গোপালগঞ্জে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে শফিকুল ইসলাম ও ইকবাল মিয়া নামে তথাকথিত দুই সাংবাদিককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।

এ ঘটনায় চাঁদাবাজীর মামলা দায়েরের পর আজ রবিবার (১২ জানুয়ারি) আদালতের মাধ্যমে তাদের দুজনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার নিজড়া এলাকা থেকে স্থানীয় জনতা তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটককৃত তথাকথিত সাংবাদিকরা হলেন- গোপালগঞ্জ শহরের বিসিক এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম। তিনি ‘আজকের বাংলাদেশ’সহ বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি। অপর সাংবাদিক ইকবাল মিয়া টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাসিন্দা। তিনি ‘ভোরের সময়’ নামের একটি অনলাইন পত্রিকার গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির সাজেদুর রহমান জানান, বিকেলে সদর উপজেলার নিজড়া এলাকায় এক ব্যক্তি তার বাড়ির পাশে ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটছিলেন। এসময় ওই দুই সাংবাদিক গিয়ে তার কাছে চাঁদা দাবি করেন। এসময় স্থানীয় জনতা ও ড্রেজার মালিক তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসে।

ওসি বলেন, “এ ঘটনায় ড্রেজার মালিক লিটন বাদী হয়ে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন। চাঁদাবাজীর মামলা দায়েরের পর আজ রবিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/বাদল/এস

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ