বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, জনগণের ভোটে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে, মহল্লায়, থানায়, উপজেলা পর্যায়ের সব খেলার মাঠ সংস্কার করা হবে। খেলার জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে। যাতে বাবা-মা তার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে খেলাধুলার জন্য মাঠে যেতে পারে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এমন পরিকল্পনা রয়েছে।

রোববার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ- আইইবি’র লন টেনিস কোর্টে আইইবি সদর দপ্তর, ঢাকা কেন্দ্র, ইআরসি ঢাকার যৌথ উদ্যোগে শীতকালীন ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আমিনুল হক বলেন, গত ১৭ বছর ধরে আমাদের যুবসমাজ মাদকাসক্তের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। পরিকল্পিতভাবে আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংস করে ফেলেছে। সেই জায়গা থেকে একটি সুস্থ সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে খেলা হবে অন্যতম একটি মাধ্যম। মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য খেলাধুলা হবে প্রধান মাধ্যম।

তিনি বলেন, গত ১৭ বছরে বাংলাদেশে শুধু ব্যাডমিন্টন নয়, কোনো কিছুই করা যায় নাই। আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে দলীয়করণ করেছে। ফলে এটি ধ্বংসের পথে। ক্রিকেট বোর্ড, ফুটবল ফেডারেশন, ব্যাডমিন্টনসহ সবকিছু আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার এমনভাবে দলীয়করণ করেছে বাংলাদেশে যারা মাঠের ক্রীড়া সংগঠক তারা হারিয়ে গেছে। বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গনের দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গন অনেকটাই তলানিতে চলে গেছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গনকে জাগ্রত করার জন্য তারেক রহমানের নির্দেশনা আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু করেছি। জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু করা হয়েছে। এরপরে বাংলাদেশের জনপ্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে মেয়েদের ক্রিকেট অথবা ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হবে। খেলার কোন বয়স নাই। শারীরিক ও মানসিক সুস্থ থাকার জন্য খেলার প্রয়োজন। তাই আমরা চাই বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে খেলার মাঠ হোক। 

বিএনপির এ নেতা বলেন, যখন কেউ ক্ষমতায় আসে তখন তারা স্থাপনা তৈরি করতে চায়। কিন্তু বিএনপি হবে এর সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশের জন্য, জনগণের জন্য কাজ করবে। তাদেরকে ভালো রাখতে, সুস্থ রাখতে কাজ করবে। প্রতিটি বাবা-মা তার সন্তানেরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হবে এটা চায় কিন্তু খেলোয়াড় হবে এটা কেউ চায় না। আমরা সেই জায়গাটি তৈরি করতে চাই যাতে বাবা-মা তার সন্তান খেলোয়াড় হোক এটা চাইবে। প্রতিটি খেলা কে বাধ্যতামূলক করা হবে।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ ঢাকা কেন্দ্র এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কে এম আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম রিজু, এসোসিয়েশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সাব্বির মোস্তফা খান, ইঞ্জিনিয়ার্স রিক্রিয়েশন সেন্টার নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খান আতাউর  রহমান সান্টু প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক

চীনের অর্থায়নে এক হাজার শয্যার আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ। মঙ্গলবার তিনি নীলফামারী সদর উপজেলার টেক্সটাইল মিলসংলগ্ন জায়গাটিকে ‘প্রথম পছন্দ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সাইদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রাজ্জাক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর ডা. জুবায়ের আল মামুন ও জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্তের খবরের পর মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা নেমে এসেছে। উচ্ছ্বসিত এ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মিছিলও হয়েছে।

ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, উপদেষ্টা মহোদয় রংপুর বিভাগের আশপাশে ১০ থেকে ১২ একরের মধ্যে একটি জায়গা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখানে ২০ থেকে ২৫ একর জমি পাওয়া যাবে। ফলে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য এটি আরও উপযোগী হয়ে উঠেছে। জেলা প্রশাসক এ জায়গাটির বিষয়ে প্রস্তাব দেন। সার্বিক দিক বিবেচনায় এটি উপযোগী স্থান। এই জায়গা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ দ্বিমত পোষণ করেননি।

ডা. হারুন অর রশিদ আরও বলেন, নিরাপত্তার দিক থেকে উত্তরবঙ্গের মানুষ অত্যন্ত সহনশীল ও শান্তিপ্রিয়। পাশেই সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং সড়ক পথে অন্যান্য জেলার সঙ্গে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা এই স্থানটিকে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য আরও উপযুক্ত করে তুলেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ