Samakal:
2025-04-28@23:20:38 GMT

শর্ত পূরণে ব্যর্থ অ্যাপল

Published: 12th, January 2025 GMT

শর্ত পূরণে ব্যর্থ অ্যাপল

চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে উন্মোচিত হতে পারে অ্যাপল ব্র্যান্ডের আইফোন সিরিজের ১৭ মডেলের স্মার্টফোন। ইতোমধ্যে নতুন আইফোনে সম্ভাব্য কী ফিচার থাকবে, তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা জমে উঠেছে। ডিজাইন, ব্যাটারি, বাটন, ডিসপ্লে ও স্ক্রিনে পাঁচটি অংশবিশেষ পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। উদ্ভাবনা নিয়ে অ্যাপল কোনো সময়ই নীরবতা ভঙ্গ করে না।
কিন্তু এবারে এশিয়ার দু-একটা দেশ সাফ জানিয়েছে, শর্ত না মানলে আইফোন-১৭ সিরিজের ফোন বিপণনে জারি হবে নিষেধাজ্ঞা। কী সেই 
শর্ত– এমন প্রশ্ন সামনে আসছে। আইফোন বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া দেশটির নাম ইন্দোনেশিয়া। 
বলতে গেলে লোকাল ম্যানুফ্যাকচারিং রিকোয়ারমেন্ট নীতিমালা তৈরি করেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি। কোনো নির্মাতা সংস্থা দেশটিতে স্মার্টফোন বিপণনে আগ্রহী হলে তাকে অন্তত ৪০ শতাংশ যন্ত্রাংশ ওই দেশেই উৎপাদন করতে হবে। কিছুদিন আগে অ্যাপল দেশটিতে প্রায় শতকোটি ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। সিঙ্গাপুরের কাছে বাতাম দ্বীপে এয়ারট্যাগ ট্রাকিং ডিভাইসের কারখানা তৈরিতে আগ্রহ দেখিয়েছে অ্যাপল। কিন্তু প্রস্তাবে সাফ অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ইন্দোনেশিয়া।
আইফোনে নিষেধাজ্ঞার কারণ দর্শানোয় ইন্দোনেশিয়ার শিল্পমন্ত্রী অগস গুমিওয়াং কারটাসাস্মিতা বলেছেন, অ্যাপল 
যদি আইফোন-১৬ বিপণন করতে 
চায়, বিশেষ করে যদি আইফোন-১৭ ইন্দোনেশিয়ায় উন্মোচন করতে চায়, সেই সিদ্ধান্ত তাদের ওপরই নির্ভর করছে।
অ্যাপলকে উদ্দেশ করে দেশটির বিনিয়োগমন্ত্রী রোসান রোসেলানি বলেছেন, ২০২৬ সালে শুরুতে এয়ারট্যাগ ফেসিলিটিতে কাজ শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অ্যাপল। কিন্তু প্রস্তাবটি ফোনের ৪০ শতাংশ যন্ত্রাংশ তৈরির শর্তকে নীতিগতভাবে সমর্থন করছে না।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বে সামরিক ব্যয় রেকর্ড বেড়ে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার

২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপরি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইউক্রেন, গাজা যুদ্ধসহ বৈশ্বিক উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই সামরিক ব্যয়ে এ ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় বেড়েছে ৯.৪ শতাংশ। এটিই টানা দশম বছর, যখন সামরিক খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ ও ন্যাটো জোটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিকে ঘিরে সংশয়ের প্রভাবে ইউরোপে সামরিক ব্যয় নজিরবিহীন হারে বেড়েছে। সিপরির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইউরোপীয় দেশগুলোর সামরিক ব্যয় ১৭ শতাংশ বেড়েছে, যা শীতল যুদ্ধের সমাপ্তির পর সর্বোচ্চ।

বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ভারত ও সৌদি আরব। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৮৯৫ বিলিয়ন ডলার, চীন ২৬৬.৮৫ বিলিয়ন ডলার, রাশিয়া ১২৬ বিলিয়ন ডলার, ভারত ৭৫ বিলিয়ন ডলার এবং সৌদি আরব ৭৪.৭৬ বিলিয়ন ডলার।

সিপরি সতর্ক করে বলেছে, সামরিক নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ফলে অন্যান্য খাতের বাজেট কমে যাচ্ছে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

রাশিয়ার সামরিক ব্যয় ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ১৪৯ বিলিয়ন ডলারে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি। এ খরচ দেশটির মোট জিডিপির ৭.১ শতাংশ এবং সরকারি ব্যয়ের ১৯ শতাংশ। অন্যদিকে, ইউক্রেনের সামরিক ব্যয় বেড়ে ৬৪.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা তাদের জিডিপির ৩৪ শতাংশ। খবর এনডিটিভির।

সম্পর্কিত নিবন্ধ