Samakal:
2025-01-31@11:59:24 GMT

কী অদ্ভুত জেমিনি

Published: 12th, January 2025 GMT

কী অদ্ভুত জেমিনি

নতুন বছরে দাপুটে বার্তা দিয়েছে গুগল। উদ্ভাবিত জেমিনি ২০২৫ সালে সবার কাছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বহুমাত্রিক সুবিধা ব্যবহারযোগ্য আর উপভোগ্য করবে। হ্যাঁ, কণ্ঠ শুনে মুহূর্তেই কাজ করে দেবে জেমিনি।
ভয়েস কমান্ডের ইঙ্গিতে ফাইল সম্পাদনা (এডিট) করবে জেমিনি এআই। কৃত্রিম মেধার মানোন্নত সংস্করণ নিয়ে কাজ করছে সার্চগুরু গুগল।
মূলত জেমিনির কৃত্রিম মেধাকে আরও কৌশলী করার উদ্যোগ নিয়েছে গুগল। কিছুদিনের মধ্যেই ভয়েস চ্যাটে একে ব্যবহার করা যাবে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে আইফোন গ্রাহকরা বিনামূল্যে জেমিনি অ্যাপ সুবিধা উপভোগ করছে, যা অ্যাপ স্টোর থেকে সহজেই ডাউনলোড করে নেওয়া যায়। ১০টির বেশি ভাষায় অ্যাপটি ব্যবহারযোগ্য। দ্রুত ভাষার সংখ্যা আরও বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে।
কিছুদিন আগে জেমিনি অ্যাপে নতুন সংস্করণের বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্ট বিভাগ। অ্যাপটির মাধ্যমে যে কোনো বিষয় সম্পর্কে আগ্রহীরা যথাযথ সঠিক তথ্য খুঁজে পাবেন। শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন কিছু শিখতে যা বিশেষ সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। অন্যদিকে, জেমিনি ‘লাইভ’ নামে নতুন ফিচার উন্নয়ন করেছে গুগল। উন্নয়ন গবেষকরা জেমিনিকে রিয়েল টাইম কাজ করার পারদর্শী করে তুলতে চায়। ফলে গ্রাহক একসঙ্গে একই সময়ে বেশ কিছু কাজের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
বর্তমানে গুগল গ্রাহকরা আপলোড করা স্প্রেডশিট বা নথি নিয়ে কোনো রকমের আলোচনা সুবিধা নিতে পারেন না। কিন্তু জেমিনির প্রকাশিতব্য নতুন সংস্করণে যা সহজেই করা যাবে। তখন স্প্রেডশিট আর জেমিনি ইন্টারফেসের মধ্যে দৃশ্যমান তেমন কোনো সীমাবদ্ধতা থাকবে না। আবার শুধু ভয়েস ইন্টারঅ্যাকশনের সহায়তায় অন্যসব অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সুবিধা উন্মুক্ত হবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিসমৃদ্ধ জেমিনির সব ধরনের সুবিধা সবাই পাবেন, এমনটা কিন্তু নয়। বর্তমানে জেমিনি শুধু অ্যাডভান্স গ্রাহকই ব্যবহার করতে পারেন। ফলে প্রিমিয়াম গ্রাহক যে আরও মানোন্নত সংস্করণের সার্বিক সুবিধা নিতে পারবেন, তা এক অর্থে নিশ্চিত করেই বলা যায়।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ