সাতক্ষীরা সীমান্তে কৃষকের জমি চাষে বিএসএফের বাধা
Published: 12th, January 2025 GMT
সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে দুই বাংলাদেশি কৃষকের জমি চাষে বাধা দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ নিয়ে আজ রোববার দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে আগামী ১৫ জানুয়ারি পরিমাপের পর বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফুল হক। বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১০২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার রমেশ কুমার।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লক্ষ্মীদাড়ি গ্রামের বাসিন্দা নাজমুল হোসেন বলেন, ভোমরা স্থলবন্দর-সংলগ্ন লক্ষ্মীদাড়ি সীমান্তের কুমড়াখালী খালের ধারে বাংলাদেশ অংশে ১০ শতক জমি লিজ নিয়ে কয়েক বছর ধরে চাষাবাদ করছি। সেখানে শনিবার সকালে বোরো ধান রোপণ করতে গেলে বিএসএফ বাধা দেয়। ওই জমি ভারতীয় অংশের বলে দাবি করে তারা। বিএসএফের বাধার মুখে একপর্যায়ে রোপণ বন্ধ রাখা হয়।
একই গ্রামের শাহীন গাজী বলেন, আমার বাবা বাড়ির দক্ষিণ পাশে প্রায় এক বিঘা জমি ডিসিআর নিয়ে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে চাষাবাদ করে আসছেন। শনিবার বিকেলে দুই শ্রমিক নিয়ে ওই জমিতে গেলে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বিএসএফ সদস্যরা বাধা দেয়।
বিষয়টি জানতে পেরে পতাকা বৈঠকের প্রস্তাব দেয় বিজিবি। আজ বৈঠকের পর ভোমরা বিজিবির সুবেদার আফজাল হোসেন জানান, আপত্তিকৃত অংশ ব্যতীত অন্য জায়গায় চাষাবাদ অব্যাহত থাকবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আপত্তিকৃত জায়গায় ১৫ জানুয়ারি উভয় দেশের সার্ভে বিভাগ কর্তৃক যৌথ মাপ জরিপের পর বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে বলে একমত পোষণ করা হয়েছে বৈঠকে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয় একাধিক সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলেও এ ব্যাপারে বিজিবির দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নিহত যুবক হলেন কসবার পুটিয়া গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে আল আমীন (৩২)।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় কসবার পুটিয়া সীমান্তের ওপারে কয়েকজন যুবককে লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুঁড়ে বিএসএফ। এতে আল আমীন নামে এক যুবক আহত হয়। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে ভারতের হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে শুক্রবার রাত ৯টায় মারা যান তিনি। মরদেহ বিএসএফ ক্যাম্পে রয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাদির ও কসবার বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তারা আল আমীন নামের ওই যুবকের বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনাটি স্থানীয় বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। তবে এ বিষয়ে বিজিবির সুলতানপুর ৬০ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।