২০২৪ সাল: বিজিবির অভিযানে ২ হাজার ১৮৪ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ
Published: 12th, January 2025 GMT
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ২০২৪ সালে দেশের বিভিন্ন সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ১৮৪ কোটি ২৮ লাখ ৫২ হাজার টাকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে। একই সময়ে বাহিনীটি নানা অভিযোগে দেশ ও বিদেশের কয়েক হাজার নাগরিককে আটক করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে।
রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি এসব তথ্য জানিয়েছে। বিজিবি বলেছে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে এসব পণ্য জব্দ করা হয়েছে।
জব্দ পণ্যের মধ্যে রয়েছে সোনা, রুপা, শাড়ি, তৈরি পোশাক, প্রসাধনসামগ্রী, চিনি, চা–পাতা, পেঁয়াজ, রসুন, জিরা। পাশাপাশি ২০৭টি ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান, ৮টি বাস, ৪৭টি প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস, ৯১টি পিকআপ, ৩৮৩টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৮৭৩টি মোটরসাইকেল ও ২৩৫টি বাইসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
গত এক বছরে বিজিবির অভিযানে নানা ধরনের অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৩৮টি পিস্তল, ৫টি এসএমজি, ১৮টি গ্রেনেড, ৮টি রাইফেল, ৬টি রিভলবার, ৫২টি গান, ৮ হাজার ৮৫৯টি গোলাবারুদ, ৪৫টি ম্যাগাজিন, ৪টি মর্টার শেল, ৪১টি ককটেল, ১০ দশমিক ৪৪ কেজি গানপাউডার এবং ২৩৩টি ব্লাঙ্ক কার্টিজ।
একই সময়ে চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ হাজার ৮৮ জনকে আটক করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ২ হাজার ৬৭৮ বাংলাদেশি নাগরিক, ১৫৫ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ১৪ হাজার ৩৩৬ জন মিয়ানমারের নাগরিকের বিরুদ্ধেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান ফয়েজ হামিদের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার–সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ফয়েজ হামিদকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি সামরিক আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন ও রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
ফয়েজ হামিদ ২০২৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আইএসআইয়ের প্রধান ছিলেন। ওই সময় পাকিস্তানের সরকারপ্রধান ছিলেন ইমরান খান। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান এখন কারাগারে আছেন।
ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন ফয়েজ হামিদ। ইমরান খান তাঁকে আইএসআইয়ের প্রধান করেছিলেন। ২০২২ সালে পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হলে নির্ধারিত সময়ের আগে অবসরে যান গোয়েন্দাপ্রধান ফয়েজ হামিদ।
পাকিস্তানের সামরিক প্রেক্ষাপটে সেনাপ্রধানের পর আইএসআইয়ের প্রধানকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটিতে এর আগে আইএসআইয়ের কোনো প্রধানকে কখনোই সামরিক আদালতে বিচার করা হয়নি।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানায়, ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট এ বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে পাকিস্তানের সামরিক আইনের আওতায় বিচার কার্যক্রম চলেছে।
ফয়েজ হামিদের আইনজীবী মিয়া আলি আশফাক বলেন, বর্তমানে সেনা হেফাজতে থাকা তাঁর মক্কেল ‘এক হাজার শতাংশ’ নির্দোষ। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তিনি।
আরও পড়ুনপাকিস্তানে প্রথমবারের মতো বিচারের মুখে সাবেক আইএসআই প্রধান১২ আগস্ট ২০২৪