আড়াইহাজার উপজেলা জিয়া শিশু-কিশোর সংগঠন এর পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার সকালে সোনারগাঁয়ের রয়েল রেস্টুরেন্টে আড়াইহাজার উপজেলার জিয়া শিশু-কিশোর সংগঠন এর ৯ সদস্যের আংশিক কমিটি বাতিল করে মো. ইয়াছিন আরাফাত জিকুকে সভাপতি, ইয়াছিন আরাফাতকে সাধারণ সম্পাদক এবং জুয়েল আহাম্মেদকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট পুর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেন জেলা জিয়া শিশু-কিশোর সংগঠন এর সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজেদুল ইসলাম সাজু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো.

আব্দুল মান্নান ও সহ সভাপতি মোঃ আল আমিন। 

কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, মাকসুদুল কবির (সিনিয়র সহ-সভাপতি), মোঃ আল আমিন মোল্লা, জিয়াউল হক ভূঁইয়া মুকুল, মোঃ আলী হোসেন মোল্লা এবং সাইফুল ইসলাম (সহ-সভাপতি), মোঃ মেহেদী হাসান (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক), মোঃ নোমান মিয়া (রোমান), মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকী এবং মোঃ মামুন (সহ-সাধারণ সম্পাদক), সজীব, মোঃ শাহিন আলম, মাহফুজ আনাম ইফতি, রাকিবুল হাসান শিহাব এবং মোহাম্মদ জিহাদ (সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক), রায়হানুল ইসলাম রায়হান (অর্থ বিষয়ক সম্পাদক), মোঃ লিটন মিয়া এবং মোঃ রিফাত (সহ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক), মোঃ মারজিদ আহম্মেদ (দপ্তর সম্পাদক), মোঃ ইয়ামিন (সহ- দপ্তর সম্পাদক), মোঃ কাউসার (প্রচার সম্পাদক),  আব্দুর রহমান ফিদা (ক্রীড়া সম্পাদক), মোঃ শাহজালাল (সমাজ সেবা সম্পাদক), মাহবুব আলম (ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক), তামিম আহমেদ তুষার এবং রাশিদুল ইসলাম রাশেদ (কার্যকরী সদস্য), মোঃ সাজিদ মিয়া, মোঃ মাসুদ রানা এবং মোঃ হানিফা (সদস্য)।
 

উৎস: Narayanganj Times

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে পুরুষ আসামির সাক্ষাৎ

বগুড়ায় আলোচিত ১৭ মামলার আসামি তুফান সরকারকে আদালতের নারী হাজতখানায় পরিবারের পাঁচ সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আদালত পুলিশের ২ সদস্যকে প্রত্যাহার ও ৫ সাক্ষাত প্রার্থীকে ৫৪ ধারায় চালান দেওয়া হয়েছে।

সোমবার বিকেলে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যাহার করা পুলিশের ২ সদস্য হলেন- সহকারী টাউন উপ-পরিদর্শক (এটিএসআই) জয়নাল আবেদিন ও নারী কনস্টেবল ইকসানা খাতুন।

জানা যায়, তুফান সরকার বগুড়া শহর যুব শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার মজিবর সরকারের ছেলে। তিনি হত্যা, মাদক, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ ১৭ মামলার আসামি।

জানা যায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বিতীয় তলায় নারী হাজতখানার দরজা কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ভেতরে তুফান সরকার, তার স্ত্রী, ছোট বোন, শাশুড়ি, স্ত্রীর বড় বোন এবং একজন আইনজীবীর সহকারী মিলে গল্প করছিলেন। পরে নারী হাজতখানায় পুরুষ আসামি ঢুকার বিষয়টি জানাজানি হলে আদালত চত্বরে হৈ চৈ পড়ে যায়। পরে দ্রুত তুফান সরকারকে প্রিজন ভ্যানে কারাগারে পাঠানো হয়।

এসময় তুফান সরকারের সঙ্গে দেখা করতে আসা নারী হাজত খানা থেকে ওই ৫ জন সরে যান। পরে তাদের আদালত চত্বর থেকে আটক করে ৫৪ ধারায় চালান দেওয়া হয়।

আটক ৫ জন হলেন, তুফানের শাশুড়ি তাসলিমা বেগম, তুফান সরকারের স্ত্রী আশা বেগম, শ্যালিকা ফেরদৌসি বেগম, শ্যালক নয়ন, তুফানের আইনজীবীর সহকারী হারুনুর রশিদ।

বগুড়া আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, সকালে তুফান সরকারকে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতে হাজিরার জন্য কারাগার থেকে আনা হয়। কারাগার থেকে আনা অন্য সব হাজতিকে দুপুরের মধ্যেই প্রিজন ভ্যানে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু বাদ পড়ে তুফান সরকার। হাজতখানার চাবি এটিএসআই জয়নাল আবেদিনের কাছে থাকে। তুফান সরকারকে কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করার সুযোগ করে দেয় জয়নাল আবেদিন। আদালতের সবার অগোচরে ঘটনাটি ঘটে।

বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, পুরুষ আসামিকে নারী হাজত খানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে এটিএসআই জয়নাল আবেদিন ও এক নারী কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।  পুলিশের আরও যাদের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এক কলেজ ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে। পরে শালিস ডেকে ভুক্তভোগী নারী ও তার মা'কে দোষী উল্লেখ করে মারধর করে এবং মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেয় তুফান সরকার। সেই ঘটনায় দেশ জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হলে তুফান সরকার গ্রেপ্তার হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ