বছরের প্রথম পূর্ণিমা উদ্যাপন করবে বেনুভিটা অবজারভেটরি, যোগ দিতে পারেন আপনিও
Published: 12th, January 2025 GMT
২০২৫ সালের প্রথম পূর্ণিমা উদ্যাপন করবে গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত বেনুভিটা অবজারভেটরি। তাঁরা আয়োজনের নাম দিয়েছেন ‘চন্দ্রোৎসব’।
১৪ জানুয়ারি রাতে আকাশে দেখা মিলবে এই পূর্ণচন্দ্রের, বাংলা বর্ষপঞ্জির হিসাবে সেদিন ৩০ পৌষ। চন্দ্রোৎসব উদ্যাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী কাবেরী জান্নাত প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেনুভিটা অবজারভেটরির উদ্যোগে নানা আয়োজন হলেও এই প্রথম আমরা চন্দ্রোৎসব আয়োজন করতে যাচ্ছি, যা প্রতিবছর করতে চাই। প্রকৃতির সঙ্গে চন্দ্র দেখা শুধু নয়, আয়োজনটা প্রকৃতির সঙ্গে বিজ্ঞানেরও সম্মিলন ঘটাবে। বিজ্ঞানভিত্তিক উদ্যাপনের পাশাপাশি চন্দ্রোৎসবে আমরা নানা আয়োজনও রেখেছি।’
বেনুভিটা অবজারভেটরি ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত অবজারভেটরি বা মানমন্দির। এই মানমন্দিরটিতে রয়েছে আকাশ গবেষণার বৃহৎ টেলিস্কোপ ও মহাকাশ গবেষণার নানা উপাদান। আয়োজকেরা জানালেন, চন্দ্রোৎসবে আগতরা মানমন্দিরের ভেতরে টেলিস্কোপে চাঁদসহ নানা গ্রহ-উপগ্রহ দেখার সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া রাতভর আয়োজনে থাকবে চাঁদ–সম্পর্কিত তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, চাঁদের গান, আলোকিত ঘুড়ি ওড়ানো, বাউলগান, মিউজিক থেরাপি, জঙ্গল সাফারিসহ নানা কিছু।
অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় ও প্রকৃতিপ্রেমী মানুষদের এই আয়োজনে নিবন্ধনের মাধ্যমে যে কেউ অংশ নিতে পারবেন। নিবন্ধন ফি জনপ্রতি তিন হাজার টাকা। এই ফির আওতায় ১৪ জানুয়ারি বিকেল পাঁচটা থেকে পরদিন সকাল আটটা পর্যন্ত বেনুভিটা অবজারভেটরিতে থাকা-খাওয়াসহ উৎসব উপভোগের সুযোগ পাবেন।
চন্দ্রোৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে: ০১৭৭১০২৮৬৫৯
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’