এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতা
Published: 12th, January 2025 GMT
বাংলাদেশে এক রোগীর শরীরে এইচএমপি ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার খবর দিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে এ তথ্য জানানো হয় এবং এরপর সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে, যার মাধ্যমে এই ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্য সতর্কতা ঘোষণা করা হয়।
চীনসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং তীব্রতা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
দেশে একজনের শরীরে এইচএমপিভি শনাক্ত
ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে করণীয়
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়, ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হচ্ছে। এছাড়া যারা হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে (COPD) আক্রান্ত, গর্ভবতী নারী এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন।
বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যাচ্ছে। চীনসহ অন্যান্য দেশে এর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায়, বাংলাদেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি বলে সতর্ক করা হয়েছে।
সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে:
১.
২. হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় নাক ও মুখ গামছা বা টিস্যু দিয়ে ঢেকে রাখুন।
৩. ব্যবহৃত টিস্যু দ্রুত ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন এবং হাত ধুতে সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
৪. আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে বিরত থাকুন এবং তাদের থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
৫. ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।
৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করবেন না। ৭. আপনি যদি জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হন, তবে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন এবং প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনুরোধ করেছে এবং তাদের কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) ইউনিট পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন জানিয়েছেন, ‘হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসটি নতুন কোনো ভাইরাস নয়, তবে এটি শুধু চীনে নয়, পৃথিবীর নানা দেশে পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এর উপস্থিতি আগে থেকেই ছিল, তাই এটি নতুন কোনো ভাইরাস নয়।’
তিনি আরো জানান, আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
ঢাকা/হাসান/আসাদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এ বছর নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজনের মৃত্যু
এ বছর নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর। সোমবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তি পাবনা জেলার। রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। পরে বরিশাল মেডিকেলেও মারা যায় একজন। সবশেষ চলতি সপ্তাহে ফরিদপুর মেডিকেলে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, মারা যাওয়া তিনজনেরই বয়স ছিল ৪০ এর কম।
আইইডিসিআর বলছে, খেজুরের কাঁচা রস খেলে নিপাহ ভাইরাস হতে পারে। বাদুড়ের মাধ্যমে ছড়ায় এই ভাইরাস। এই ভাইরাসে মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেশি।