সাদা বলের ক্রিকেটে টানা ব্যর্থতার মধ্যে ছিলেন লিটন দাস। ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে ফরম্যাটে ফিফটি পাননি তিনি। সর্বশেষ দুই টি-২০ সিরিজেও হাসেনি তার ব্যাট। যে কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় ছিলেন ডানহাতি টপ অর্ডার ব্যাটার লিটন।

বিপিএল ছিল তার দলে ফেরার একমাত্র খোলা পথ। সেখানেও ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রথম পাঁচ ম্যাচে রান পাননি লিটন। ঢাকা পর্বের এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন লিটন। রোববার ঘোষিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে তাই বাদ দেওয়া হয়েছে তাকে।

দল চূড়ান্ত হওয়ার পরই যেন রানে ফিরেছেন ডানহাতি ব্যাটার লিটন দাস। সিলেট পর্বে দলের ষষ্ঠ ম্যাচে রানে ফিরেছিলেন তিনি। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে তার দল খেলেন ৪৩ বলে ৭৩ রানের ইনিংস। ১০টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন তিনি।

রোববার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার পর আরও চড়াও লিটনের ব্যাট। তিনি দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন। ৪৩ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত খেলেন ৫৫ বলে ১২৫ রানের ইনিংস। তার ব্যাট থেকে ১০টি চার ও নয়টি ছক্কার ইনিংস আসে।

তার সঙ্গে সেঞ্চুরি করেন ওপেনার তানজিদ তামিমও। বাঁ-হাতি এই ওপেনার খেলেন ৬৪ বলে ১০৮ রানের ইনিংস। বিপিএলে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি ইনিংসটি তিনি ছয়টি চারের সঙ্গে আটটি ছক্কা সাজান। তাদের জুটি থেকে আসে ২৪১ রান। বিপিএলে যা সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড। তারা ভেঙেছেন ২০১৭ সালে রংপুরের হয়ে ঢাকার বিপক্ষে ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম ও ক্রিস গেইলের ২০১ রানের জুটি।

ঢাকা নির্ধারিত ২০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রান করেছে। বিপিএলে যা এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান। এর আগে ২০১৯ ও ২০২৪ সালে চট্টগ্রামে চট্টগ্রামের বিপক্ষে যথাক্রমে রংপুর ও কুমিল্লা করেছিল ওই রান।    

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আজ ‘মাদ্রিদ ডার্বি’

পাসপোর্ট, ভিসার ঝামেলা নেই, এয়ার ট্রাভেলের ঝক্কি নেই; ঠিক এসব কারণেই ম্যানসিটিকে হারানোর শেষ ষোলোর প্রতিপক্ষ হিসেবে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকেই চেয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ফুটবলার এমবাপ্পে। পরে আনুষ্ঠানিক ড্রতেও দুই স্প্যানিশ জায়ান্টের মধ্যেই ম্যাচ পড়ে। আজ রাতে কোয়ার্টারে ওঠার সেই লড়াইয়ের প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে এসে খেলবে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। 

একই শহরের পাশাপাশি দুটি ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচ ঘিরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও মাদ্রিদ ডার্বির উত্তেজনা বইছে। এই তো গত মাসের ৯ তারিখেই দু’দল মুখোমুখি হয়েছিল লা লিগায়। ১-১ গোলে সেই ম্যাচের উত্তেজনাও ভাগাভাগি হয়ে যায়। তা ছাড়া দু’দিন আগেই রিয়াল বেটিসের কাছে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ভুলে গেলে চলবে না, এটা লা লিগা নয়, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। আর সেখানে রিয়াল মাদ্রিদ মানেই রাজকীয় কিছু। 

এ পর্যন্ত স্বদেশি এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি ৯ বার মুখোমুখি হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। যার মধ্যে পাঁচবার তারা নকআউট পর্বের লড়াইয়ে নেমেছে। রেকর্ড বলছে, কোনোটিতেই সফল হয়নি অ্যাতলেটিকো। পাঁচবারই তাদের বিদায় করে পরের রাউন্ডে গিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। রেকর্ড এটাও বলছে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ দু’বারের দেখায় রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়েছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ