বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আবারো শুরু হয়েছে গেস্টরুমের নামে মানসিক নিপীড়ন। সোহরাওয়ার্দী হল, ফজলুল হক হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হল ও আশরাফুল হক হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা এ অভিযোগ তুলেছেন।

অভিযোগকারীদের দাবি, তাদেরকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে উদ্ভট নিয়ম শেখানো ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সোহরাওয়ার্দী হলের প্রথম বর্ষের ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বলেন, “গতকাল শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত ৯টায় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মোবাইল নিজের রুমে রেখে রিডিং রুমে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরে দ্বিতীয় বর্ষের প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী হলের কিছু উদ্ভট নিয়ম আমাদের জানান, যা আমাদের মানতেই হবে। এর মধ্যে রয়েছে- সাইকেল চালানো যাবে না, দ্বিতীয় তলায় যাওয়া যাবে না, বড় ভাইদের সঙ্গে দিনে যতবার দেখা হবে ততবার সালাম, পরিচয় ও হ্যান্ডশেইক করতে হবে, হলে লুঙ্গি পরা যাবে না, হলের গ্রন্থাগারে ল্যাপটপ নিয়ে যাওয়া যাবে না, হলের ক্যান্টিনে যাওয়া যাবে না ইত্যাদি।”

তিনি বলেন, “এরপরে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা এসে আমাদের কিছু দাবি-দাওয়া জানতে চান। আমরা তাদের আমাদের হলভিত্তিক বিভিন্ন সমস্যার কথা জানাই। এরপরে তারা চলে গেলে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন।” 

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, “হাত বাকা রেখে দাঁড়ানো, মাথা উঁচু বা নিচু রাখা ইত্যাদি ছোটখাটো ভুলের জন্য একজন একজন করে ডেকে গালিগালাজ ও শাস্তি দেওয়া হয়েছে। শাস্তিগুলোর মধ্যে ছিল ১০ ধরনের হাসি, ১০ ধরনের সালাম, গাছে ঝুলে থাকার অভিনয় এবং নাচ। এ ধরনের চাপের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী মাথা ঘুরে পড়ে যান।”

সোহরাওয়ার্দী হলের আরেক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, গেস্টরুম চলাকালীন দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা তাদের বলেছেন, এটি নিয়ে হলের প্রাধ্যক্ষের কাছে বিচার জানিয়ে কোনো লাভ হবে না। কারণ হলের প্রাধ্যক্ষের কথা অনুযায়ি গেস্টরুম করানো হচ্ছে। সিনিয়ররা বিগত ১ বছর গেস্টরুম সহ্য করেছেন, এখন নবীনদেরও একই নিয়মে গেস্টরুম সহ্য করতে হবে।”

নাম প্রকাশ না করা শর্তে ফজলুল হক হলের প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী বলেন, “গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফজলুল হক হলের কমনরুম থেকে এক শিক্ষার্থীকে বেশ কয়েকজন কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছিল। ওই শিক্ষার্থীকে দেখে মনে হচ্ছিল, কমনরুমে দীর্ঘক্ষণ থাকায় তিনি কোন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। গেস্টরুমে সাধারণত দরজা-জানালা বন্ধ রাখা হয়, সে কারণে অনেকের শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়ে যায়।”

গেস্টরুমের বিষয়ে ফজলুল হক হলের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, গতকাল (শনিবার) রাতে ফজলুল হক হলের গেস্টরুমে দরজা, জানালা, জানালার পর্দা বন্ধ করে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের গেস্টরুম করানো হয়েছে। গেস্টরুম চলাকালীন তাদের মোবাইল ফোনও নিয়ে নেন দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। 

তবে অনেকেই জানিয়েছেন, হলের টুর্নামেন্ট আয়োজন উপলক্ষে জুনিয়রদের নিয়ে একসঙ্গে কমনরুমে বসা হয়েছিল।

এদিকে, দুইদিন আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলেও প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ডেকে গেস্টরুম করানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। তাদের হলের অদ্ভুত কিছু নিয়মের তালিকা দেওয়া হয়েছে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে সেগুলো আর মেনে চলা লাগবে না বলে জানানো হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আশরাফুল হক হলের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী জানান, গতকাল (শনিবার) রাতে তাদের হলের গেস্টরুমে ডেকে পরিচয় দেওয়া শেখানো হয়। হলের সিনিয়রদের সামনে কিভাবে নিজেদের পরিচয় দিতে হবে সেটি তাদের শেখান হলের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। তবে তাদের কোনো গালিগালাজ বা শারীরিক কোন নির্যাতন করা হয়নি।

এ বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.

মো. বজলুর রহমান মোল্যা বলেন, “হলে কোনো ধরনের গেস্টরুম চলবে না বলে আমি নির্দেশ দিয়েছিলাম। শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ আসলে আমাকে জানাতে বলেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। আমি তাদের সঙ্গে বসে ঘটনার তদন্ত করব।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম বলেন, “গেস্টরুম বন্ধে প্রশাসন কঠোর। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।”

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

বঙ্গীয় সংস্কৃতি বিদেশে, বাঙালি একাত্ম

‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’- পংক্তিমালার কবি দাউদ হায়দার চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ৭৩ বছর বয়সে শনিবার রাতে জার্মানির রাজধানী বার্লিনের একটি বয়স্ক নিরাময় কেন্দ্রে তিনি মারা যান। কবি দাউদ হায়দার একাধারে একজন লেখক ও সাংবাদিক ছিলেন। শেষ জীবনে তিনি একজন ব্রডকাস্টিং সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বাংলা ভাষার একজন আধুনিক কবি ছিলেন, যিনি সত্তর দশকের কবি হিসেবে চিহ্নিত।

‘বঙ্গীয় সংস্কৃতি বিদেশে, বাঙালি একাত্ম’ লেখাটি ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সমকালে প্রাকাশিত হয়। কবির স্মৃতিতে পাঠকদের জন্য লেখাটি পুনরায় প্রকাশ করা হলো।   

স্বর্গ কেউ দেখেছেন, অজানা। শুনিনি। ওখানে আবার ঢেঁকিও আছে! কী করে এই প্রবাদ তৈরি, কবে থেকে, হলফ করে কেউ বলতে অপারগ। হতে পারে, বাঙালি যেখানে যায় স্বভাব বদলায় না। কেন বদলাবে? নিজস্বতা হারালে ট্র্যাডিশন বরবাদ।

আমাদের জানা আছে, ‘বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন’-এর বয়স চার কুড়ির বেশি। দেশভাগের আগে থেকে। নামে বঙ্গ। প্রতিষ্ঠা পশ্চিমবঙ্গে। ধরে নেওয়া হয়, কলকাতায় গোড়াপত্তন হলেও পূর্ববঙ্গ যুক্ত। তখন একই বঙ্গ, বিভাজন পূর্ব-পশ্চিম নামে। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ নিয়ে কী কাণ্ডই না ঘটেছিল!! ইতিহাস বিস্তৃত।

না-ঘটলে আমরা কি ‘আমার সোনার বাংলা’ গান পেতুম? ‘ও আমার দেশের মাটি’?

বঙ্গ বিভাজন হলেও এখনও ‘ইস্ট বেঙ্গল’ ফুটবল ক্লাব কলকাতায় বহাল তবিয়তে। দেশভাগের আগে ইস্ট বেঙ্গল। ১৯৪৭ (১৪ আগস্ট)-এ ভারত খণ্ডিত। ইস্ট বেঙ্গলের নামকরণ পূর্ব পাকিস্তান। ১৯৭১-এ ১৬ ডিসেম্বরের পরে বাংলাদেশ।

লক্ষণীয়, বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন-এর নাম বদলায়নি। ভারতের নানা রাজ্যে ছড়িয়েছে। একই নামে। যেখানে বাঙালি আছে, ৫ বছর পরপর (গত শতকের আশির দশকের আগে ৩ বছর পরপর) সম্মেলন। বেছে নেওয়া কোনো রাজ্যের বিশেষ শহর। এখন বিশ্বের নানা দেশে। উত্তর আমেরিকার যেখানে সরগরম বাঙালি। নাম বঙ্গ সম্মেলন। নামে ‘বঙ্গ’ হলেও প্রাধান্য পশ্চিমবঙ্গের বাঙালির। বাংলাদেশ থেকে কেউ আমন্ত্রিত নয়।

নিউইয়র্কে বিশ্বজিৎ সাহার প্রতি বছর ‘মুক্তধারা’ (ঢাকার মুক্তধারা প্রকাশনের কর্ণধার চিত্তরঞ্জন সাহার ভাইপো বিশ্বজিৎ) দুই বাংলার লেখক, শিল্পী, বই নিয়ে তিন দিন বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন। ভেদাভেদ নেই বঙ্গের। প্রত্যেকে বাঙালি। দুই বাংলার মিলিত সম্মেলন। এলাহি কাণ্ড। বঙ্গ নানা সাজে ঝলমলে। বই প্রদর্শন, সাহিত্যিককুলের জমজমাটই নয় কেবল। বক্তৃতা, আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালা। যোগদান উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্য, জার্মানিসহ ইউরোপের বাঙালির। মূল উদ্দেশ্য বাংলার শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির পরিচয় বহুলতায়। শুরুতে বিশ্বজিৎ সাহার প্রাণান্ত প্রচেষ্টা। এখন অনেকেই সঙ্গী। স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান।

বেলজিয়াম প্রবাসী ব্রাসেলসের লিপিকা ভট্টাচার্য, তাঁর স্বামী লীলাঞ্জন ভট্টাচার্য ইউরোপে বঙ্গীয় সাহিত্য, সংগীত, শিল্প, সংস্কৃতি বিস্তারিত করার মহৎ উদ্যোগী। নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের। জানা ছিল, বাংলার শিল্প, সাহিত্য, সংগীত তাঁর আরাধ্য।

লিপিকা ভট্টাচার্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির ছাত্রী। চমৎকার সুন্দরী। গুণবতী। কলকাতার দূরদর্শনে (টিভি) জনপ্রিয় উপস্থাপিকা।

কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন রাজ্যে বঙ্গ ও ভারতীয় সংগীত, সংস্কৃতির প্রচারে নিরলস। অক্লান্ত কর্মী। ইউরোপেও। আয়োজন করেন তিন দিনের অনুষ্ঠান (৭-১০ সেপ্টেম্বর) হল্যান্ডের আইন্ডহোভেনে। প্রতিষ্ঠানের নাম ‘সর্বভারতীয় সংগীত ও সংস্কৃতি পরিষদ’। সর্বভারতীয় নামে ভ্যাবাচ্যাকা খাই। মূলত বঙ্গীয়। কাজল সেনগুপ্তর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত। পশ্চিমবঙ্গের বহুমান্য শিল্পী-সাংস্কৃতিকজন সংযুক্ত। সেতারি মণিলাল নাগ, নৃত্যশিল্পী অমিতা দত্ত প্রমুখ একাসনে। ভারত সরকারের আর্থিক সাহায্যেও সর্বভারতীয় সংগীত ও সংস্কৃতি পরিষদ স্ফীত। কাজলের মূল উদ্দেশ্য বঙ্গীয় সংস্কৃতি, সংস্কৃতির নানা রূপ, সংগীত বিস্তারণ।

লিপিকা ভট্টাচার্য দায় নিয়েছেন ইউরোপে (ব্রিটেন বাদে)। কয়েক মাসে দিনরাত খেটে, লিপিকা ভট্টাচার্যের ভাষায় ‘অক্লান্ত’, প্রথম অধিবেশন (পোশাকি নাম ‘ফার্স্ট ইউরোপিয়ান কনভোকেশন কনফ্লুয়েন্স’)।

লিপিকার সঙ্গে বহুজন একত্রিত। ডক্টর শান্তনু সেনগুপ্ত নিরলস কর্মী। সঙ্গী প্রজনা ভট্টাচার্য, অনিন্দিতা ভট্টাচার্য, মহুয়া মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। প্রত্যেকের দায় অনুষ্ঠান সুচারুর। যাকে বলে ‘ভ্যারাইটি অনুষ্ঠান’। নাচ। গান। কাব্যপাঠ। ছোটদের নাটক। ডাচ কবি/সাহিত্যিক/শিল্পীও অংশী। লিপিকা ভট্টাচার্য বললেন, ‘বঙ্গ সংস্কৃতির রূপ, ঐতিহ্য কতটা প্রাচীন, কতটা ঐশ্বর্যে ভরপুর, গরীয়ান তুলে ধরার প্রচেষ্টা।’ অনুষ্ঠানের আলাদা ঘরে অনিন্দিতার শিল্পকর্ম, প্রদর্শনী। দেখে আনন্দিত। সুখী।

নামে সর্বভারতীয়, বাংলাদেশিও একাত্ম। ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে হাজির আতিক (সংগীতশিল্পী), ইউটিউবের ‘শুদ্ধস্বর ডটকম’-এর হাবিবুল্লাহ বাবুল। হল্যান্ডে বসবাসরত বহু বাংলাদেশি। তারাও নানা অনুষ্ঠানমালায় অংশী। দুই বঙ্গের বঙ্গীয় আত্মিকতা। কতটা, বললেন হাবিবুল্লাহ বাবুল। তিনিও ফ্রাঙ্কফুর্টে দুই বাংলার শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির সম্মিলনে বহু বছরই কর্মী। অনুষ্ঠানের ইতি পর্বে লিপিকা ভট্টাচার্য জানান, ‘পরবর্তী আয়োজনে দুই বঙ্গের মিলন আরও নিবিড়, ঘনিষ্ঠতায় সমুজ্জ্বল হবে। বঙ্গীয় সংস্কৃতির নানা রূপই ইউরোপে তুলে ধরব। বঙ্গ কেবল পশ্চিমবঙ্গ নয়, বাংলাদেশও।’

প্রেক্ষাগৃহে তুমুল করতালি।

দাউদ হায়দার: কবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আর্নে স্লট: কিংবদন্তির জায়গা নিলেন এবং নিজেই কিংবদন্তি হয়ে গেলেন
  • পেহেলগামের ঘটনায় একের পর এক বাড়ি ধ্বংস, সরকারকে সতর্ক করল কাশ্মীরের দলগুলো
  • গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুনে পাঁচজন দগ্ধ
  • ‘এবং বই’ বুক রিভিউ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত
  • দাউদ হায়দার: কবির দেশ ছাড়ার কষ্ট
  • ছিনতাইকারী টান দেয় ভ্যানিটি ব্যাগ, নারীকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় প্রাইভেটকার
  • নারীকে গাড়ির সঙ্গে টেনে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা
  • চলন্ত প্রাইভেটকারে ছিনতাইকারী এসে ছোঁ মেরে টান দিল ব্যাগ, টেনে নিয়ে গেল নারীকে
  • দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত: ‘আমাগে বাড়ি উঠতি দেচ্ছে না, জমির ধান কাইটে নিয়ে গেছে’
  • বঙ্গীয় সংস্কৃতি বিদেশে, বাঙালি একাত্ম