নারায়ণগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ড: আরও এক আসামি গ্রেপ্তার
Published: 12th, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ওয়াজেদ সীমান্ত (২০) হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত চাকুসহ চান্দি বাবু নামের আরও এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত দুইটার দিকে ফতুল্লা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চান্দি বাবু শিক্ষার্থী ওয়াজেদ হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি। ওয়াজেদ আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের (এআইইউবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত চান্দি বাবু এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হোতা। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এর আগে ১৭ ডিসেম্বর পুলিশ অনিক (২৮) নামের এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার এবং তাঁর কাছ থেকে ওয়াজেদের মুঠোফোন উদ্ধার করে। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর সাইদুর রহমান (৩৬) নামের আরও এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত উঠে আসে।
গত ১২ ডিসেম্বর ভোরে শহরের দেওভোগের বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় ওয়াজেদ ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। ছিনতাইকারীরা তাঁকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ ডিসেম্বর মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ওয়াজেদের বাবা আলম মিয়া বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোট তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করল। ছিনতাইকারীরা ছিনতাইকালে ওয়াজেদকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রিমান্ড শেষে কারাগারে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ ও ৫ সহযোগী
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নাশকতার মামলায় মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী ও তার পাঁচ সহযোগীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদলত।
আট দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেনের আদালতে হাজির করা হয় আসামিদের। বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো অন্যরা হলেন- মোস্তাক আহমেদ, সলিমুল্লাহ, আসমতউল্লাহ, হাসান ও মনিরুজ্জামান। মনিরুজ্জামান ছাড়া সবাই মায়ানমারের বাসিন্দা। মনিরুজ্জামান সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা।
আরো পড়ুন:
ডাবল মার্ডারে গ্রেপ্তার, তাহসিন হত্যাকাণ্ডে রিমান্ডে ছোট সাজ্জাদ
ইনু-মেনন-আনিসুল-দীপু মণি-সাদেক খানের আবার রিমান্ড
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, “সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নাশকতার মামলায় গত ১৩ এপ্রিল ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আতাউল্লাহ ও তার পাঁচ সহযোগীকে আদালতে আনা হয়। শুনানি শেষে বিচারক আট দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।”
গত ১৭ মার্চ ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লী আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দুইটি মামলা করা হয়। আতাউল্লাহ বিরুদ্ধে ৯টি হত্যা মামলাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকা/অনিক/মাসুদ