গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত বেনুভিটা অবজারভেটরি ২০২৫ সালের প্রথম পূর্ণিমা উদ্‌যাপন করবে। এ আয়োজনের নাম দেওয়া হয়েছেন ‘চন্দ্রোৎসব’। এই পূর্ণচন্দ্রের দেখা মিলবে ১৪ জানুয়ারি রাতে, বাংলা বর্ষপঞ্জির হিসাবে সেদিন ৩০ পৌষ। 

চন্দ্রোৎসব উদ্‌যাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী কাবেরী জান্নাত বলেন, বেনুভিটা অবজারভেটরির উদ্যোগে নানা আয়োজন হলেও এই প্রথম আমরা চন্দ্রোৎসব আয়োজন করতে যাচ্ছি, যা প্রতিবছর করতে চাই। 

তিনি আরও বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে চন্দ্র দেখা শুধু নয়, আয়োজনটা প্রকৃতির সঙ্গে বিজ্ঞানেরও সম্মিলন ঘটাবে। বিজ্ঞানভিত্তিক উদ্‌যাপনের পাশাপাশি চন্দ্রোৎসবে আমরা নানা আয়োজনও রেখেছি।

বেনুভিটা অবজারভেটরি ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত অবজারভেটরি বা মানমন্দির। এই মানমন্দিরটিতে রয়েছে আকাশ গবেষণার বৃহৎ টেলিস্কোপ ও মহাকাশ গবেষণার নানা উপাদান। 

আয়োজকরা জানান, চন্দ্রোৎসবে আগতরা মানমন্দিরের ভেতরে টেলিস্কোপে চাঁদসহ নানা গ্রহ-উপগ্রহ দেখার সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া রাতভর আয়োজনে থাকবে চাঁদ–সম্পর্কিত তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, চাঁদের গান, আলোকিত ঘুড়ি ওড়ানো, বাউলগান, মিউজিক থেরাপি, জঙ্গল সাফারিসহ নানা কিছু।

অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় ও প্রকৃতিপ্রেমী মানুষদের এই আয়োজনে নিবন্ধনের মাধ্যমে যে কেউ অংশ নিতে পারবেন। নিবন্ধন ফি জনপ্রতি তিন হাজার টাকা। এই ফির আওতায় ১৪ জানুয়ারি বিকেল পাঁচটা থেকে পরদিন সকাল আটটা পর্যন্ত বেনুভিটা অবজারভেটরিতে থাকা-খাওয়াসহ উৎসব উপভোগের সুযোগ পাবেন।

চন্দ্রোৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে: ০১৭৭১০২৮৬৫৯

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়। 

নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। 
 
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। 

একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে  আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ