Samakal:
2025-01-31@10:33:51 GMT

বিপত্তির কারণ ভুয়া ফোনকল

Published: 12th, January 2025 GMT

বিপত্তির কারণ ভুয়া ফোনকল

যদি নিজের স্মার্টফোনে এখনও ‘ট্রু কলার’ না থাকে, তাহলে নিরাপত্তার প্রয়োজনে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে অ্যাপটি ইনস্টল করতে হবে।
নিজের ব্যবহৃত ফোনে ভুয়া ফোনকল বা মেসেজ প্রবেশ করলে চিহ্নিত নম্বরটি দ্রুত ব্লক করার সঙ্গে রিপোর্ট করতে হবে। নম্বরটি শুধু ব্লক করে দিলে নিজের কাছে হয়তো ওই নম্বর থেকে সরাসরি ফোন আসা বন্ধ হবে, কিন্তু চারপাশের বহু মানুষের প্রতারিত হওয়ার সুযোগ থেকে যায়।
আজকাল কমবেশি সবার ফোনেই ‘ট্রু কলার’ ইনস্টল থাকে। যাতে নম্বরটি কোথা থেকে আসছে, তা বুঝতে খুব বেশি অসুবিধা না হয়। যদি ‘ট্রু কলার’ না থাকে, তাহলে গুগল প্লে স্টোর থেকে তা ইনস্টল করে নেওয়াই শ্রেয়।
শনাক্ত ভুয়া ফোনকে ট্রু কলারের মাধ্যমে রিপোর্ট করার উদ্যোগ নিতে হবে। নম্বরটি তা হলে ‘স্ক্যাম কল’ হিসেবেই সবার কাছে চিহ্নিত হবে। অন্যদিকে, হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেজ থেকেও ফোন নম্বরটি ভুয়া কিনা, তা যথাযথভাবে রিপোর্ট করা যায়।
প্রতারকের কাছ থেকে আসা কোনো ফোনকল যদি তুলে ফেলেন বা কোনো মেসেজের লিঙ্কে ক্লিক করে ফেলেন, তাহলে সবার আগে নিজের ব্যাংক ও অন্য সব অ্যাকাউন্টে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা, তা দ্রুত যাচাই করে নিন। প্রতারক চক্র ফোনকল বা মেসেজের মাধ্যমে অনেক সময় ডিভাইসে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে দেয়। তাই নিজের ফোনে কেউ অযাচিত নজরদারি করছে কিনা বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অথবা ব্যবহৃত মোবাইল ফিন্যান্স সার্ভিসে (এমএফএস) কোনো সন্দেহজনক কিছু ঘটছে কিনা, তা আগে বিশেষভাবে যাচাই করে নিতে হবে। সন্দেহ বেশি হলে বা প্রয়োজনে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারেন।
যদি অজানা নম্বর থেকে ক্রমাগত ফোনকল বা মেসেজ দৃশ্যমান হয় বা বিশেষ উদ্দেশ্যের কথা বলে কোনো ওটিপি প্রেরণ করা হয়, তা হলে আগে ফোনের লকস্ক্রিন ও বাকি সবকটি অ্যাপ পাসওয়ার্ড দ্রুত বদলে নিতে হবে। জিমেইল বা হোয়াটসঅ্যাপে এমন ওটিপি বা সন্দেহজনক লিঙ্ক আসতে পারে। তাই নিরাপত্তার প্রয়োজনে নিরাপদ ও পরীক্ষিত কোনো অ্যান্টিভাইরাস ডাউনলোড করে ফোন স্ক্যান করে নিতে হবে। আর্থিক লেনদেনে ব্যবহৃত এমন সবকটি অ্যাপে নতুন পাসওয়ার্ড দিতে হবে।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মেট্রোস্টেশনে নষ্ট ডিভাইস সেবা

ঢাকার মেট্রোরেল স্টেশনে গ্রাহককে ইলেকট্রনিক ডিভাইস মেরামতের সুযোগ করে দিতে চালু হয়েছে স্মার্ট পরিষেবা। ‘১০০০ ফিক্স স্টেশন’ নামে পরিচিত পরিষেবা আপাতত মতিঝিল, শাহবাগ, ফার্মগেট, আগারগাঁও ও শেওড়াপাড়া স্টেশনে পাওয়া যাবে। উল্লিখিত সবকটি স্টেশনে স্মার্ট কিওস্ক থেকে গ্রাহকরা নষ্ট হওয়া ল্যাপটপ, পিসি বা আইপিএস জমা দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামতের পর তা সহজে সংগ্রহ করতে পারবেন।
স্মার্ট টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ জহিরুল ইসলাম আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে স্মার্ট পরিষেবার ঘোষণা করেন। 
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান, ১০০০ ফিক্স সার্ভিসের চিফ সার্ভিস অফিসার ইফতেখার রাসেল, ডিজিবক্স লিমিটেডের হেড অব অপারেশন এস কে মাসুদুর রহমান ও স্পিড টেকনোলজির চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সুমন পরিষেবার উদ্বোধন করেন।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সচিব খোন্দকার এহতেশামুল করিম বলেন, উদ্ভাবনী কিওস্ক প্রযুক্তি গ্রাহকের ডিজিটাল পরিষেবাকে সহজ করবে, যা দেশের ডিজিটাল পণ্য সেবায় নতুন সম্ভাবনার কথা বলছে।
প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, মেট্রোস্টেশনে প্রচলিত সিস্টেম গ্রাহকের জন্য আরও সুবিধাজনক সেবা নিশ্চিত করবে। 
স্মার্ট টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ জহিরুল ইসলাম জানান, স্মার্ট গ্রুপ সর্বদা প্রযুক্তিকেন্দ্রিক সেবার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এমন লক্ষ্য বাস্তবায়নে নতুন উদ্যোগ নেওয়া।
ডিজিবক্স এবং ১০০০ ফিক্সের সম্মিলিত উদ্যোগে তৈরি পরিষেবা স্টেশন গ্রাহকের সময় বাঁচিয়ে দ্রুত ও সহজ সেবা নিশ্চিত করবে বলে জানান ডিজিবক্স লিমিটেডের হেড অব অপারেশন এস কে 
মাসুদুর রহমান। ১০০০ ফিক্স স্টেশনের ব্র্যান্ডিং অফিসার ইমদাদুল হক জানান, প্রথম ধাপে পাঁচটি স্টেশনে সেবা চালু হলেও ভবিষ্যতে সবকটি স্টেশনের সঙ্গে শপিংমলে পরিষেবা সম্প্রসারণ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাবেক এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
  • মেট্রোস্টেশনে নষ্ট ডিভাইস সেবা