ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের অস্থায়ীভাবে আবাসনের ব্যবস্থা না করাসহ কয়েকটি বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সমস্যা সমাধান না করায় আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ‘ভিসির বাংলোয় ঠাঁই চাই’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল নারী শিক্ষার্থী।

রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ কর্মসূচি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এবং সর্বশেষ ডিসেম্বর মাসে তীব্র হল-সংকট নিরসনে ছাত্রীরা শতভাগ আবাসিকীকরণের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসেন। এ বছরের ৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে ছাত্রীদের ৭ দফা দাবি নিয়ে সর্বশেষ মতবিনিময় হয়। সেখানে কিছু দাবি পূরণের আশ্বাস পেলেও আরও কয়েকটি অমীমাংসিত দাবি রয়ে গেছে।

ইসরাত তাঁদের অমীমাংসিত ৬টি দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হচ্ছে ভবন ভাড়া করে ছাত্রীদের জন্য অস্থায়ী আবাসন হিসেবে হোস্টেল চালু করা, গণরুম বিলুপ্তির দাবি পুরোপুরি উপেক্ষা করে যাওয়া হয়েছে, নতুন হল মূল ক্যাম্পাসেই হবে—এরূপ কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি, আর্থিক সহায়তা কয়জনকে, কত টাকা করে এবং কবে থেকে সবাইকে দেওয়া হবে—এ বিষয়ে কোনো সংখ্যা জানানো হয়নি ও বৃত্তি প্রদান-সম্পর্কিত হালনাগাদ কোনো বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়নি, শতভাগ আবাসিকীকরণের কোনো সদিচ্ছা ব্যক্ত করা হয়নি এবং এক খাটে এক সিট ভিত্তিতে ডাবলিং প্রথা বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা জানানো হয়নি।

ইসরাত বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শেষে আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়েছে যে অমীমাংসিত দাবিগুলোর ব্যাপারে প্রশাসন আন্তরিক নয়। এ অবস্থায় আমাদের দাবি না মানা অবধি উপাচার্যের বাসভবনে নারী শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করার দাবিতে ১৪ জানুয়ারি সকাল ১০টায় “ভিসির বাংলোয় ঠাঁই চাই” কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনে অবস্থান করবেন।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পোপের মৃত্যুর কারণ জানাল ভ্যাটিকান

বিশ্বের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস (৮৮) গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে ভ্যাটিক্যানে নিজ বাসভবন মৃত্যুবরণ করেছেন। 

তার মৃত্যুর কারণ সোমবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে ভ্যাটিকান সিটির হলি সি প্রেস অফিস। ভ্যাটিকান সিটি স্টেটের স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আন্দ্রেয়া আর্কাঞ্জেলি পোপের মৃত্যুর সার্টিফিকেট জারি করেছেন। 

ভাটিকান নিউজ জানিয়েছে, পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে স্ট্রোক, এরপর কোমা এবং অপরিবর্তনীয় হৃদযন্ত্রের রক্তনালী ধস।

মেডিকেল রিপোর্ট অনুসারে, পোপের মাল্টিমাইক্রোবিয়াল বিলাটেরাল নিউমোনিয়া, একাধিক ব্রঙ্কাইক্টেস, উচ্চ রক্তচাপ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের কারণে তীব্র শ্বাসযন্ত্রের জটিলতা ছিল।

ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাফিক থ্যানাটোগ্রাফির মাধ্যমে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। ডেথ সার্টিফিকেটে ডা. আর্কাঞ্জেলি লিখেছেন, “আমি ঘোষণা করছি, আমার জ্ঞান এবং বিচারে মৃত্যুর কারণগুলো উপরে বর্ণিত।”

সম্প্রতি টানা পাঁচ সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন পোপ। এরপর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার এক মাসের মাথায় মারা গেলেন এই ধর্মগুরু। সোমবার সকালে ভ্যাটিক্যানে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পোপ।

২০১৩ সালের ১৩ মার্চ ভ্যাটিকানের ২৬৬তম পোপ নির্বাচিত হন ফ্রান্সিস। রোমের বিশপ হিসেবে তিনি বিশ্বব্যাপী ক্যাথলিক চার্চ এবং সার্বভৌম ভ্যাটিকান সিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। 

১৯৩৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে পোপ ফ্রান্সিসের জন্ম। ক্যাথলিক পুরোহিত হিসেবে তার অভিষেক হয়েছিল ১৯৬৯ সালে।

তিনি ছিলেন ৭৪১ সালের পর প্রথম নন-ইউরোপিয়ান পোপ। ৭৪১ সালে সিরিয়ান বংশোদ্ভূত তৃতীয় গ্রেগরির মৃত্যুর পর রোমে আর কোনো নন-ইউরোপীয় পোপ আসেননি। পুরো আমেরিকা অঞ্চল এবং দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে নির্বাচিত প্রথম পোপ ছিলেন ফ্রান্সিস। তিনি ক্যাথলিক গির্জায় সংস্কার কখনো বন্ধ করেননি। তারপরও তিনি সকলের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন।

পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ গোটা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মানুষদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিশ্বনেতারাও।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বাংলাদেশ কাথলিক মণ্ডলীর শোক প্রকাশ
  • শুল্ক ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনকে সন্তুষ্ট করতে চাইছে ভারত
  • পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া কবে, কোথায় জানাল ভ্যাটিকান সিটি
  • পোপের মৃত্যুর কারণ জানাল ভ্যাটিকান