ভালো রান তুলতে পেরেছি। আমরা অনুভব করছিলাম যে পিচটা স্কোরবোর্ডে যেরকম দেখা যাচ্ছিল, ততটা সহজ ছিল না।”
ঢাকা/নাভিদ