ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকে ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি লাভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৫০ জন মেধাবী শিক্ষার্থী। সদাচরণ, ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিতি এবং লেখাপড়ায় সন্তোষজনক ফলাফলের জন্য তাদের এই বৃত্তি প্রদান করা হয়।  
সম্প্রতি নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

নিয়াজ আহমদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদের  সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের ট্রাস্টি ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আবুল কালাম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল এফ মেসবাহ উদ্দিন ইকো স্বাগত বক্তব্য দেন। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৃত্তিপ্রাপ্তদের উদ্দেশে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, প্রবাস জীবনে অনেক ব্যস্ততা ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেও যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইবৃন্দ এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি যে ভালোবাসা ও মমতা দেখিয়েছেন, তা 
সত্যিই প্রশংসনীয়। এই বৃত্তিপ্রদান কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অ্যালামনাইদের সেতুবন্ধন সৃষ্টিতেও এ ধরনের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি উল্লেখ 
করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাইদের প্রতি আহ্বান জানান।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চার টাকার বিনিময়ে হাজার টাকার পণ্য পেলেন চা-শ্রমিকেরা

৪ টাকার বিনিময়ে প্রায় ১ হাজার টাকার পণ্য কেনার সুবিধা পেলেন চা-শ্রমিক ৬০টি পরিবারের সদস্য। পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে ‘ক্লিন সিটি সিলেট’ নামের একটি সংগঠন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে সিলেট সদর উপজেলার দলদলি চা-বাগানে ‘৪ টাকার ঈদবাজার’ নামের এমন আয়োজন করা হয়।

সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক কাজের অংশ হিসেবে সংগঠনটি পাঁচ বছর ধরে নগরের হতদরিদ্র মানুষ, পথচারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ টাকার ইফতারসামগ্রী দিয়ে আসছে। প্রতিটি প্যাকেটে প্রায় ১০০ টাকার ইফতারসামগ্রী থাকে। সেসব বিক্রি করা হচ্ছে নামমাত্র ৪ টাকায়। পরে ওই টাকার সঙ্গে নিজেরা আরও টাকা যোগ করে ঈদ উপহার বিতরণের জন্য কেনাকাটা সারেন সংগঠনের কর্মীরা।

শুক্রবার বিকেলে দলদলি চা-বাগানে ৬০টি মুসলিম চা-শ্রমিক পরিবার চার টাকা দিয়ে হাজার টাকার পণ্য কিনে। বিতরণ করা পণ্যের মধ্যে ছিল চাল, ডাল, আলু, চিনি, পেঁয়াজ, ময়দা, সেমাই, দুধ ও সয়াবিন তেল। এর আগে রমজান মাস শুরু হওয়ার পর তিনটি শুক্রবার প্রায় ৮০০ পথচারী, হতদরিদ্র ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের মধ্যে সংগঠনটি ৪ টাকার বিনিময়ে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করে।

চা-শ্রমিকদের ঈদসামগ্রী কেনাকাটার আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। ক্লিন সিটি সিলেটের সভাপতি নাজিব আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠান হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট ভয়েসের প্রকাশক সেলিনা চৌধুরী, সাংবাদিক জয়ন্ত কুমার দাস, আয়োজক সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু তাহের, লজিস্টিক সম্পাদক তারেক রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সিলেটের চা-শ্রমিকেরা বেতন ও বোনাস না পেয়ে অসহায়ের মতো পরিবার-পরিজন নিয়ে দিন যাপন করছেন। এক বেলা খেয়ে থাকলে, আরেক বেলা না খেয়ে থাকছেন। তখন ঈদ উপলক্ষে চা-শ্রমিকদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ব্যতিক্রমী এ আয়োজন অনন্য ভালোবাসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এমন চেষ্টা আরও প্রসারিত হোক। সবাই যদি এ ধরনের কাজে এগিয়ে আসেন, তবে সত্যিকার অর্থেই একটি সমৃদ্ধ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্লিন সিটি সিলেট সব সময়ই মহতী কাজের মধ্যে যুক্ত থাকে। তারা রমজানের শুরু থেকে ৪ টাকায় ইফতার বিতরণ করেছে। এখন তারা মাত্র ৪ টাকায় ঈদসামগ্রী চা-শ্রমিকদের মধ্যে বিক্রি করছে। এ আয়োজন শুধু একটি সামাজিক উদ্যোগ নয়, এটি মানবতার এক অনন্যদৃষ্টান্ত। আমাদের সমাজে যাঁরা কঠোর পরিশ্রম করেন, আমাদের অর্থনীতিকে সচল রাখেন, সেই চা-শ্রমিক ভাই-বোনদের মুখে হাসি ফোটাতে পারা, এটি সত্যিই গর্বের বিষয়।’

ক্লিন সিটি সিলেটের সভাপতি নাজিব আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাবিষয়ক সচেতনতার পাশাপাশি সিলেট, কুমিল্লা ও নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং নিয়মিতভাবে ইফতার ও ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণের মতো আয়োজন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আরও উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে ঈদের জামাত কোথায় কখন
  • চার টাকার বিনিময়ে হাজার টাকার পণ্য পেলেন চা-শ্রমিকেরা
  • ঈদ ঘিরে কাপড়ের ব্যবসায় মন্দাভাব