পিঠা উৎসবে মুখরিত এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
Published: 12th, January 2025 GMT
বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করতে এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল লালমাটিয়ায় অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী পিঠা উৎসব। শনিবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতিতে জমে ওঠেছিল এ উৎসব।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ইসলামিক স্কলার ও বাংলাদেশে হিফজুল কুরআনসহ ইসলামিক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মুফতি কাজী মুহাম্মদ ইবরাহিম। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ইসলামি স্কলার প্রফেসর মোক্তার আহমেদ এবং এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব স্কুল মোহাম্মদ আনিসুর রহমান সোহাগ এবং প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক গোলাম মোস্তফাসহ স্কুলের অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রায় ১০০টি স্টলে দেশীয় বিভিন্ন ধরনের পিঠা প্রদর্শন করেন। ঐতিহ্যবাহী পিঠাগুলোর মধ্যে ছিল ভাপা, চিতই, ঝাল পিঠা, পুলি পিঠা, পাটিসাপটা, গোলাপ পিঠা, নারকেল পিঠা, দুধ চিতই, নকশি পিঠাসহ আরও নানা মুখরোচক পিঠা।
শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ হাতে তৈরি করা পিঠা নিয়ে উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। স্টলে সাজানো বাহারি রকমের পিঠা দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের সঙ্গে স্টল ঘুরে পিঠার স্বাদ গ্রহণ করেন এবং নতুন নতুন পিঠা সম্পর্কে জানতে পারেন।
এ বিষয়ে অভিভাবক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, 'এই ধরনের উৎসব শহরের ব্যস্ত জীবনে গ্রামীণ পিঠার স্বাদ ফিরিয়ে আনে। আমাদের সন্তানদের বাঙালি ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত করানোর জন্য এ ধরনের আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'
সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, 'এতো রকমের পিঠা একসঙ্গে আগে কখনো দেখিনি। সহপাঠীদের সঙ্গে আনন্দ করছি এবং পিঠা খাচ্ছি।'
সাবেক এক শিক্ষার্থী বলেন, 'পিঠা উৎসব আমাদের ঐতিহ্যকে তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এরকম আয়োজন আরও বেশি হওয়া উচিত।'
পরে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পিঠা উৎসব আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করা এবং গ্রামীণ ঐতিহ্যকে স্মরণ করানো।
পিঠা উৎসব উপলক্ষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ছিল আনন্দ আর উৎসবের মিলনমেলা। বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করতে এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের এমন আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবের মঞ্চে ‘ইংগিত’
মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবে ৬৩ জেলা হতে নির্বাচিত ১৬ নাটক নিয়ে ঢাকায় জাতীয় নাট্যশালায় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে উৎসবের শেষ দিনে (শুক্রবার) মঞ্চায়ন করা হয় নাটক ‘ইংগিত’।
‘ইংগিত’র নাট্য ভাবনা, পরিকল্পনা, আলো ও নির্দেশনায় ছিলেন সুবীর মহাজন। সহকারী নির্দেশনায় আছাদ বিন রহমান ও পরিবেশনায় ছিল বান্দরবান পার্বত্য জেলা শিল্পকলা একাডেমি। বান্দরবানের বসবাসরত বিভিন্ন ভাষার জনগোষ্ঠীর মানুষ এত অংশ নেন।
নাটকের গল্পে দেখা যায়, পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে তরুণদের বড় একটি অংশ হতাশায় নিমজ্জিত। অথচ তারুণ্যই বারবার পথ খুঁজে দিয়েছে। বহুভাষার মানুষের জেলা বান্দরবানের এক তরুণ বর্তমানের নানা পারিপার্শ্বিকতায় ক্লান্ত হয়ে যখন ঘুমের রাজ্যে, ঠিক তখন তার চোখ জুড়ে ফিরে আসে শৈশব-কৈশোর। ক্লান্ত শরীর তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে বাস্তবে। স্বপ্নের ঘোরে সে ঘুরে বেড়ায় প্রকৃতির রাজ্য বান্দরবানে, যেখানে রয়েছে জীবন ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় বিশাল ভাণ্ডার। ঘুম তাকে ফিরিয়ে দেয় সোনালী সময়। যখন বর্তমানে ফিরে আসে নানা জটিলতায় আবদ্ধ হয়ে পড়ে। সিস্টেম নামে এক জগদ্দল পাথর সরাতে চায় সে। পাহাড় আর সমতলকে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতার এক সুতায় মেলবন্ধন ঘটাতে যে বদ্ধ পরিকর।
১৫ দিনব্যাপী কর্মশালার মধ্যে দিয়ে নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে।