সরকার ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে জনরোষ বাড়বে: চরমোনাই পীর
Published: 12th, January 2025 GMT
অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ করে শতাধিক পণ্য ও সেবায় মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও শুল্ক বাড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। এই সিদ্ধান্ত থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার রাজনৈতিক দল ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা না করে মানুষের ওপর ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে জনরোষ বৃদ্ধি পাবে।
আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের আমির এ কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়াতে সরকার শুল্ক–কর বৃদ্ধির সহজ পথ বেছে নিয়েছে। এতে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে নিম্ন আয় ও প্রান্তিক আয়ের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের খরচ আরও বেড়ে যাবে। সাধারণ মানুষ এমনিতেই চাপের মধ্যে আছে, কর বাড়ানোয় পরিস্থিতি আরও তীব্র হবে।
আরও পড়ুনশুল্ক–কর বাড়ায় পকেট থেকে যাবে ১২ হাজার কোটি টাকা ১৪ ঘণ্টা আগেসরকারের এমন সিদ্ধান্তে বাজারে পণ্যের মূল্য বাড়বে এবং গরিব ও মধ্যম আয়ের মানুষের জীবনযাপন আরও কঠিন হয়ে পড়বে উল্লেখ করে চরমোনাই পীর বলেন, পরোক্ষ কর ধনী-গরিব সবার জন্য সমান। পরোক্ষ কর বৃদ্ধি করা হলে ধনীদের সমস্যা হয় না, সমস্যা গরিবের। এ পরিস্থিতিতে জনগণের ওপর যাতে অর্থনৈতিকভাবে কোনো ধরনের চাপ সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ