শিশুর সৃজনশীলতা প্রকাশে স্মার্টফোন
Published: 12th, January 2025 GMT
স্মার্টফোন শুধু গেম খেলা নয়, বরং সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশেও সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। বিভাগীয় শহর খুলনায় এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজ বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে ‘ক্যাপচার দ্য ফিউচার- ২০২৫’ আয়োজন যেন সে কথাই বলছে।
শিশুকে আধুনিক ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি শেখানোর সঙ্গে তাদের স্বপ্ন দেখা ও তা ক্যামেরায় ধারণ করার মাধ্যমে সৃজনশীলতা ও কল্পনার বিকাশ ঘটানো প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।
দুই দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে আয়োজনের সূচনা হয়। সারাদেশ থেকে আসা শিশু প্রতিনিধিরা উইন্টার ক্যাম্পে ভিভো ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন ব্যবহার করে খুলনা ও বাগেরহাটের ঐতিহাসিক স্থাপত্যের ছবি ধারণ করে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে শিশুদের তোলা নির্বাচিত ছবির প্রদর্শনী হয়। একই সঙ্গে গত বছরের ছবির স্মৃতিপথ প্রদর্শিত হয়, যা উপস্থিত দর্শককে মুগ্ধ করে। প্রদর্শনীতে স্থান পায় ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি) সাদিয়া আফরিন বলেন, শিশুদের সৃজনশীলতা দেখে সত্যিই অভিভূত। প্রযুক্তিগত দক্ষতা শেখানোর মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করাই হবে আমাদের লক্ষ্য। উদ্যোক্তাদের এমন আয়োজন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকুক– সেই প্রত্যাশা রাখছি।
ভিভো বাংলাদেশের কান্ট্রি ব্র্যান্ড ম্যানেজার তানজীব আহমেদ বলেন, ক্যাপচার দ্য ফিউচার প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য হলো শিশুর সৃজনশীলতাকে উদ্দীপিত করা এবং ছবি তোলার মাধ্যমে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও কল্পনার বিকাশ ঘটানো। প্রযুক্তি ব্র্যান্ড হিসেবে আমরা সব সময় অগ্রগতির চালিকাশক্তি হিসেবে সক্রিয় দায়িত্ব পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
প্রশিক্ষক তানভীর মুরাদ তপু (হেড অব ফটোগ্রাফি ডিপার্টমেন্ট, পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট) বলেন, কর্মশালার মাধ্যমে প্রজন্মের ঐতিহ্যকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে। প্রযুক্তিগত উন্নতির মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম নিজেদের গল্প তুলে ধরতে পারবে। ভিভো বাংলাদেশ ও এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজেস বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশি শিশুদের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে কাজ করার কথা জানিয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’