যুবদল-ছাত্রদল সংঘর্ষে আহত ১৫, গুরুতর আহত পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি
Published: 12th, January 2025 GMT
চট্টগ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদল ও ছাত্রদল নেতাদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার বিকেল ৪টার দিকে নগরীর ষোলশহর স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নগর ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সহসাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ওরফে বার্মাইয়্যা সাইফুল ও পাঁচলাইশ থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সাইফুলের লোকজন অতর্কিত দলবল নিয়ে ষোলশহর এলাকায় যান। খবর পেয়ে সেখানে যান শহীদুল ও তাঁর সমর্থকরা। আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে আসা সাইফুলের লোকজন লাঠি, রামদা নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয় পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজন নারী ও এলাকার সাধারণ মানুষও রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজনকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তারা হলেন– মিজানুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, লুৎফুর রহমান, ফয়জুন নেছা ও লুৎফুর নেছা। এর মধ্যে শহীদুলের পিঠে এমনভাবে দায়ের কোপ মারা হয়, তাতে তার পিঠ ভাগ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, ষোলশহর এলাকায় জুয়ার আসর বসানোসহ চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা করছিলেন সাইফুল। তবে এ নিয়ে তাঁকে বাধা দিয়ে আসছিলেন শহীদুল ও এলাকার লোকজন। সবশেষ আজ মুখোমুখি হয়ে পড়েন তারা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করলেও ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকায় পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
নগরীর পাঁচলাইশ থানার ওসি মো.
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, হামলার ঘটনায় পাঁচজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপ ও হামলার চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনায় সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
তবে তাঁর ভাই পাঁচলাইশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সবুজ সমকালকে বলেন, আমার ভাইয়ের স্বভাব ভালো না। তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।