যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ছড়িয়েপড়া ভয়াবহ দাবানলে একরের পর একর ভূমির সব পুড়ে গেছে। অসংখ্য মানুষের ঘরবাড়ি পুড়েছে; সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রভাবশালী অনেক হলিউড তারকারও বাড়ি পুড়ে ছাই হয়েছে। 

দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার পুনরুদ্ধারের কাজ দীর্ঘ। তার আগে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন ক্রিস্টোফার নিউসম এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস সমালোচনার মুখে পড়েছেন। দাবানলের মতো দুর্যোগের আগের মাসের কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের তহবিল এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে। তবে হলিউডের দাপুটে অভিনেতা মেল গিবসনের মন্তব্য আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে।

দাবানলে অভিনেতা মেল গিবসনের বাড়িও পুড়েছে। মালিবুতে অবস্থিত তার বাড়ি ভস্মীভূত হয়েছে। একটি পডকাস্টে হাজির হয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলদের কড়া সমালোচনা করেন ‘অ্যাপোক্যালিপ্টো’খ্যাত এই পরিচালক। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন ক্রিস্টোফার নিউসমকে উদ্দেশ্য করে মেল গিবসন বলেন— “আপনি চুলের জেলের পেছনে খরচ কম করেন।”

গুরুতর প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে মেল গিবসন বলেন, “এটি (দাবানল) কি ইচ্ছাকৃতভাবে করা? যদিও এটি ভাবা এক প্রকার পাগলামি। কিন্তু কেউ ভাবতে শুরু করেছে যে, মনে কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা।”   সূত্র: ফক্স নিউজ।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।

স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ