Samakal:
2025-01-31@11:56:08 GMT

সূচকে এক মাসের সর্বোচ্চ পতন

Published: 12th, January 2025 GMT

সূচকে এক মাসের সর্বোচ্চ পতন

দরপতনে শুরু হয়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এ সপ্তাহের লেনদেন। গতকাল রোববার প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৩৮ পয়েন্ট হারিয়ে ৫১৫৬ পয়েন্টে নেমেছে। গত ১১ ডিসেম্বরের পর এটাই সূচকের সর্বোচ্চ পতন। গত সপ্তাহে সূচকটি মোট ৫ পয়েন্ট হারিয়েছিল।
এদিকে ডিএসইএক্স সূচক ফের পুনর্বিন্যাস হতে যাচ্ছে। এবার নতুন করে ৮৭ কোম্পানির শেয়ার যুক্ত হবে। বাদ পড়বে ১৪টি। এতে এই সূচকভুক্ত মোট কোম্পানি সংখ্যা বেড়ে ৩২৬টিতে উন্নীত হবে। বর্তমানে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির মধ্যে ২৫৩ কোম্পানির শেয়ার সূচকভুক্ত। আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে সূচকটি নতুনভাবে গণনা হবে।
গতকাল ডিএসইতে ৩৯৬ কোম্পানির কম-বেশি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৭টির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ২৮০টিই দর হারিয়েছে। শেষ লেনদেন দরের হিসাবে দর অপরিবর্তিত থাকে ৪৭টি। এদিন কোনো খাতই দরপতনের বাইরে ছিল না। 
সূচকের পুনর্বিন্যাস
তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে এবার ডিএসইএক্স সূচক গণনা হতে যাচ্ছে। বার্ষিক সূচক পুনর্বিন্যাসের নিয়মে ডিএসইএক্স সূচক ৩২৬টি শেয়ার নিয়ে গণনা হবে। তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার সূচকভুক্ত হতে চলায় সূচকের ওঠানামা বর্তমানের তুলনায় বেশি বাড়তে বা কমতে পারে।
বিশ্বখ্যাত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসঅ্যান্ডপির সুপারিশে ২০১৩ সাল থেকে ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক হিসেবে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স, সংক্ষেপে ডিএসইএক্স গণনা করে আসছে। এ সূচকে তালিকাভুক্ত সেসব কোম্পানির শেয়ারগুলোই যুক্ত হয়, যাদের ন্যূনতম ফ্রি-ফ্লোট বাজার মূলধন অন্তত ১০ কোটি টাকা এবং সর্বশেষ ছয় মাসে প্রতি কর্মদিবসে গড়ে ১০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা থাকতে হয়। তবে পূর্ববর্তী বছরে সূচকভুক্ত কোনো শেয়ারের ফ্রি-ফ্লোট বাজার মূলধন কমে ১০ কোটি টাকার নিচে নামলেও যদি ৭ কোটি টাকার নিচে না নামে এবং সর্বশেষ ছয় মাসে দৈনিক গড় লেনদেন ১০ লাখের নিচে নামলেও যদি ৭ লাখের নিচে না নামে, তাহলে ওই শেয়ার সূচকে বহাল রাখার নিয়ম রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ