ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ‘ভিসির বাংলোয় ঠাঁই চাই’ কর্মসূচি ঘোষণা ছাত্রীদের
Published: 12th, January 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের অস্থায়ীভাবে আবাসনের ব্যবস্থা না করাসহ কয়েকটি বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সমস্যা সমাধান না করায় আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ‘ভিসির বাংলোয় ঠাঁই চাই’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল নারী শিক্ষার্থী।
রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ কর্মসূচি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এবং সর্বশেষ ডিসেম্বর মাসে তীব্র হল-সংকট নিরসনে ছাত্রীরা শতভাগ আবাসিকীকরণের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসেন। এ বছরের ৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে ছাত্রীদের ৭ দফা দাবি নিয়ে সর্বশেষ মতবিনিময় হয়। সেখানে কিছু দাবি পূরণের আশ্বাস পেলেও আরও কয়েকটি অমীমাংসিত দাবি রয়ে গেছে।
ইসরাত তাঁদের অমীমাংসিত ৬টি দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হচ্ছে ভবন ভাড়া করে ছাত্রীদের জন্য অস্থায়ী আবাসন হিসেবে হোস্টেল চালু করা, গণরুম বিলুপ্তির দাবি পুরোপুরি উপেক্ষা করে যাওয়া হয়েছে, নতুন হল মূল ক্যাম্পাসেই হবে—এরূপ কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি, আর্থিক সহায়তা কয়জনকে, কত টাকা করে এবং কবে থেকে সবাইকে দেওয়া হবে—এ বিষয়ে কোনো সংখ্যা জানানো হয়নি ও বৃত্তি প্রদান-সম্পর্কিত হালনাগাদ কোনো বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়নি, শতভাগ আবাসিকীকরণের কোনো সদিচ্ছা ব্যক্ত করা হয়নি এবং এক খাটে এক সিট ভিত্তিতে ডাবলিং প্রথা বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা জানানো হয়নি।
ইসরাত বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শেষে আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়েছে যে অমীমাংসিত দাবিগুলোর ব্যাপারে প্রশাসন আন্তরিক নয়। এ অবস্থায় আমাদের দাবি না মানা অবধি উপাচার্যের বাসভবনে নারী শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করার দাবিতে ১৪ জানুয়ারি সকাল ১০টায় “ভিসির বাংলোয় ঠাঁই চাই” কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনে অবস্থান করবেন।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।