ফরিদপুরে শীতার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক। সপ্তাহব্যাপী কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে গতকাল রোববার জেলায় ২ হাজার ৭০০ পরিবারকে কম্বল দিয়েছে বেসরকারি ব্যাংকটি। গত শনিবার শুরু হওয়া এ আয়োজনে ২০ হাজার কম্বল দেওয়া হবে। 

গতকাল ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন স্কুল মাঠসহ শহর ও গ্রামের পাঁচটি স্থানে নিম্নবিত্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। পর্যায়ক্রমে জেলা সদরের ১২টি ইউনিয়ন এবং ফরিদপুর পৌর এলাকার ২৭টি ওয়ার্ডে ২০ হাজার কম্বল দেওয়া হবে। এতে সহায়তা করছে সমকাল সুহৃদ সমাবেশসহ ফরিদপুরের পাঁচটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা– এফডিএ, বিএফএফ, একেকে, এসডিসি এবং পিডব্লিউও। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির আওতায় এ কার্যক্রম চালাচ্ছে। 

ব্যাংকটির ফরিদপুর শাখার ম্যানেজার কেএম আনিসুর রহমানের তত্ত্বাবধানে দ্বিতীয় দিনের কম্বল বিতরণে উপস্থিত ছিলেন এফডিএর নির্বাহী পরিচালক আজাহারুল ইসলাম, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক আবুল কালাম আজাদ, হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন, পরিচালক বেলাল হোসেন, এসডিসির নির্বাহী পরিচালক কাজী আশরাফুল হাসান, বিএফএফের নির্বাহী পরিচালক আনম ফজলুল হাদি সাব্বির, একেকের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল জলিল, পরিচালক মো.

আলাউদ্দীন, পিডব্লিউওর নির্বাহী পরিচালক হাফিজ মণ্ডল, স্কুলশিক্ষক আক্কাস প্রামাণিকসহ ব্যাংক ও বাস্তবায়নকারী সংস্থার কর্মকর্তারা। 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭০০

মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭১৯ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় উদ্ধারকাজ চলছে। সেখানে বেঁচে যাওয়া মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে খাবার, পানি ও আশ্রয় প্রয়োজন।

গত শুক্রবার মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে।

ভূমিকম্পে নিহত মানুষের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আজ মঙ্গলবার টেলিভিশনে এক ভাষণে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। আরও ৪ হাজার ৫২১ জন আহত হয়েছেন। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৪৪১ জন।

এক শতাব্দীর বেশি সময়ে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার কোনো দেশে আঘাত হানা এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরের দিকে ওই ভূমিকম্প আঘাত হানে। মিয়ানমারের আশপাশের দেশগুলোতেও তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে।

মিয়ানমারে প্রাচীন থেকে আধুনিক কালে তৈরি অনেক ভবন ও স্থাপনা ধসে পড়েছে। মান্দালয়ে একটি প্রাক্‌–প্রাথমিক বিদ্যালয় ধসে পড়ে ৫০ শিশু ও ২ জন শিক্ষক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা।

ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি) বলেছে, মান্দালয়ের মতো সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় জরুরি ভিত্তিতে আশ্রয়, খাবার, পানি ও ওষুধ প্রয়োজন।

শুক্রবারের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সাগাইং অঞ্চল। উৎপত্তিস্থলের কাছেই মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের অবস্থান। মান্দালয়ে আইআরসির একজন কর্মী বলেছেন, ‘ভূমিকম্পে মানুষজনকে আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে, লোকজন এখন পরাঘাতের ভয় পাচ্ছেন। তাঁরা বাইরে রাস্তায় বা খোলা মাঠে রাত পার করছেন।’

ভূমিকম্পে নিহত মানুষদের স্মরণে মিয়ানমারে এক সপ্তাহের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় শোকের অংশ হিসেবে দেশটিতে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।

আরও পড়ুনমিয়ানমারে নিহত বেড়ে ২০৫৬, এক সপ্তাহের শোক ঘোষণা ১৭ ঘণ্টা আগে

এ ছাড়া জান্তা সরকারের আহ্বানে আজ স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ভূমিকম্পে নিহত মানুষের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শুক্রবার ঠিক এই সময়ে মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।

আরও পড়ুনমিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা৩ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহত ২৭০০ ছাড়াল
  • মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭০০, নেই খাবার, আশ্রয়
  • মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭০০