বন্দরে র্যাব-১১ অভিযানে গাঁজাসহ হাফেজ তামিম ইকবাল গ্রেপ্তার
Published: 12th, January 2025 GMT
বন্দরে মোটর সাইকেল তল্লাশি চালিয়ে ৫ কেঁজি ৭'শ গ্রাম গাঁজাসহ হাফেজ মোঃ তামিম ইকবাল (২২) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে বন্দরে র্যাব-১১। ধৃত মাদক ব্যবসায়ী হাফেজ মোঃ তামিম ইকবাল ঢাকা জেলার খিলগাঁও থানার মেরাদিয়া (ত্রিমহনী) গোড়না এলাকার লোকমান বক্স মিয়ার ছেলে।
মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় র্যাব-১১ নায়েক সুবেদার মোঃ মহিদুর রহমান বাদী হয়ে রোববার (১২ জানুয়ারি) গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করেছে। যার মামলা ১২(১)২৫।
গ্রেপ্তারকৃতকে রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে। এর আগে গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বন্দর থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুরস্থ রাফি ফিলিং স্টেশনের সামনে পাঁকা রাস্তার উপরে ঢাকাগামী ঢাকা মেট্রো ল ১৪-৭৫৮২ নাম্বার মোটর সাইকেল তল্লাশি চালিয়ে উল্লেখিত গাঁজাসহ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব-১১ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হাফেজ তামিম ইকবাল দীর্ঘ দিন ধরে অবাধে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মদনপুর এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে ঢাকাগামী পালসার মোটর সাইকেল তল্লাশি চালিয়ে তাকে গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই ।
উৎস: Narayanganj Times
এছাড়াও পড়ুন:
নারীর ফাঁদে ঢাকার গ্রাফিক্স ডিজাইনার বন্দরে অপহরণ, গ্রেপ্তার ৬
বন্দরে নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে এক গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে অপহরণের পর মুক্তিপন আদায়ের ঘটনায় সংঘবদ্ধ চক্রের ৬ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত অপহরণকারিরা হলো, বন্দর থানার নবীগঞ্জ নোয়াদ্দা এলাকার বোরহান মিয়ার ছেলে শাকিল (২৮) একই থানার দাঁশেরগাও আমিরাবাদ এলাকার সালাউদ্দিন মিয়ার সালাউদ্দিন মিয়ার ছেলে শাকিল (১৯) নোয়াদ্দা এলাকার মোঃ হোসেন মিয়ার ছেলে রাহাত (২৪) কাইতাখালি এলাকার আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে শিল্প (২৪) একরামপুর ইস্পাহানী এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (২৭) ও একরামপুর পৌরসভা এলাকার সোহেল পাটুয়ারী ছেলে মোঃ শরিফ (২৭)।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে বন্দর উপজেলার সাবদী এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে আনিকা ওরফে রিংকি (২৫) নামে এক নারীর মাধ্যমে ফাঁদ পেতে বন্দর উপজেলার মদনপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই গ্রাফিক্স ডিজাইনাকে অপহরণ করা হয়।
এ ঘটনায় অপহৃত গ্রাফিক্স ডিজাইনার বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ৬ অপহরণকারীসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করে।
পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত ৬ অপহরনকারিকে মঙ্গলবার দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। অপহৃত গ্রাফিক্স ডিজাইনার আল আমিন (৩০) রাজধানীর মিরপুর থানার শাহ আলীবাগ এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে।
তথ্যসূত্রে জানাগেছে, বন্দরের স্বল্পেরচক এলাকার শাকিল আহম্মেদের স্ত্রী আনিকা ওরফে রিংকির সঙ্গে গ্রাফিক্স ডিজাইনার আল আমিনের সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে মাধ্যমে পরিচয় হয় এবং ম্যাসেঞ্জারে কথা হতো। এর ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাতে রিংকি ম্যাসেঞ্জারে আল আমিনকে বন্দর থানাধীন মদনপুর বাস স্ট্যান্ডে আসতে বলে।
পরে তাকে অপহরণ করে কাইতাখালি বাস স্ট্যান্ডের পাশে পাকুরের পাড়ে নিয়ে কাঠের ডাসা দিয়ে পিটিয়ে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারিরা অপহৃত আল আমিনকে বেদম ভাবে পিটিয়ে তার কাছ থেকে মোবাইল ও ম্যানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।
পরে অপহরনকারীরা অপহৃত পিতার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপন হিসেবে ৪৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে অপহরনকারীরা অপহৃত গ্রাফিক্স ডিজাইনার আল আমিনকে কাইতাখালি এলাকা থেকে সাবদী এলাকায় তুলে নিয়ে যায়।
এক পর্যায়ে অপহৃত আল আমিন টহলরত পুলিশের গাড়ী দেখে থামানোর সংকেত দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। ওই সময় অপহরণকারীরা কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২১ জনের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।