সম্প্রতি অধ্যাদেশ জারি করে বেশকিছু পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট ও সম্পুরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এ নিয়ে চলছে নানা মহলে ক্ষোভ ও বিতর্ক। তবে ভ্যাট বাড়লেও এর প্রভাব সাধারণ মানুষের ওপরে খুব বেশি পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শফিকুল আলম বলেন, “বাংলাদেশে ট্যাক্স জিডিপির যে অনুপাত হার, এটা ২০২১ সালের পর থেকে খুব নেমে যাচ্ছে। এই বছর পাঁচ মাসে আমাদের ট্যাক্স ঘাটতি রয়েছে ৪২ হাজার কোটি টাকা। আমাদের টার্গেট ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। সেটা হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার একটু বেশি।বাংলাদেশের গ্রোথের জন্য ট্যাক্সটাকে একটা জায়গায় নিতে হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কিছু ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

‘তেল মারা’ বন্ধ করুন: সরকারি কর্মকর্তাদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সংখ্যালঘুদের ওপর বেশিরভাগ হামলা রাজনৈতিক: পুলিশ প্রতিবেদন

“অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর থেকে আমরা চেষ্টা করছি আমাদের খরচটা কীভাবে কমানো যায়। আগে ৩০০ জনের বহর নিয়ে বিদেশ যাওয়া হতো। এখন আমাদের ৪০-৫০ জনের বেশি হয় না”, বলেন প্রেস সচিব।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, সহকারী প্রেস সচিব আশরোফা ইমদাদ, সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/হাসান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ