অমর একুশে বইমেলা ২০২৫–এ প্যাভিলিয়ন ও স্টল বরাদ্দ প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমির কাছে ১০টি দাবি জানিয়েছেন সুবিচারপ্রত্যাশী প্রকাশকেরা। রোববার বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম ও মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব সরকার আমিনের কাছে এসব দাবি উপস্থাপন করেন তাঁরা।

প্রকাশকদের একাংশের দাবির মধ্যে আছে প্যাভিলিয়ন/স্টল অবনমনকৃত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর বরাদ্দ আগের বছরের মতো করে পুনর্বহাল, অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য নিরপেক্ষ কমিটি গঠন, বইমেলা প্রাঙ্গণে অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

তবে ‘সুবিচারপ্রত্যাশী প্রকাশকবৃন্দ’ প্ল্যাটফর্মের প্রকাশকেরা বলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আনা বিগত সরকারের ‘দোসর’ ও ‘সুবিধাভোগী’ এই ট্যাগিং নিয়ে সরাসরি বাংলা একাডেমির কাছ থেকে তাঁরা উত্তর শুনতে চান। বাংলা একাডেমিকে ঘোষণা দিতে হবে, এই ট্যাগিং একাডেমির দেওয়া নয়।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের কাছে দাবি নিয়ে যাওয়া সুবিচারপ্রত্যাশী প্রকাশকবৃন্দের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আগামী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ওসমান গনি, অন্যপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম, সময় প্রকাশনের ফরিদ আহমেদসহ ১৫ থেকে ১৬ জন প্রকাশক।

প্রকাশকদের একাংশের ১০ দাবির মধ্যে আরও আছে—যদি কোনো প্রকাশকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তবে তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। তারপর কোনো যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। অনিবন্ধিত সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের বইমেলা পরিচালনা কমিটি থেকে বাদ দিতে হবে।

সুবিচারপ্রত্যাশী প্রকাশকবৃন্দের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, ‘পত্রিকার সংবাদ থেকে আমরা জানতে পেরেছি, গুটি কয়েক প্রকাশক বেশ কিছু প্রকাশককে বিগত সরকারের “দোসর এবং সুবিধাভোগী” হিসেবে অভিযোগ করেছে। আমরা মনে করি, ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত হিংসার বশবর্তী হয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ অভিযোগ। আমাদের মনে হয়েছে, কাউকে কাউকে বিশেষভাবে হেয় করতেই এই অভিযোগ। অথচ বাংলা একাডেমি এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল বলে আমাদের জানা নেই। এমনকি অভিযুক্ত প্রকাশকদের এ বিষয়ে জবাবদিহি করার কোনোরকম সুযোগ দেওয়া হয়নি। উপরন্তু অভিযোগকারী প্রকাশকদের নিয়েই সাবকমিটি গঠন করা হয়েছে, যে সাবকমিটি অভিযুক্ত প্রকাশকদের বরাদ্দ বাতিল এবং অবনমন করেছে। এখানে দেখা যাচ্ছে, বাদী নিজেই বিচারক হয়ে বিচারের রায় প্রদান করছে, যা নজিরবিহীন।’

এ বিষয়ে অন্যপ্রকাশের মাজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘গুটিকয় প্রকাশকের অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্যপ্রমাণ ছাড়া যাচাই–বাছাই না করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এভাবে কাউকে ট্যাগ করে দেওয়া যায় না। বিগত সরকারের দোসর, সুবিধাভোগী এসব ট্যাগ বাংলা একাডেমির দেওয়া না, এটা তাদের বলতে হবে। অন্য সব দাবির সঙ্গে আমরা বাংলা একাডেমির কাছে সে দাবিও জানিয়েছি।’

বাংলাদেশের সৃজনশীল প্রকাশকদের একাংশের দেওয়া এসব দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম প্রথম আলোকে বলেন, ট্যাগিং বাংলা একাডেমি করেনি ঘোষণা দেওয়ার দাবিসহ সব দাবি মেলা পরিচালনা কমিটির কাছে দেওয়া হয়েছে। কমিটি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ প্লে অফে রিয়াল-ম্যানসিটি মুখোমুখি 

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির খারাপ সময় যেন শেষই হচ্ছে না। নতুন ফরম্যাটের গ্রুপ পর্বে খারাপ সময় পার করেছে দু’দলই। ম্যানসিটি গ্রুপের শেষ ম্যাচে জিতে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে। 

রিয়াল মাদ্রিদের প্লে অফে উঠতে খুব বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। তবে সেরা আটে থেকে সরাসরি শেষ ষোলো নিশ্চিত করতে পারেনি কার্লো আনচেলত্তির দল। 

সেরা আটে থাকতে না পারার শাস্তিই যেন পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। সেরা ষোলোয় যাওয়ার লড়াইয়ে প্লে অফ খেলতে হবে রিয়ালের। ওই লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে পেয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। 

আগামী ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে অফের প্রথম লেগ মাঠে গড়াবে। ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়াবে প্লে অফের দ্বিতীয় লেগ। শেষ ষোলোর লড়াই ৪ ও ৫ মার্চ এবং ১১ ও ১২ মার্চ মাঠে গড়াবে। 

কোয়ার্টার ফাইনাল হবে ৮ ও ৯ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় লেগ হবে ১৫ ও ১৬ এপ্রিল। এছাড়া ২৯ ও ৩০ এপ্রিল সেমিফাইনালের প্রথম লেগ এবং ৬ ও ৭ মে দ্বিতীয় লেগ মাঠে গড়াবে। ৩১ মে হবে ফাইনাল। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ