বাড়তি কর আরোপে বেভারেজ শিল্পে হতাশা
Published: 12th, January 2025 GMT
বেভারেজ পণ্যে সম্প্রতি নতুন করে বাড়তি কর আরোপে এ খাতে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ বেভারেজ ম্যানুফ্যাকচারার্সের ব্যানারে গতকাল রাজধানীর এক হোটেলে দেশীয় এবং বহুজাতিক বেভারেজ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এক আলোচনায় সকল ফ্লেভার ড্রিংকস ও ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস (কার্বোনেটেড/নন-কার্বোনেটেড বেভারেজ) পণ্যের ওপর নতুনভাবে আরোপিত বাড়তি সম্পূরক শুল্ক ও অন্যান্য ডিউটি বৃদ্ধিতে সার্বিক ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানান।
আলোচনা সভায় অতি সম্প্রতি সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করায় তারা ব্যাপক হতাশা ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, নতুন করে করারোপের ফলে বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে পণ্যের মূল্য আরও বাড়বে, যা ভোক্তার ক্রয়সীমার বাইরে চলে যেতে পারে। ফলে বেভারেজ শিল্প আরও সংকুচিত হবে। কোম্পানিগুলোর আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি সরকারও এ খাত থেকে ব্যাপক রাজস্ব হারাবে। এমনকি কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও প্রবল। ফলে দেশে বেকারত্ব বাড়তে পারে।
সভায় উপস্থিত সব কোম্পানির প্রতিনিধিরা সম্প্রতি আরোপিত বাড়তি সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারসহ এ খাতে সার্বিকভাবে সম্পূরক শুল্ক কমানোর জোর দাবি করেন। সম্ভাবনাময় এ খাতের সুষ্ঠু প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের অপারেশনাল ডিরেক্টর সৈয়দ জহুরুল আলম, সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানির অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার সোহরাব হোসেন, প্রাণ গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ সংস্কার হচ্ছে, ভাঙচুর নয়
রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ সংস্কারের কাজ করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। আর দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এদিকে চলমান সংস্কারকাজের মধ্যে এ স্মৃতিসৌধ ভেঙে ফেলা হচ্ছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়। অনেকে স্মৃতিসৌধের ভিডিও শেয়ার করে বলছেন, সেটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ‘ঢাকাস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের আধুনিকায়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়। সংস্কারের কাজটি করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কুশলী নির্মাতা লিমিটেড। আগামী জুনের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত বিভাগের মিরপুর অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ আহসান বলেন, স্মৃতিসৌধের কাঠামোতে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। শুধু পুরোনো ইট সরিয়ে নতুন ইট বসানো হচ্ছে। মূল বেদির নকশা আগে যা ছিল, তাই আছে। কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।
মঙ্গলবার দুপুরে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সরেজমিন দেখা যায়, কবরস্থানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধটি টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা। ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, স্মৃতিসৌধের বেদির দিকে ঢালু হয়ে নেমে আসা চারটি দেয়ালের মতো যে কাঠামো রয়েছে, সেগুলোর ইটের আস্তর যান্ত্রিক হাতুড়ি (হ্যামার ড্রিল) দিয়ে খোলা হচ্ছে। স্মৃতিসৌধের বেদির চারদিকে থাকা এমন চারটি দেয়ালের মধ্যে তিনটির আস্তর খোলার কাজ চলমান দেখা গেছে। স্মৃতিসৌধের সামনে এনে রাখা হয়েছে কংক্রিটের নতুন ব্লক।
তবে প্রকল্প এলাকায় সংস্কারকাজের কথা উল্লেখ করে কোনো সাইনবোর্ড টাঙানো হয়নি। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের নিয়ম হচ্ছে, প্রকল্প চলাকালে সেখানে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে জানাতে হয়, সেখানে কী হচ্ছে। এ কারণে অনেকে বিভ্রান্ত হচ্ছেন বলে কেউ কেউ মনে করছেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ দেখভালের দায়িত্বে থাকা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বলেছে, স্মৃতিসৌধকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। স্মৃতিসৌধে থাকা পুরোনো ইটের আস্তরণ যান্ত্রিক হাতুড়ি দিয়ে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এর জায়গায় নতুন ইট বসানো হবে। নির্মাণ করা হবে দোতলা মাল্টিপারপাস ভবন। এ ছাড়া বর্ষার সময় পানি যাতে জমে না থাকে, সে জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য রেস্টহাউস (বিশ্রামাগার) নির্মাণ করা হচ্ছে। টাইলস পরিবর্তন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, স্মৃতিসৌধে দীর্ঘদিন কোনো সংস্কার করা হয়নি। প্রকল্পটি অনেক আগেই অনুমোদন হয়েছিল। এখন কাজ চলছে। সেখানে নকশার কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। সবকিছু আগের মতোই থাকবে।