ভারতে পাচারকালে সাতক্ষীরার কাকডাঙ্গা সীমান্ত এলাকা থেকে প্রায় ৩১ লাখ টাকা মূল্যের দুটি স্বর্ণের বারসহ মো. কামাল হোসেন (৩৫) নামের এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

আটক কামাল হোসেন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কাকডাঙ্গা গ্রামের মো. খোকন সরদারের ছেলে। এর আগে দুপুরে কলারোয়া উপজেলার কাকডাঙ্গা বাজারের পূর্ব পার্শ্বে অভিযান চালিয়ে স্বর্ণসহ তাকে আটক করা হয়।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.

আশরাফুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশরাফুল হক জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কাকডাঙ্গা বিওপির হাবিলদার মো. খবির হোসেনের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা কাকডাঙ্গা বাজারের পূর্ব পাশে অবস্থান নেয়। এসময় কাকডাঙ্গা বাজারের পাকা রাস্তা দিয়ে বাইসাইকেলযোগে সীমান্তের দিকে যাওয়ার সময় মো. কামাল হোসেনকে আটক করে। 

সেসময় তার কোমরের বাম পাশে লুঙ্গির সাথে স্কচটেপ দ্বারা পেঁচানো অবস্থায় দুটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি বাইসাইকেল, মোবাইল ফোনসহ নগদ ১৬০০ টাকা জব্দ করা হয়। 

উদ্ধারকৃত স্বর্ণের ওজন ২৬০ গ্রাম ৭৬০ মিলিগ্রাম। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩০ লাখ ৯১ হাজার ৫৭১ টাকা।

তিনি আরও জানান, আটক মো. কামাল হোসেনকে কলারোয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। স্বর্ণের বারগুলো সাতক্ষীরা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/শাহীন/এস 

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

১৫ জেলেকে অপহরণের অভিযোগ, আটক ৩ বনদস্যু

বঙ্গোপসাগরের চিসখালি নামক স্থানে ট্রালারসহ ১৫ জেলেকে অপহরণ করেছে বনদস্যু মজনু বাহিনীর সদস্যরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় আশপাশে থাকা অন্য ট্রলারের জেলেরা এগিয়ে এসে একটি বন্দুক ও ৩৬ রাউন্ড গুলিসহ তিন বনদস্যুকে আটক করে। পরে জব্দকৃত অস্ত্র এবং আটককৃতদের কোস্ট গার্ডের কাছে সোপর্দ করেন তারা।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে দুবলার চর ফিসারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে, গতকাল সোমবার রাতে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মান্দরবাড়িয়ার চিসখালি নামক স্থানে মাছ ধরার সময় জেলেদের অপহরণের ঘটনাটি ঘটে।

আরো পড়ুন:

বিএনপি মামলা বাণিজ্য শুরু করেছে: ইব্রাহীম মোল্লা

রূপগঞ্জে আড়ত দখল নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬

আটক জলদস্যুরা হলেন- মাইজে ভাই হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীর হোসেন, শ্যামনগর উপজেলার আব্দুল আজিজের ছেলে রবিউল ইসলাম ও রহমত আলী। তারা তিনজন আত্মসমর্পণকারী বনদস্যু মজনুর দলের সদস্য।

দুবলার চর ফিসারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, “দুবলার চরের আলোকোল থেকে জেলেরা কয়েকটি ট্রালার নিয়ে মান্দরবাড়িয়ার বাহির সাগরের চিসখালি নামক স্থানে মাছ ধরতে যান। গতকাল রাতে বনদস্যু মজনু বাহিনীর ১০-১৫ জন সদস্য দুটি ট্রলারে এসে মাছধরা অবস্থায় জেলেদের ওপর হামলা চালায়। অস্ত্রের মুখে তারা ১৫ জেলেকে অপহরণ করে একটি ট্রলারে করে নিয়ে যায়।”

তিনি আরো বলেন, “এসময় আশপাশে থাকা মাছ ধরা অন্য ট্রলার এগিয়ে আসে। ওইসব ট্রলারের জেলেরা একটি বন্দুক ও ৩৬ রাউন্ড গুলিসহ তিন বনদস্যুকে আটক করে। পরে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক জলদস্যুদের সুন্দরবনের কোস্ট গার্ডের কাছে সোপর্দ করেন তারা। অপহৃত জেলেদের এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।”

শ্যামনগর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবীর মোল্লা বলেন, “আটক বনদস্যুদের বাগেরহাটের মোংলা থানায় হস্তান্তর করেছে কোস্ট গার্ডে। এখনো অপহৃতদের পরিবার আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। কোস্ট গার্ড অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাদক, চুরি, ছিনতাই ও কিশোরগ্যাং প্রতিরোধের ঘোষণা সিদ্ধিরগঞ্জ ওসির
  • দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৮ রুটের বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার
  • ন্যায্য মূল্যের পণ্য থেকে সাধারণ নাগরিকদের বঞ্চিত করায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল
  • ১৫ জেলেকে অপহরণের অভিযোগ, আটক ৩ বনদস্যু