নতুন স্মার্টফোন মডেল এক্স৫বি প্লাস উন্মোচন করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অনার। ব্র্যান্ডের এক্স সিরিজের নতুন মডেলে রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ, স্টোরেজ, অত্যাধুনিক এআই ক্যামেরা ফিচার ও হাইপারফরম্যান্স ডিসপ্লে। আগ্রহী যারা অ্যান্ট্রি-লেভেল ক্যাটেগরিতে নতুন ফোন খুঁজছেন, তাদের জন্যই মডেলটি ডিজাইন করা বলে নির্মাতারা জানান। জানা গেছে, পূর্ণ চার্জে টানা দু’দিন ব্যবহারযোগ্য। ব্যাটারি ৫২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার।
প্রসেসর মিডিয়াটেক হেলিও জি৩৬ প্রসেসর সিরিজ। ৭৩১ডব্লিউএইচ/এল এনার্জি-ডেন্সের ব্যাটারি ৮.
২৪ হাজারের বেশি গান বা দুই শতাধিক সিনেমা সংরক্ষণ করতে পারবেন। মডেলের টার্বো র্যাম প্রযুক্তি, যা ফ্ল্যাশ মেমোরি ব্যবহার করে ৪ জিবি থেকে ৮ জিবি পর্যন্ত র্যামের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ফলে মাল্টিটাস্কিং হবে স্বাচ্ছন্দ্যময়।
মডেলের ডিসপ্লে ৬.৫৬ ইঞ্চি ক্লিয়ার, ৯০ হার্টজ হাই রিফ্রেশ রেটে আলট্রাস্মুথ ভিজ্যুয়াল নিশ্চিত করবে। ৫৩০ নিটস আলট্রাহাই ব্রাইটনেসের কারণে সরাসরি সূর্যের আলোতে ডিসপ্লে থাকবে স্বচ্ছ। অন্যদিকে ই-বুক মোড, আই প্রটেকশন মোড, ডিসি ডিমিং ও ডায়নামিক ডিমিং ডিসপ্লের মতো অ্যাডভান্সড ‘আই প্রটেকশন’ ফিচার যুক্ত। মডেলে থাকছে ৫০ মেগাপিক্সেলের এআই আলট্রাক্লিয়ার প্রধান ক্যামেরা, ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। তিনটি রঙের বৈচিত্র্যে আছে মিডনাইট ব্ল্যাক, ওশান ব্লু ও স্টারি পার্পল।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’