নারায়ণগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ওয়াজেদ সীমান্ত (২০) হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত চাকুসহ চান্দি বাবু নামের আরও এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত দুইটার দিকে ফতুল্লা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চান্দি বাবু শিক্ষার্থী ওয়াজেদ হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি। ওয়াজেদ আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের (এআইইউবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত চান্দি বাবু এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হোতা। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এর আগে ১৭ ডিসেম্বর পুলিশ অনিক (২৮) নামের এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার এবং তাঁর কাছ থেকে ওয়াজেদের মুঠোফোন উদ্ধার করে। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর সাইদুর রহমান (৩৬) নামের আরও এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত উঠে আসে।

গত ১২ ডিসেম্বর ভোরে শহরের দেওভোগের বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় ওয়াজেদ ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। ছিনতাইকারীরা তাঁকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ ডিসেম্বর মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ওয়াজেদের বাবা আলম মিয়া বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোট তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করল। ছিনতাইকারীরা ছিনতাইকালে ওয়াজেদকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় আবাসিক এলাকায় শিল্পকারখানা বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ 

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার দেলপাড়ায় আবাসিক এলাকায় অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা পরিবেশ দুষণকারী এম আলী টেক্সটাইল মিলটি দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। এসময় অনুলিপি হিসাবে পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। 

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ফতুল্লার পূর্ব দেলপাড়া এলাকাবাসীর পক্ষে হাজী মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ'র স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার পূর্ব দেলপাড়া খেলার মাঠ এলাকাটি আবাসিক এলাকা হিসেবে পরিচিত। একটি আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে  এম আলী টেক্সটাইল মিল নামে একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে।

কারখানার মেশিনের বিকট শব্দ, বায়ু দুষন সহ নানা ধরনের সমস্যার কারণে সাধারণ মানুষের জনজীবন বিপন্ন করে তুলেছে। প্রতিনিয়ত কারখানা অগ্নিকান্ড সহ নানা ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে। এতে করে ঐ এলাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

কারখানার শব্দ দূষণ ও ভাইব্রেশনে এলাকা জুড়ে কাঁপতে থাকে। এতে করে এলাকার ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা ঠিকমতো লেখাপড়া করতে যেমন বিঘ্ন সৃষ্টি হয় তেমনি এই এলাকার বাসিন্দারা মনে আতঙ্ক নিয়ে রাতে ঘুমাতে হয়।

এভাবে মানুষের জীবন চলতে পারে না। তাই এই অবৈধ এম আলী টেক্সটাইল উচ্ছেদ করা অতি জরুরি হয়ে পড়েছে যা এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি। 

অভিযোগ দায়েরের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) জাহিদুল ইসলাম দেলপাড়ার লোকদের আশ্বস্ত করে বলেন, ঘটনার তদন্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে হাজী মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ এমনটাই জানিয়েছেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আড়াইহাজারে হত্যা মামলা তুলে নিতে হুমকি, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বাদী
  • শহরের ছিন্নমূল মানুষের পাশে মহানগর যুবদল নেতা কমল 
  • আমি এসপি গিরি ছেড়ে দিবো : প্রত্যুষ কুমার
  • আমি এসপি গিরি ছেড়ে দিবো : এসপি প্রত্যুষ কুমার
  • আমি এসপি গিরি ছেড়ে দিবো : এসপি প্রত্যুষ
  • বন্দরে বিএনপি নেতা হাফেজ আহমেদের রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
  • এখন কিছু বলতে গেলেই আন্দোলনে চলে যায়: না.গঞ্জ এসপি
  • চা পান করতে এসে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
  • ফারুক-মেহেদী নেতৃত্বে মোটর সাইকেল গ্যারেজ মালিক ও স্পেয়ার পার্টস দোকান মালিক সমিতি
  • ফতুল্লায় আবাসিক এলাকায় শিল্পকারখানা বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ