দেড় বছর পর বড় পর্দায় ফিরেছেন কিয়ারা আদভানি। অন্যদিকে ‘আরআরআর’-এরপর প্রত্যাবর্তন হয়েছে রামচরণেরও। দুই তারকাকে দেখা গেছে এস শঙ্করের ‘গেম চেঞ্জার’-এ। গত শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর প্রথম দুই দিনে কত আয় করল দক্ষিণি ছবিটি।

এস শঙ্করের আগের সিনেমাগুলো দর্শক-সমালোচকেরা সেভাবে পছন্দ করেননি। তবে ‘গেম চেঞ্জার’-এর প্রতিক্রিয়া সে তুলনায় ভালো। বক্স অফিসে শুরুটা অবশ্য আশাজাগানিয়া ছিল না।

‘গেম চেঞ্জার’ ছবিতে রাম চরণ ও কিয়ারা আদভানি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় প্লাস্টিকের বস্তার ব্যাপক ব্যবহার  

পরিবেশগত ঝুকি উপেক্ষা করে কুষ্টিয়ায় চাল বাণিজ্যে প্লাস্টিকের বস্তার ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা এখন প্লাস্টিকের বস্তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। অথচ প্রশাসনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। 

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার বড় বড় মোকাম ও ব্যবসায়িক হাটগুলোতে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। এ বস্তাগুলো ব্যবহারের পর যেখানে-সেখানে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। যা মারাত্মক পরিবেশ দূষণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুযায়ী প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কঠোর বিধান থাকলেও কুষ্টিয়ায় তা কার্যকর হচ্ছে না। পরিবেশ অধিদপ্তরের স্থানীয় দফতর থেকেও এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

আরো পড়ুন:

ভারত থেকে এলো ১৬ হাজার ৪০০ টন চাল

ভিয়েতনাম থেকে কেনা হচ্ছে এক লাখ মেট্রিক টন চাল

জেলার মিরপুর উপজেলার আমলা বাজারের চাল ব্যবসায়ী মামুনুল হক ডায়মন্ড বলেন, প্লাস্টিকের বস্তা তুলনামূলকভাবে সস্তা ও দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় তারা এটি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন। 

স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আরেক ব্যবসায়ী সুফী আল আসাদ বিপ্লব বলেন, “আমরা বিকল্প চটের বস্তা পেলে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করব। কিন্তু সরকার যদি সাশ্রয়ী মূল্যে বিকল্প ব্যবস্থা না করে তাহলে আমরা কীভাবে পরিবর্তন করব?’’

পরিবেশ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের উপপরিচালক আতাউর রহমান বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টি নজরে রেখেছি। শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তবে এখনো পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায় না। 

পরিবেশ বিশেষজ্ঞ গৌতম কুমার রায় বলেন, “চালের মতো খাদ্যপণ্য প্লাস্টিকের বস্তায় সংরক্ষণ করা হলে তা জনস্বাস্থ্যের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। পাশাপাশি ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য হিসেবে নদী-নালা ও জলাশয়ে জমা হয়ে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে।’’  

তিনি আরো বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ করলে হবে না, পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের জন্য সহজলভ্য ও পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবস্থা নিশ্চিত করাও জরুরি। এছাড়া জনসচেতনতা বাড়াতে স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ দরকার।

কুষ্টিয়ার পরিবেশ রক্ষায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে প্লাস্টিক দূষণ মারাত্মক হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রশাসনের নিষ্ক্রীয়তার কারণে ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন, যা সামগ্রিকভাবে পরিবেশের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ