চলচ্চিত্রের সোনালি দিনের নায়িকা অঞ্জনা রহমানের মৃত্যু নিয়ে বেঁধেছে রহস্যের জাল। গত ৪ জানুয়ারি সকালে হাসপাতাল থেকে মরদেহ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলাকালীন অভিনেত্রীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে উপস্থিত সবার মধ্যে নানা প্রশ্ন ওঠে। মরদেহ গোসলের সময় এসব চিহ্ন স্পষ্ট হওয়ায় বিষয়টি আলোচনায় আসে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)-তে নেওয়া হলে, এ নিয়ে চলচ্চিত্র অঙ্গনের অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

একাধিক শিল্পীর অভিযোগ, অঞ্জনার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে কথিত সন্তান নিশাত মনি!

বিষয়টি উদ্বেগ জানিয়ে অঞ্জনার বোন রঞ্জনা। রবিবার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে অঞ্জনার মৃত্যু রহস্য উন্মোচন এবং সম্পদের হিসাব চেয়ে বিচার জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগ নিয়ে সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর কার্যনির্বাহী পরিষদ এবং বরেণ্য অভিনেতা আলমগীরের উপস্থিতিতে তাৎক্ষণিক মিটিং করে কথিত ছেলে, জামাই ও ড্রাইভারকে সম্পদের হিসাব এবং অবহেলা নিয়ে ৩ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন সমিতির মুখপাত্র এবং সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব।

তায়েব বলেন, অভিযোগ আমলে নিয়ে ৩ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসাবাদে অনেক কিছু ঘোলাটে লাগছে। মনি, ড্রাইভারের নাম ও আইডি কার্ডে কোনো মিল নেই। পুরো বিষয়টি রহস্যজনক। ৩ দিনের মধ্যে কথিত সন্তান মনি এবং রিপন পুরো বিষয় নিয়ে মুখ না খোলে তখন আইনিভাবে বিষয়টি দেখা হবে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে নিশাত মনি বলেন, আমি ৩ দিনের মধ্যে শিল্পী সমিতিতে সব হিসেব জমা দেব। আমি যদি অপরাধী প্রমাণিত হই, তাহলে আইন অনুযায়ী শাস্তি মেনে নেব।

কথিত সন্তান মনির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কিছুই জানতেন না বলে জানিয়েছেন কথিত মেয়ে জামাই রিপন।

ঢাকা/রাহাত/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক

চীনের অর্থায়নে এক হাজার শয্যার আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ। মঙ্গলবার তিনি নীলফামারী সদর উপজেলার টেক্সটাইল মিলসংলগ্ন জায়গাটিকে ‘প্রথম পছন্দ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সাইদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রাজ্জাক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর ডা. জুবায়ের আল মামুন ও জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্তের খবরের পর মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা নেমে এসেছে। উচ্ছ্বসিত এ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মিছিলও হয়েছে।

ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, উপদেষ্টা মহোদয় রংপুর বিভাগের আশপাশে ১০ থেকে ১২ একরের মধ্যে একটি জায়গা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখানে ২০ থেকে ২৫ একর জমি পাওয়া যাবে। ফলে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য এটি আরও উপযোগী হয়ে উঠেছে। জেলা প্রশাসক এ জায়গাটির বিষয়ে প্রস্তাব দেন। সার্বিক দিক বিবেচনায় এটি উপযোগী স্থান। এই জায়গা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ দ্বিমত পোষণ করেননি।

ডা. হারুন অর রশিদ আরও বলেন, নিরাপত্তার দিক থেকে উত্তরবঙ্গের মানুষ অত্যন্ত সহনশীল ও শান্তিপ্রিয়। পাশেই সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং সড়ক পথে অন্যান্য জেলার সঙ্গে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা এই স্থানটিকে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য আরও উপযুক্ত করে তুলেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ