লিটন তবু বললেন, ‘দিনটা ছিল আমার’
Published: 12th, January 2025 GMT
রাগ-ক্ষোভ সব কি তবে মাঠেই রেখে এলেন! চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সুযোগ না পাওয়ার ঝাল মিটিয়ে নিলেন দুর্বার রাজশাহীর বোলারদের ওপরই! নইলে এ কোন লিটন দাস?
দুপুরে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে বাদ পড়ার পর রাতে বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে বিপিএলে রেকর্ড গড়া দলীয় সংগ্রহ, আরেক সেঞ্চুরিয়ান তানজিদ হাসানের সঙ্গে রেকর্ড জুটি, শেষ পর্যন্ত রেকর্ড জয়ও। এত কিছু একসঙ্গে এসে যাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে কিছুটা ঠোঁটকাটা হতেই পারতেন লিটন। জবাব দেওয়ার এই তো রাত। কিন্তু হলেন না।
যেভাবেই প্রশ্ন করা হোক না কেন, লিটনের একই কথা—কোনো জেদ থেকে এই সেঞ্চুরি নয়। নির্বাচকেরা যেটা ভালো মনে করেছেন, সেভাবেই দল গড়েছেন। তিনি কেন দলে নেই, সেটা সবাই জানে। ওয়ানডেতে পারফরম্যান্স ভালো হচ্ছিল না। কাজেই এ সিদ্ধান্তে তাঁর কোনো ক্ষোভও নেই।
টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির পর লিটন দাস.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’