ফরিদপুর সদর উপজেলায় ওবায়দুর রহমান খান (৩২) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ রোববার সকালে ওবায়দুরের মা রেখা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন।

মামলার পর এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত ওবায়দুর রহমান খান কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের বিল্লাল খানের ছেলে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা বলেন, হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রেজাউল করিম খানকে (৩৫) রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নলিয়া বাজার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে কানাইপুর পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সামনে মমতাজ ফিলিং স্টেশনে তেল নিতে যান ওবায়দুর। তখন স্থানীয় খায়রুজ্জামানের লোকজন তাঁকে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে করে অজ্ঞাত জায়গায় তুলে নিয়ে নির্যাতন করে মুমূর্ষু অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবিতে লাশ নিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। পরে পুলিশের আশ্বাসে বিকেল চারটার দিকে তাঁরা মহাসড়ক ছেড়ে দেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কথা-কাটাকাটি থেকে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

বগুড়া শহরের মালতিনগর এলাকায় দুবৃর্ত্তদের ছুরিকাঘাতে পারভেজ আলম নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে মালতীনগর আর্ট কলেজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পারভেজ আলম মালতীনগর খন্দকারপাড়া এলাকার জহুরুল আলমের ছেলে।

স্থানীয় একটি দোকানে কাজ করতেন পারভেজ আলম। কাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে পারভেজকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুবৃর্ত্তরা। আশপাশের লোকজন পারভেজকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণ করেন।

বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) একেএম মঈন উদ্দিন বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছে বলে জেনেছি। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ