রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ৩২১ জন শিক্ষানবিশ উপপরিদর্শককে (এসআই) অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। তাঁদের প্রশিক্ষণে পুনর্বহাল ও চাকরিতে যোগদানের সুযোগ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে জোর দাবি জানিয়েছে তারা।

আজ রোববার গণমাধ্যমে সংগঠনটির পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩২১ জনের মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত ১০৩ জন। তাঁদের মধ্যে ৩৩ জন নারী।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অব্যাহতিপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে কথিত অসদাচরণের অভিযোগ আনা হলেও তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। এভাবে অব্যাহতি দেওয়া একদিকে প্রচলিত আইন ও বিধির সম্পূর্ণ পরিপন্থী, অন্যদিকে এর ফলে তাঁদের ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণরূপে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে, যা উদ্বেগজনক।

আরও পড়ুনআশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ এসআইদের০৬ জানুয়ারি ২০২৫

সম্প্রতি সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ চলাকালে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে পুলিশের ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের শিক্ষানবিশ ৩২১ জন এসআইকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে সম্প্রতি সচিবালয়ের সামনে তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

আরও পড়ুনসারদায় ‘মাঠে বিশৃঙ্খলার’ অভিযোগে প্রশিক্ষণরত আরও তিন এসআইকে অব্যাহতি১৮ নভেম্বর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল নিয়ে ডুবল জাহাজ

খুলনায় রূপসার রেলসেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে গেছে লাইটার জাহাজ এমভি সেভেন সার্কেল-২৩। জাহাজটিতে ১ হাজার ১৭৫ টন সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জাহাজটি উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
জাহাজের সুকানি ইমাম হোসেন লিটু ও গ্রিজার অমিত কুমার শীল জানান, তারা মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকা থেকে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল নিয়ে রূপসা এলাকায় সেভেন রিংস সিমেন্ট কারখানার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে রূপসা রেলসেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে জাহাজটি ডুবে যায়। তারা জানান, জাহাজটি যখন ডুবে যাওয়ার উপক্রম তখন তারা সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে ফোন দেন। কর্তৃপক্ষ দ্রুত দুটি ট্রলার পাঠান। ঘটনাস্থল ফ্যাক্টরির কাছাকাছি এলাকায়। পরে জাহাজে থাকা ১৩ জন কর্মচারী ট্রলারে করে তীরে উঠতে সক্ষম হন। 
 খুলনা নৌ পুলিশের সুপার মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, দুর্ঘটনাকবলিত লাইটার জাহাজের কেউ নিখোঁজ নেই। সবাই তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, জাহাজের কর্মচারীরা তীরে নোঙর ফেলে ও 
তিনটি স্থানে খুঁটি পুঁতে দড়ি দিয়ে অর্ধডুবন্ত জাহাজটিতে বেঁধে রেখেছেন। জাহাজটি উদ্ধার কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। স্থানীয় লোকজন জানান,  তীরের কাছাকাছি ডুবে যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি অপেক্ষাকৃত কম হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ